কক্সবাংলা ডটকম(৩১ মে) :: কাল ১লা জুন ঘোষণা করা হবে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেট। বেলা দেড়টায় জাতীয় সংসদে বাজেট উপস্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বাজেটের সম্ভাব্য আকার হবে ৪ লাখ ২৭০ কোটি টাকা। নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়নের কারণে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রাও বাড়ছে বড় আকারে। এরপরেও রেকর্ড পরিমাণ ঘাটতি থাকবে নতুন বাজেটে।
একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে এটিই শেষ বাজেট বাস্তবায়নে পুরো ১২ মাস সময় পাবে সরকার। তাই নতুন বাজেট প্রণয়নে নির্বাচনের চেয়ে সংস্কারকেই বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের চাহিদার সাথে আয়কর, ভ্যাট ও শুল্ক থেকে কি পরিমাণ অর্থ পাওয়া যাবে, তার হিসাব কষে আয়-ব্যয়ের চুড়ান্ত রূপরেখা তৈরি করেছেন অর্থমন্ত্রী।
মানবসম্পদ উন্নয়ন সরকারের প্রধান লক্ষ্য হলেও পরিবহন ও জ্বালানি খাত সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ পাবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।
অর্থ মন্ত্রণালয় সুত্রে জানা গেছে, এবারের বাজেটের আকার হবে ৪ লাখ ২৭০ কোটি টাকা। বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য থাকছে সাত দশমিক চার শতাংশ। মুল্যস্ফীতি সাড়ে ৫ শতাংশের মধ্যে আটকে রাখার পরিকল্পনাও থাকছে।
বিশাল ব্যয়ের বিপরীতে আয় ২ লাখ ৭১ হাজার ২৫৮ কোটি টাকা। সে হিসেবে ঘাটতি প্রায় এক লাখ ২৯ হাজার ১২ কোটি টাকা। যা জিডিপির পাঁচ দশমিক আট ভাগ।
ঘাটতি পূরণে বিদেশি ঋণের পাশাপাশি এবারও ব্যাংক ও ব্যাংক বহির্ভুত খাত থেকে বড় অংকের অর্থ নেবে সরকার।
এবার বার্ষিক বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আকার হচ্ছে দেড় লাখ কোটি টাকার বেশি। এর ৬৩ ভাগ অর্থেরই যোগান দেবে সরকার। বাকিটা আসবে দাতা ও উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে। কৃষি ও রপ্তানিসহ বিভিন্ন খাতে বাজেটে ভর্তুকি বাবদ রাখা হচ্ছে সাড়ে ২৭ হাজার কোটি টাকা।
বাজেটে মোট আয়ের ৮৭ ভাগই দেবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। বাজেটে এনবিআরের মাধ্যমে রাজস্ব আদায়ের মোট লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে দুই লাখ ৪৮ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ভ্যাট থেকে আসবে ৯১ হাজার কোটি টাকা। কর বহির্ভূত খাত থেকে পাওয়া যাবে ২৭ হাজার কোটি টাকা। আর বাকিটা পূরণ হবে এনবিআর বহির্ভুত আয় থেকে।
জনগণকে স্বস্তি দিতে ব্যক্তির করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়ানোর প্রস্তাব থাকছে বাজেটে। প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা কর্পোরেট কর কমানোর দাবি করলেও তার প্রতিফলন থাকছে না নতুন বাজেটে।
নানা আলোচনা সমালোচনার পরও পহেলা জুলাই থেকে নতুন ভ্যাট আইন কার্যকর করতে যাচ্ছে সরকার। এতে বেশ কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও সেবাকে ভ্যাটের আওতামুক্ত রাখা, দেশি শিল্পের সুরক্ষায় আমদানি পণ্যে সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব থাকবে বাজেটে।
Posted ১:২৯ অপরাহ্ণ | বুধবার, ৩১ মে ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta