প্রেস বিজ্ঞপ্তি(১১ জুন) :: পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারাদেশে জাতিগত ও সাম্প্রদায়িক নিপীড়নে বন্ধ করার আহবান জানিয়ে কক্সবাজারে ছাত্র জনতার প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, ভয়ানক এক স্বৈরতন্ত্র অসম্প্রদায়িক জনগণের উপর চেপে বসেছে। ক্রমাগদ সংকুচিত হতে হতে মত প্রকাশের স্বাধীনতা আজ সম্পূর্ণ অবরুদ্ধ। পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারাদেশে জাতিগত ও সাম্প্রদায়িক নিপীড়ন পরিচালিত হচ্ছে সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে। রাঙামাটির লংগুতে স্মরণকালের ভয়াবহ মানবতার লংঘন সংঘটিত হয়েচে। গণবিরোধী সকার সকল মতকে স্বৈরাচার কায়দায় দমন করতে চাইছে। আর এই কাজে সরকারের সহযোগী হয়েছে উগ্র মৌলবাদী হেফাজত ইসলাম।
সরকার সম্পূর্ণরুপে হেফাজতে রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নের ক্রীড়ানকে পরিণত হচ্ছে।অন্যান্য সকল গণবিরোধী শাসকের মত বর্তমান সরকারো ধর্মীয় জুজুকে কাজে লাগিয়ে বাঁচতে চাইছে। হেফাজতের নির্দেশনা মত পাঠ্যপুস্তুকের সাম্প্রদায়িক করা হয়েছে। সরকারের মদদপুষ্টে হেফাজত ইসলাম কী ন্যাক্কার জনক মিথ্যাচার করে সুলতানা কামালের উপর হামলৈ পড়লো। হত্যা করার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে অবরত।
অপরদিকে দেশে প্রযুক্তি আইনের অজুহাতে ৫৭ ধারায় যাকে তাকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। রাঙামাটিতে ছাত্রনেতা চায়না পাটোয়ারিসহ অনেককে অন্যায়ভাবে ৫৭ ধারায় আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে কখনো আশা করার কথা ছিলোনা। অথচ মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারীরা এসব কর্মকা- করে যাচ্ছে। ভুলুন্থিত হচ্ছে মানবতা, শহিদের বিদ্রুপের দৃষ্টিতে হাসছে এবং মুক্তিযোদ্ধারা বলছে এ বাংলাদেশের জন্যই জীবন বাজি যুদ্ধ করা হয়েছে।
সরকারের উচিত সাম্প্রদায়িক হামলার শিকার হওয়া মানব জাতির পাশে থাকা লেখক বুদ্দিজীবী মানাবিধকার কর্মী ও ছাত্রনেতাদেরকে অভিলম্বে মুক্তি দিয়ে সাম্প্রদায়িক হামলায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করা। এবং সরকারকে তাই করতে হবে। না হলে এ দেশের জনগণ সরকারকে কখনো ক্ষমতা করবে না। ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করে না।
পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারাদেশে জাতিগত ও সাম্প্রদায়িক নিপীড়নে রুখো দাড়াও সুলতানা কামালকে হত্যার হুমকিদাতাদের গ্রেফতার এবং ৫৭ ধারায় আটক সকলের মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে কক্সবাজারে ছাত্র জনতার প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন।
কক্সবাজার পুরাতন শহিদ মিনারে কমরেড গিয়াস উদ্দিনের সভাপতি ও ছাত্র নেতা পাভেল দাশের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা খেলাঘরের সাধারণ সম্পাদক করিম উল্লাহ কলিম, জেলা উদীচীর সভাপতি কল্যাণ কান্তি পাল, মানবাধিকার কর্মী এডভোকেট আবদুশ শুক্কর, জেলা যুব ইউনিয়নের সভাপতি শংকর বড়–য়া রুমি, ফাতেমা আক্তার মার্টিন, মোছাদ্দিক হোসেন আবু, জেলা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি অর্পণ বড়–য়া।
সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রবীণ সংস্কৃতিকর্মী বাবুল পাল, সাবেক ছাত্র নেতা কল্লোল দে চৌধুরী, জাসদ নেতা মিজানুর রহমান বাহাদুর, যুব ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ফাতেমা আকতার মার্টিন, জেলা যুব ইউনিয়ন নেতা সাংবাদিক জসিম উদ্দিন, বাংলাদেশ প্রগতি লেখক সংঘ কক্সবাজার জেলা সম্মেলন প্রস্তুতি পরিষদের সদস্য সচিব কালাম আজাদ, উদীচী কর্মী ছোটন দাশ, সাংবাদিক আনোয়ার হাসান চৌধুরী, আমিরুল ইসলাম মোহাম্মদ রাশেদ, এম আর আই সোহেল, নুর আহমদ পাটোয়ারী, জেলা ছাত্র ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক শয়ন কান্তি বিশ্বাস, জুয়েল কুমার ধর অর্জন, তানবির রিপন, তর্পনা দে প্রমুখ।
Posted ১:৪৬ অপরাহ্ণ | সোমবার, ১২ জুন ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta