দীপন বিশ্বাস :: মিয়ানমারে বেশ ক’দিন ধরে চলছে জান্তা সরকার ও আরকান আর্মির মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ।
আর এই সংঘাতের মধ্যে বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় গ্রহণের জন্য শত শত রোহিঙ্গা শরণার্থী উঁকি মেরে আছে সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্টে। সুযোগ হলেই তারা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও স্থানীয় প্রশাসনসহ সীমান্ত পাড়ের মানুষ জনের ব্যাপক বাঁধার মুখে তারা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করতে হিমশিম খাচ্ছে।
বিগত মাস খানেক আগে উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের আনোয়ার সালাম মোবারক (৩৫) নামের এক যুবক মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশে বাঁধা দিতে গিয়ে অনুপ্রবেশকারীদের ছোড়া গ্রেনেডে গুরুতর আহত হন।
এসময় তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। অবশেষে দীর্ঘ এক মাস মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার (৮ মার্চ) সকালে তিনি মারা যান। তার মৃত্যুর খবরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
নিহত মোবারক উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ রহমতের বিল এলাকার আবদুস সালামের ছেলে।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) আশিকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলার পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী জানান, ৭ ফের্রুয়ারি মোবারক সীমান্তবর্তী জমিতে কাজ করছিল।
এ সময় মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময় এক যুবককে দেখে আটকানোর চেষ্টা করে মোবারক। তখন ওই যুবক হাতে থাকা একটি গ্রেনেড ছুড়ে মারে। এতে সে গুরুতর আহত হয়।
পরে স্থানীয়রা আহত মোবারককে উদ্ধার করে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখান থেকে পাঠানো হয় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। পরে আবারও আনা হয় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার।
নিহতের স্ত্রী মরিয়ম বলেন, তাদের সংসারে দুই মেয়ে ও এক ছেলে। কৃষিকাজ করেই সংসার চালাতেন মোবারক। প্রতিদিনের মতো সেদিনও জমিতে কাজ করতে গিয়ে আহত হয়েছিলেন তিনি।
শ্বশুর জাগির হোছন বলেন, গ্রেনেড হামলায় মোবারকের মাথা, পা ও পেট আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছিল। এক মাস চিকিৎসার পরও বাঁচানো গেল না তাকে।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামীম হোসেন বলেন, মৃত্যুর ঘটনাটি আমরা শুনেছি। খোঁজ নিয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Posted ১০:০৬ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ০৮ মার্চ ২০২৪
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta