কক্সবাংলা ডটকম(১ জুলাই) :: গুলশানের হলি আর্টিজানে নারকীয় জঙ্গি হামলার পর এক বছর কেটে গেলো। ভয়ঙ্কর সেই ঘটনা এখনও দেশবাসীকে নাড়া দেয়। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ব্যাপকভাবে আলোচিত এই জঙ্গি হামলার পর দেশ জুড়ে শুরু হয় পুলিশ ও র্যাবের জঙ্গি বিরোধী অভিযান। এসব অভিযানে হলি আর্টিজানে হামলার ঘটনায় জড়িত ও পরিকল্পনাকারীদের শনাক্ত করার দাবি করে ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। কার্যত এ ঘটনায় পর্দার আড়াল থেকে যারা ইন্ধন যুগিয়েছে তারা থেকে গেছে ধরা-ছোঁয়ার বাইরে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, হলি আর্টিজানে হামলার ইন্ধনকারী হিসাবে গোয়েন্দাদের খাতায় নাম উঠেছে মাওলানা শাকের নামে একজন ব্রিটিশ নাগরিকের। তার সঙ্গে তাজউদ্দিন নামে লক্ষ্মীপুরের এক দুর্ধর্ষ জঙ্গি রয়েছেন যিনি সিরিয়াতে আইএসের পক্ষে যুদ্ধ করছেন। তাজউদ্দিনের সঙ্গে শাকেরের যোগসূত্র রয়েছে।
কয়েকদিন আগে লক্ষ্মীপুরের একটি মাদ্রাসার খতিব মুফতি মুস্তাকুন্নবীকে গোয়েন্দা পুলিশ আটক করে নিয়ে গেছে। মুস্তাকুন্নবীর সঙ্গেও তাজউদ্দিনের যোগাযোগ ছিল। শাকেরের বিরুদ্ধে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অবস্থিত নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের মধ্যে জঙ্গি কার্যক্রম প্রচারণার অভিযোগ রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশে জঙ্গিদের অবস্থান জানানোর জন্য পরিকল্পিতভাবে হলি আর্টিজানে হামলা চালানো হয়েছে। বাংলাদেশে জঙ্গি সংগঠনগুলোর আন্তর্জাতিক মদদদাতারা এই হামলার পেছনে ক্রীড়নক হিসাবে কাজ করেছে। তাদের সঙ্গে হামলায় অংশ নেওয়া জঙ্গিদের চেইনে এতটাই দূরত্ব রয়েছে যে ওই আন্তর্জাতিক জঙ্গি চক্রগুলোর জড়িত থাকার দালিলিক কোন প্রমাণ মেলাতে পারছে না ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। একই সাথে তাদের শনাক্ত করা সম্ভব নয় বলেই এই ঘটনায় শুধু হামলাকারী, অস্ত্র সরবরাহকারী ও অর্থ যোগানদাতাদের পরিচয় জানা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকে গোয়েন্দা সংস্থা।
হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার ঘটনায় গুলশান থানায় এসআই রিপন কুমার দাস বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলার তদন্ত করছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পরিদর্শক হুমায়ন কবীর। এই মামলায় এখন পর্যন্ত ৪ জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এরা হলেন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির বিবিএ ফ্যাকাল্টির সাবেক শিক্ষক হাসনাত রেজা করিম, বগুড়ার দুর্ধর্ষ জঙ্গি জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধী, কল্যাণপুরের অভিযান থেকে আটক রাকিবুল ইসলাম রিগ্যান ও অস্ত্র সরবরাহকারী চাঁপাইনবাবগঞ্জের মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান।
জঙ্গি হামলার পর কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট সারাদেশে জঙ্গি বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। এসব অভিযানে হলি আর্টিজানে হামলার সঙ্গে জড়িত ৮ জন নিহত হয়। গত ৫ জানুয়ারি রাজধানীর রায়েরবাজারে কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয় নুরুল ইসলাম মারজান। গত বছরের ২৭ আগস্ট নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়ায় কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের অভিযানে নিহত হন তামিম চৌধুরী। তামিম ছিলেন কানাডীয়-বাংলাদেশি নাগরিক। গত বছরের ৮ আক্টোবর আশুলিয়ায় র্যাবের অভিযানে পাঁচ তলা থেকে পড়ে প্রাণ হারান জঙ্গি সারোয়ার জাহান।
র্যাব জানিয়েছিলো, হলি আর্টিজানে হামলার নেতৃত্বে ছিলো সারোয়ার জাহান। গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর ঢাকার রূপনগরে এক অভিযানে নিহত হন মেজর জাহিদ। জাহিদ ছিলেন জঙ্গিদের প্রশিক্ষণদাতা। গত বছরের ১০ সেপ্টেম্বর আজিমপুর অভিযানে নিহত হয় ডাচ-বাংলা ব্যাংকের সাবেক সহ-সভাপতি তানভীর কাদেরী।
গত বছরের ২৫ জুলাই কল্যাণপুরের জঙ্গি আস্তানায় অভিযানে নিহত হন আবু রায়হান তারেক ও আব্দুল্লাহ। গত বছরের ৮ই অক্টোবর গাজীপুরের পাতারটেকে অভিযানে নিহত হন ফরিদুল ইসলাম আকাশ। হলি আর্টিজানে হামলার পরপরই দায় স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছিলো আইএস।
কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট দাবি করেছে, কানাডা প্রবাসী তামিম আহমেদ চৌধুরী এই হামলার মাস্টারমাইন্ড। সারোয়ার জাহান জেএমবি’র শীর্ষ পর্যায়ের নেতা হিসাবে এই হামলার পুরো বিষয়টি তত্বাবধান করেছেন। তানভীর কাদরীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বাসা ভাড়া নিয়ে হামলাকারী নিবরাস ইসলাম, মীর সামীহ মুবাশ্বীর, রোহান ইবনে ইমতিয়াজ, খায়রুল ইসলাম পায়েল ও শফিকুল ইসলাম উজ্জ্বল ওরফে বিকাশ অবস্থান করেন।
অবসরপ্রাপ্ত মেজর জাহিদুল ইসলাম ও আবু রায়হান তারেক পাঁচ হামলাকারীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছিল। আব্দুল্লাহ ও ফরিদুল ইসলাম আকাশও এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত। গুলশান হামলার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের সঙ্গে আরও অন্তত ২২ জন জড়িত রয়েছে।
হামলার ঘটনায় ৫ জন পলাতক রয়েছেন। এরা হলেন বাশারুজ্জামান ওরফে চকলেট, সোহল মাহফুজ ওরফে হাতকাটা মাহফুজ, রাশেদ ওরফে র্যাশ, হাদিসুর রহমান সাগর ও ছোট মিজান। এদের মধ্যে প্রথম তিনজনকে গুরুত্বপূর্ণ আসামী বলছে তদন্তকারী সংস্থা কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।
জঙ্গি হামলার ঘটনায় নিহতের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পুলিশের হাতে পৌঁছলেও ৫ জঙ্গির ময়নাতদন্ত রিপোর্ট এখনও তৈরি করতে পারেনি ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগ।
কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের একটি সূত্র জানায়, জঙ্গি হামলার পরিকল্পনা নিয়ে তারা প্রথমে ক্যাডার বাছাই করে। সে ক্ষেত্রে তারা মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত নেয় যে, ঢাকায় কোথাও হামলা করতে হলে অবশ্যই ঢাকার ছেলে লাগবে। যারা ঢাকা শহর ভালো করে চিনে। সেরকম তারা তিনজনকে বাছাই করে।
সেসাথে তারা মনে করে যে তিনজনকে তারা বাছাই করে তাদের সকলের খুন করার ইতিহাস একটা দুটো করে ছিল। কিন্তু এরা শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত তাদের এ নিষ্টুরতা ধরে রাখতে পারবে কিনা অর্থাত্ মনোবল ধরে রাখতে পারবে কিনা- তা নিয়ে পরিকল্পনাকারীদের সন্দেহ ছিল। এ কারণে তাদের উপর নির্ভর না করে অনেক খুনের সঙ্গে জড়িত বা খুব কঠিন দুজন অপরাধীকে বাছাই করে। এই অপরাধীদের ব্যাকগ্রাউন্ড গ্রামীন অবকাঠামো থেকে উঠে আসা।
এ কারণে এই হামলায় ঢাকার নিবরাস, রোহান ও মুবাশ্বীরের সঙ্গে বগুড়ার পায়েল ও উজ্জলকে যুক্ত করা হয়। এই পাঁচজনকে বাছাই করে তাদের আলাদাভাবে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। গাইবান্ধার যমুনার একটি চরে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। তাদের প্রশিক্ষণ দেয় রুপনগরে নিহত অবসরপ্রাপ্ত মেজর জাহিদুল ইসলাম। চরের ঐ ক্যাম্পে ২৮ দিন প্রশিক্ষণ নেয় তারা। এরপর ঢাকায় বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি ভাড়া বাসায় তাদের থাকতে দেয়া হয়।
বাসাটি ভাড়া নেয় তানভীর কাদরী। এ বাসা ভাড়া নেয় যেন ঘটনাস্থলের খুব কাছাকাছি থাকতে পারে তারা। তখনও তারা টার্গেট হলি আর্টিজান নির্ধারিত করে নাই। তবে তাদের টার্গেট ছিল গুলশান বা বারিধারা এলাকায় হামলাটি চালাবে।
সূত্র জানায়, এক পর্যায়ে তারা নিশ্চিত হয় যে হলি আর্টিজান বেকারিতেই বেশি সংখ্যক বিদেশীর আনাগোনা হয়। শুক্রবার বেশি হয়। পাশাপাশি এটি নিরাপত্তা ব্যবস্থা বলতে তেমন কিছু নাই। ফলে সবদিক থেকে এটাকে উপযুক্ত টার্গেট হিসাবে তিন-চার দিন আগে বেছে নেওয়া হয়। পরে আলোচনার প্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত হয় যে হলি আর্টিজানই হচ্ছে তাদের টার্গেট।
কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেন, হামলায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক তারা ব্যবহার করেছে। পাশাপাশি অপারেশনের আগে অপারেশনাল সামগ্রী অর্থাত্ কেডস, টিশার্ট, ব্যাগ তারা সংগ্রহ করেছে। আমরা দেখেছি এটা খুব অল্প ব্যয়ে অপারেশন। এখানে ৮ থেকে ৯ লাখ টাকা বেশি তাদের খরচ হয়নি। হামলায় অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করেছে তানভির কাদরী। তানভীর কাদরী আগে ব্যাংকে বড় পদে চাকরি করতেন। তার স্ত্রীও একটি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন। তারা হিজরতের আগে তাদের অ্যাপার্টম্যান্ট ও গাড়ি বিক্রি করেছে। তারা সমুদয় টাকা এ জঙ্গি কর্মকান্ডের ফান্ডেই দিয়েছেন।
যেভাবে আসে অস্ত্র ও বিস্ফোরক কিভাবে এসেছে-এমন প্রশ্নের জবাবে মনিরুল ইসলাম বলেন, এ হামলায় তারা অস্ত্র ও বিস্ফোরক সংগ্রহ করেছিল। এগুলো তারা সংগ্রহ করে ঢাকায় নিয়ে এসেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও যশোর সীমান্ত দিয়ে।
এই মুহুর্তে বড় ধরনের হামলা করার শক্তি নেই জানিয়ে মনিরুল ইসলাম আরো বলেন, ‘হলি আর্টিজান ছিল তাদের প্রস্তুতির পিক টাইম। এটার পর আমরা খুব দ্রুততম সময়ের ভিতর তাদের নেটওয়ার্ক বিধ্বস্ত করে দিতে পেরেছিলাম। আমরা বলতে পারি এ মুহুর্তে তাদের হলি আর্টিজানের মত আরেকটি বড় ধরনের হামলা করার শক্তি, মনোবল ও সার্মথ নাই। তারা হয়ত বিচ্ছিন্নভাবে আবার একত্রিত হবার চেষ্টা করবে। আমরা আমাদের তত্পরতা অব্যাহত রেখেছি।’
জঙ্গিদের কার কী ভূমিকা ছিল ?
সিটিটিসির প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেছেন, পলাতকদের ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে। আগামী এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে পলাতকদের ধরতে সক্ষম হবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।তদন্ত সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এই হামলায় সরাসরি অংশ নেয় পাঁচ জন। তারা হলো রোহান ইমতিয়াজ, নিবরাস ইসলাম, মীর সামিহ মোবাশ্বের, খায়রুল ইসলাম পায়েল ও শফিকুল ইসলাম উজ্জ্বল। আত্মঘাতী এই পাঁচ জনের দায়িত্ব ছিল হলি আর্টিজানে হামলা করে বিদেশী নাগরিকদের হত্যা করা।
তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানান, গুলশান হামলার ঘটনায় জড়িতদের মধ্যে ৮ জন বিভিন্ন অভিযানে নিহত হয়। এই আট জন হলো তামিম চৌধুরী, সারোয়ার জাহান, নূরুল ইসলাম মারজান, তানভীর কাদেরী, মেজর (অব.) জাহিদ, আবু রায়হান তারেক, ফরিদুল ইসলাম আকাশ ও আব্দুল্লাহ। এরমধ্যে গুলশান হামলার অন্যতম মাস্টারমাইন্ড তামিম আহমেদ চৌধুরী। পুরো হামলার সমন্বয় ও বাস্তবায়ন করেছে সে।
গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়ায় এক জঙ্গি আস্তানায় দুই সহযোগীসহ নিহত হয় তামিম। এছাড়া তামিমের সমপর্যায়ের আরেক নেতা হলো সারোয়ার জাহান মানিক ওরফে আব্দুর রহমান। মূলত হামলার আর্থিক বিষয় ও ঘটনার তত্ত্বাবধান করে সে। গাজীপুরের আশুলিয়ায় ৮ অক্টোবর র্যাবের এক অভিযানের সময় পালাতে গিয়ে পাঁচ তলা থেকে পড়ে নিহত হয় এই জঙ্গি।
নিহত আরেক জঙ্গি নূরুল ইসলাম মারজান ছিল মাস্টারমাইন্ড তামিম চৌধুরীর ‘ডানহাত’। মারজানই পাঁচ হামলাকারীকে সঙ্গে নিয়ে হলি আর্টিজান রেকি করা, অস্ত্র ও গ্রেনেড সংগ্রহসহ অন্য বিষয়গুলো তদারক করে। তানভীর কাদেরী নামে আজিমপুরে নিহত আরেক জঙ্গির দায়িত্ব ছিল আর্থিক বিষয় তদারক ও বাসা ভাড়া করে রাখা। তানভীর কাদেরীর বসুন্ধরার বাসাতেই এসে উঠেছিল। আরেক জঙ্গি মেজর (অব.) জাহিদ ও আবু রায়হান তারেক ছিল পাঁচ হামলাকারীকে গাইবন্ধার চরে প্রশিক্ষণ দেয়। ফরিদুল ইসলাম আকাশ ও আব্দুল্লাহ এই হামলা সংঘটিত করতে নানাভাবে সহায়তা করে।
তদন্ত সূত্র জানায়, এই ঘটনায় জিম্মি হওয়া হাসনাত করিমসহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে হাসনাত করিমের বিষয়ে এখনও সুনির্দিষ্ট কোনও তথ্য জানা যায়নি। গ্রেফতারকৃত বাকি তিন জনের মধ্যে জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধী পাঁচ হামলাকারীর দু’জন পায়েল ও উজ্জ্বলকে আত্মঘাতী হিসেবে এই অপারেশনে যুক্ত করে। এছাড়া রাজীব নিজেও পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের সঙ্গে যুক্ত ছিল। গ্রেফতার হওয়া অন্য দু’জনের একজন মিজানুর রহমান ওরফে মিজান গ্রেনেড ও অস্ত্র সরবরাহকারী। আর রাকিবুল হাসান রিগ্যান পাঁচ হামলাকারীর ধর্মীয় বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়েছিল বলে নিজের দেওয়া জবানবন্দিতে স্বীকার করেছে।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, গুলশান হামলায় জড়িতদের মধ্যে পাঁচ জন এখনও পলাতক রয়েছে। এর মধ্যে মাহফুজ ওরফে হাতকাটা মাহফুজ অস্ত্র-গ্রেনেড সরবরাহের বিষয়টি তদারক করে। একই সঙ্গে সে শেওড়াপাড়ার বাসায় বসে গুলশান হামলার ব্যবহৃত গ্রেনেডগুলো তৈরি করে বলে জবানবন্দিতে জানিয়েছে রাজীব গান্ধী। পলাতক আরেক জঙ্গি বাশারুজ্জামান চকলেট ছিল মাস্টারমাইন্ড তামিমের অন্যতম সহযোগী। পরিকল্পনা ও হামলা বাস্তবায়নে নানাভাবে সহায়তা করে সে। একইরকম ভূমিকা পালন করে আরেক পলাতক জঙ্গি রাশেদ ওরফে র্যাশ। এছাড়া বাকি দু’জন হাদীসুর রহমান সাগর ও ছোট মিজান পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ আনা নেওয়ার সঙ্গে জড়িত বলে জানিয়েছে তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।