কক্সবাংলা ডটকম :: ৪২ বছরের গোলানি কিন্তু কট্টরপন্থী নন। তুরস্কের মদতপুষ্ট ‘সিরিয়ান ন্যাশনাল আর্মি এমনকি, কুর্দ জনগোষ্ঠীর সশস্ত্র সংগঠন ‘সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্স’-এর সঙ্গেও তাঁর সুসম্পর্ক রয়েছে।
এদিকে সিরিয়ার কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ হামা শহরে বৃহস্পতিবার বিদ্রোহীরা ঢুকতে শুরু করেছেন। উত্তর সিরিয়ার আলেপ্পো শহর হারানোর এ সপ্তাহের মধ্যে হামা বিদ্রোহীদের দখলে চলে গেল।
এটা সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ, তাঁর মিত্র রাশিয়া ও ইরানের জন্য বড় ধাক্কা।
হামা শহরে বিদ্রোহীরা প্রবেশ করেছেন এবং সেখান থেকে সিরিয়ার সেনাবাহিনী প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী।
তবে ‘সাধারণ নাগরিকের জীবন রক্ষা করতে ও শহরাঞ্চলে যুদ্ধ এড়াতে’ শহরটির বাইরে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।
বিদ্রোহীরা জানিয়েছেন, তাঁরা হামা শহরের উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং কেন্দ্রীয় কারাগার দখলে নিয়েছেন, বন্দীদের মুক্ত করে দিয়েছেন।
বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর একটির নেতা হাসান আবদেল ঘানি কারাগার ভাঙার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি টেলিগ্রামে এক বার্তায় লিখেছেন, ‘আমাদের সদস্যরা হামার কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রবেশ করেছেন এবং কয়েক শত বন্দীকে মুক্ত করেছেন।’
আল–জাজিরার টেলিভিশনে বিদ্রোহীরা হামা শহরের ভেতরে পৌঁছে গেছেন, এমন কিছু ছবি প্রচার করা হয়েছে।
এসব ছবিতে দেখা যায়, তাঁরা সাধারণ মানুষের সঙ্গে দেখা করছেন। আর কিছু বিদ্রোহী সামরিক গাড়ি চালাচ্ছেন।
গত সপ্তাহে বিদ্রোহীরা সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলের শহর আলেপ্পো দখল করেন। এর পর থেকে তাঁরা দক্ষিণ, তথা রাজধানী দামেস্কের দিকে আসতে শুরু করেন।
গত মঙ্গলবার বিদ্রোহীরা হামা শহরের উত্তর দিকের কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ শহর হিলে পৌঁছান।
বুধবার হামা শহরের পূর্ব ও পশ্চিম দিকে তাঁরা অগ্রসর হতে থাকেন।
২০১১ সালে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। পুরা গৃহযুদ্ধে হামা শহর আসাদ সরকারের হাতে ছিল। কিন্তু এখন শহরটি পতন হওয়াটা দামেস্কের জন্য বড় মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াল।
হামা শহরটি রাজধানী দামেস্ক ও উত্তরাঞ্চলের শহর আলেপ্পোর মাঝামাঝি স্থানে অবস্থিত। আলেপ্পো থেকে দামেস্কে আসার এক-তৃতীয়াংশ এলাকাজুড়ে হামা শহর বিস্তৃত। হামার পতনের পর বিদ্রোহীদের হোমস শহরের দিকে অগ্রসরের পথ খুলে গেছে।
Posted ১২:০১ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta