কক্সবাংলা রিপোট :: যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া বলেছেন,সেন্টমার্টিন দ্বীপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কোনো পরিকল্পনা বা প্রস্তাবের বিষয়ে কোনো পরিকল্পনা নেই।
আমি এ বিষয়ে খুবই স্পষ্ট করে বলতে চাই যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করে এবং সেন্টমার্টিন দ্বীপের সম্ভাব্য ইজারা নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।
রোহিঙ্গাদের প্রসঙ্গে উজরা জেয়া বলেন, যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায় মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনকে সমর্থন করে, তবে সেই প্রত্যাবসন নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও টেকসই হতে হবে। এখন দুর্ভাগ্যবশত, মিয়ানমারে এ পরিস্থিতি বিদ্যমান নেই।
তাই আমরা বাংলাদেশ সরকারসহ সমমনা অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকা জনগোষ্ঠীর প্রতি বাংলাদেশ সরকার ও জনগণ যে অসাধারণ উদারতা দেখিয়েছে তার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।
গত (১৩ জুলাই) বিশ্বের বৃহত্তম শরনার্থী শিবির কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে আশ্রয় নেয়া ১২ লাখ রোহিঙ্গাদের জন্য আরও ৭ কোটি ৪০ লাখ ডলার (বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ৮০০ কোটি টাকা) নতুন সহায়তার ঘোষণা দেন উজরা জেয়া। এর ফলে এ পর্যন্ত ২০০ কোটি ডলারের বেশি সহায়তা দিল যুক্তরাষ্ট্র।
এর আগে বুধবার (১২ জুলাই) কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করে ফিরে গেছেন যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়ার নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল।
কক্সবাজার সফরে তাদের সঙ্গে ছিলেন দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু ও যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (ইউএসএআইডি) এশিয়া দপ্তরের উপসহকারী প্রশাসক অঞ্জলি কৌর,দক্ষিণ এশিয়ায় শরণার্থী বিষয়ক সমন্বয়কারী ম্যাককেঞ্জি রোয়ে ও ঢাকার মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস সহ ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল।
এ সময় তারা ক্যাম্প-৯, ১১ ও ১৮ পরিদর্শন করেন এবং কয়েকটি আন্তর্জাতিক এনজিও সংস্থার সেন্টারসহ রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলেন।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমার সেনাবাহিনীর গণহত্যার শিকার হয়ে রাখাইন রাজ্য থেকে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশের কক্সবাজারে এসে আশ্রয় নেয়। এ ছাড়া, মিয়ানমারে কয়েক হাজার রোহিঙ্গাকে হত্যা, নারীদের ধর্ষণ ও তাদের ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়।বর্তমানে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গার সংখ্যা প্রায় সোয়া ১২ লাখ। তারা উখিয়া-টেকনাফের ৩৪টি ক্যাম্পে অবস্থান করছেন।
Posted ১০:১৬ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ১৫ জুলাই ২০২৩
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta