কক্সবাংলা ডটকম :: ওভাল অফিসে নিজের ডেস্কে বসেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিবাসন দমনের উদ্দেশ্যে একাধিক নির্বাহী আদেশ ও ডিক্রি স্বাক্ষর করেছেন।
জন্মগত নাগরিকত্বের সংজ্ঞা পরিবর্তন থেকে শুরু করে সীমান্তে অবৈধ অভিবাসন দমন করতে জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন ট্রাম্প।
এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্তে প্রবেশের জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট নির্ধারণের কাজে ব্যবহৃত সিবিপি ওয়ান অ্যাপটিও বাতিল করেছে নতুন প্রশাসন। খবর বিবিসি।
তবে ট্রাম্প গৃহীত এসব পদক্ষেপের কোনো কোনোটি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে।
বিশেষ করে জন্মগত নাগরিকত্বের সংজ্ঞা পরিবর্তন সংক্রান্ত কোনো আদেশ কঠোর আইনি চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ট্রাম্প আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন যে, বাইডেন প্রশাসনের ‘ধ্বংসাত্মক’ নীতিগুলো পাঁচ মিনিটের মধ্যেই বাতিল করা হবে।
উদ্বোধনী ভাষণে, ট্রাম্প প্রতিশ্রুতি দেন যে, সকল অবৈধ প্রবেশ বন্ধ করা হবে এবং লক্ষ লক্ষ অবৈধ অভিবাসী বহিষ্কৃত হবে।
তিনি মেক্সিকান মাদক চক্রকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করার একটি আদেশেও স্বাক্ষর করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্তে প্রবেশের জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করার কাজে ব্যবহৃত সিবিপি ওয়ান অ্যাপটি বাতিল করেছে নতুন প্রশাসন।
এর ফলে হাজার হাজার সম্ভাব্য অভিবাসীদের ইমিগ্রেশন অ্যাপয়েন্টমেন্ট বাতিল হয়ে যায়।
বৃহৎ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলেছেন, প্রেসিডেন্ট প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে সীমান্ত বন্ধ করার নির্দেশ দেবেন এবং অতিরিক্ত সম্পদ ও কর্মী সীমান্তে নিয়োগ করবেন। যার মধ্যে ড্রোন বিরোধী সক্ষমতাও থাকবে।
সিবিএসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাইডেন প্রশাসন পরবর্তী তিন সপ্তাহে প্রায় ৩০ হাজার অভিবাসীর জন্য সিবিপি ওয়ানের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অ্যাপয়েন্টমেন্ট নির্ধারণ করেছিল।
অন্য সূত্র থেকে ধারণা করা হয়েছিল যে, সিবিপি ওয়ানের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সুযোগের অপেক্ষায় মেক্সিকোতে প্রায় ২ লাখ ৭০ হাজার অভিবাসী অবস্থান করছিল।
Posted ৪:৩০ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি ২০২৫
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta