কক্সবাংলা ডটকম(৯ জুন) :: আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে আওয়ামী লীগের রাজনীতির দিকে চোখ রাখছেন কূটনীতিকরা। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের সার্বিক অর্থনীতি, স্থিতিশীলতা ও রাজনৈতিক পরিস্থিতিও বিশ্লেষণ করছেন তারা।
জানা গেছে, আগামী বছর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে এখন থেকেই সোচ্চার কূটনীতিকরা। বিশেষ করে পশ্চিমা কূটনীতিকরা নির্বাচন কমিশন ও আওয়ামী লীগের প্রতিটি পদক্ষেপের দিকে নজর রাখছেন। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যের কূটনীতিকরা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
সামনের দিনগুলোয় বাংলাদেশের আরো অংশীদাররা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করবে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় চাইছে বাংলাদেশে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। সেই সঙ্গে সব দলের অংশগ্রহণের বিষয়টিতেও নিশ্চয়তা খুঁজছে তারা।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে পশ্চিমা এক কূটনীতি বলেন, বাংলাদেশে মূলত অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চায় বিদেশীরা, যেখানে সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হবে। এক্ষেত্রে কূটনীতিকরা আওয়ামী লীগের রাজনীতিকে বেশি পর্যবেক্ষণ করছেন।
এদিকে সম্প্রতি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সঙ্গে দেখা করে যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার জানিয়েছেন, আগামী নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণে অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন চায় যুক্তরাজ্য। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বা ২০১৪-এর ৫ জানুয়ারির মতো নির্বাচন দেখতে চায় না তার দেশ। এ সময়ে সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করাই ইসির প্রধান চ্যালেঞ্জ বলে জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদা। যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতও আগামী নির্বাচন নিয়ে একই ধরনের আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
সম্প্রতি ডিকাব টকে অংশ নিয়ে ভারতীয় হাইকমিশনার জানিয়েছেন, আগামী নির্বাচন সামনে রেখে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত ভারত। তবে কী ধরনের সহযোগিতা লাগবে, তার চাহিদা বাংলাদেশ থেকে আসতে হবে।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দেশের অন্যতম বৃহত্ রাজনৈতিক দল বিএনপির বর্জনে একতরফা নির্বাচনে সুষ্ঠু পরিবেশের অভাব ও নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থা না থাকা নিয়ে এখনো আগের অবস্থানেই রয়েছেন কূটনীতিকরা। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ অন্য দেশগুলো নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। এখনো তাদের সে অবস্থানের পরিবর্তন হয়নি। এ অবস্থায় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে ইসিকে শক্তিশালী ভূমিকায় দেখতে চায় তারা।
আগামী নির্বাচন সামনে রেখে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করার পাশাপাশি অর্থনৈতিক পরিস্থিতিও পর্যবেক্ষণ করছেন তারা। আগামী নির্বাচন সামনে রেখে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হলে ব্যবসায়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বিদেশী বিনিয়োগকারীরা।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের নির্বাচনকে সামনে রেখে খসড়া রোডম্যাপ তৈরি করেছে নির্বাচন কমিশন। জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে তা নির্ধারণ করা হবে। রোডম্যাপে সীমানা পুনঃনির্ধারণ, আইন সংস্কার, ভোটার তালিকা হালনাগাদসহ বিভিন্ন বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
Posted ১:৫৬ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ০৯ জুন ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta