
কক্সবাংলা ডটকম(১৬ অক্টোবর) :: আজ প্রকাশিত উচ্চ মাধমিকের ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, প্রায় অর্ধেক পরীক্ষার্থীই এ বছর উচ্চমাধ্যমিকের চৌকাঠ পেরুতে পারেননি।
এর কারণ অনুসন্ধান করছেন পরীক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকরাও।
তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবার সব বোর্ডের ইংরেজি ও গণিত প্রশ্ন ছিল কঠিন। এর সঙ্গে উচ্চতর গণিত ও আইসিটি বিষয়ে কঠিন ধরাশায়ী হয়েছে।
সব বোর্ডের শিক্ষার প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হার ৫৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৯৭ জন।
মাদরাসা বোর্ডে ৪ হাজার ২৬৮ জন এবং কারিগরিতে ১ হাজার ৬১০ জনসহ মোট জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৯৭ জন।
একুশ বছর পর উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষায় এবার অন্য রকম ফল। ৪২ দশমিক ৮৮ শতাংশ শিক্ষার্থীই অকৃতকার্য। তাই উচ্ছ্বাসের ঝাপটা গেল দুই দশকের চেয়ে কিছুটা ধূসর। ভিত দুর্বল হওয়ায় আগের মতো এ বছরও বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী ইংরেজি বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছে।
একই কারণে উচ্চতর গণিত ও তথ্যপ্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয়েও অনেক শিক্ষার্থী ফেল করেছে। অনেক অগ্রসর শিক্ষার্থী ভালো করতে পারেনি, পিছিয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের ফল আরও নাজুক। গ্রাম ও শহরে সাফল্যের বৈষম্য অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে প্রকট হয়েছে।
পাবলিক পরীক্ষায় সব সময় দ্যুতি ছড়ানো রাজধানীর ১৬ শতাংশ শিক্ষার্থী এবার ফেল করেছে, যা ৩০ বছরের মধ্যে রেকর্ড। ঢাকার আশপাশের জেলাগুলোর ফলও এবার খারাপ। ঢাকা বিভাগের ১০ জেলার মধ্যে সাতটিতে পাসের হার ৫০ শতাংশের নিচে। এর মধ্যে সবচেয়ে কম পাস করেছে গোপালগঞ্জে। সেখানে পাসের হার মাত্র ৪২ দশমিক ২৮ শতাংশ। এ ছাড়া শরীয়তপুরে ৪২ দশমিক ৪২ শতাংশ, টাঙ্গাইলে ৪৪ দশমিক ৪১, মানিকগঞ্জে ৪৫ দশমিক ৪০, রাজবাড়ীতে ৪৫ দশমিক ৯৮, মাদারীপুরে ৪৬ দশমিক ৩৮ ও কিশোরগঞ্জে পাসের হার ৪৮ দশমিক ৫০ শতাংশ।
সার্বিকভাবে পাস কমার পাশাপাশি জিপিএ ৫ প্রাপ্তিও কমেছে। শতভাগ ফেল করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়েছে; বিপরীতে কমেছে শতভাগ পাস করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা। অর্থাৎ ফলের সব সূচকই এবার নিম্নমুখী।
ফল কেন এমন হলো– এ নিয়ে শিক্ষক, পরীক্ষার্থী, অভিভাবক থেকে শুরু করে ফল তৈরির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারাও নানা বিশ্লেষণ শুরু করেছেন। কেউ কেউ বলছেন, এটিই প্রকৃত ফল।
অতীতে উদারভাবে খাতা দেখার ধারাবাহিকতা থেকে বেরিয়ে এসে ‘প্রকৃত’ মূল্যায়ন শুরু হওয়ায় ফলের উল্লম্ফনে ছেদ পড়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের সময় গত মাধ্যমিক পরীক্ষা থেকে এ ধারা শুরু হয়েছে। যথাযথ মূল্যায়নের কারণে মাধ্যমিকে ফল হয়েছিল ১৫ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। আর উচ্চ মাধ্যমিকে এসে তা ২১ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন হয়েছে।
তবে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক খন্দোকার এহসানুল কবির এতে গলদও দেখতে পাচ্ছেন। ফল প্রকাশের সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘প্রায় অর্ধেক শিক্ষার্থী পাস করল না, এটা তো কাঙ্ক্ষিত নয়। এই বিষয়টিতে আমরা একটা আয়নার সামনে দাঁড়িয়েছি। তাতে আমরা দেখতে পাচ্ছি, গলদ আছে; অবশ্যই গলদ আছে। সেই গলদের জায়গাগুলো ঠিক করতে হবে।’
শিক্ষা ব্যবস্থায় গলদের কথাও বলছেন অনেকে। তাদের মতে, শিক্ষাকে রাজনৈতিক সফলতা দেখানোর চেষ্টা করায় প্রকৃত শিক্ষাদানের ঘাটতি তৈরি হয়েছে।
ফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, দুই দশকের বেশি সময় পর এবারের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাসের হার অনেকটাই নেমেছে। ২০০৫ সালের পর এই প্রথম পাসের হার নেমেছে ৬০ শতাংশের নিচে। গত বছর পাসের হার ছিল ৭৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ, সেখানে এবার তা ৫৭ দশমিক ১২ শতাংশে নেমেছে, যা গত বছরের চেয়ে ১৮ দশমিক ৪৪ শতাংশ কম।
শুধু পাসের হার নয়, বরং জিপিএ ৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যায়ও দেখা গেছে বড় ধস। গত বছর যেখানে এক লাখ ৩১ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী জিপিএ পেয়েছিল, এ বছর সেই সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৬৩ হাজার ২১৯-এ।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে একযোগে উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ হয়। ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এ বছর পরীক্ষায় অংশ নেন ১০ লাখ ৪৭ হাজার ২৪২ শিক্ষার্থী, যার মধ্যে পাস করেছেন পাঁচ লাখ ৯৮ হাজার ১৬৬ জন। একই সঙ্গে প্রকাশ হয়েছে মাদ্রাসা (আলিম) ও কারিগরি (ভোকেশনাল, বিএম ও ডিপ্লোমা ইন কমার্স) পরীক্ষার ফলও।

বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) তথ্য অনুযায়ী, ২০০৫ সালের পর থেকে এইচএসসির পাসের হার সাধারণত ঊর্ধ্বমুখী ছিল। ২০০৬ ও ২০০৭ সালে তা ছিল ৬৪ শতাংশের কাছাকাছি; ২০০৮ সালে প্রায় ৭৫ শতাংশে পৌঁছায়। ২০০৯ সালে কিছুটা কমে ৭০ দশমিক ৪৩ শতাংশে দাঁড়ায়। এরপর এক দশকের বেশি সময় পাসের হার ছিল ৭০ থেকে ৮৫ শতাংশের মধ্যে।
২০২০ সালে করোনা মহামারির কারণে সরাসরি পরীক্ষা হয়নি; বিশেষ মূল্যায়ন প্রক্রিয়ায় সবাই উত্তীর্ণ হন। পরের দুই বছর, অর্থাৎ ২০২১ ও ২০২২ সালে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে নেওয়া পরীক্ষায় পাসের হার ছিল যথাক্রমে ৯৫ ও ৮৫ শতাংশের বেশি। তবে ২০২৩ সালে তা ৮০ শতাংশের নিচে নেমে আসে।
সিলেট শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী অবশ্য এই ফলকে বিপর্যয় মানতে নারাজ। তাঁর মতে, এটাই বাস্তব চিত্র। শিক্ষার্থীরা যা লিখেছে, তার ভিত্তিতে নম্বর পেয়েছে।
ইংরেজি ও আইসিটিতে ধস, গ্রাম-শহরে বৈষম্য প্রকট
শিক্ষা বোর্ডগুলোর সূত্রে জানা গেছে, সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছেন ইংরেজি এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয়ে। বিশেষ করে ইংরেজিতে ফেল করা শিক্ষার্থীর সংখ্যা গত বছরের চেয়ে প্রায় ২৫ শতাংশ বেড়েছে। শুধু দিনাজপুর বোর্ডের ৩৫ হাজারের বেশি পরীক্ষার্থী এ বিষয়ে ফেল করেছে।
শিক্ষাবিদরা বলছেন, এ দুটি বিষয়ই সাম্প্রতিক বছরগুলোতে শিক্ষার্থীদের শেখার ঘাটতির সবচেয়ে বড় সূচক হয়ে উঠেছে। এ ছাড়া উচ্চতর গণিত পরীক্ষায়ও বিজ্ঞান বিভাগের বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী পাস করতে পারেনি।
এ ছাড়া গ্রাম ও শহরাঞ্চলে ফলের পার্থক্যও এবার অনেক বেড়েছে। শহুরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে কিছু নামকরা কলেজে পাসের হার ৮০ শতাংশের ওপরে থাকলেও গ্রামীণ কলেজগুলোর অনেক জায়গায় তা ৪০ শতাংশেরও নিচে নেমে এসেছে।
শতভাগ পাস কমেছে, ‘শূন্য পাস’ বেড়েছে তিন গুণ
ব্যানবেইসের সর্বশেষ বিশ্লেষণ অনুযায়ী, এ বছর শতভাগ পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা কমে ৩৪৫টিতে দাঁড়িয়েছে, যা গত বছর ছিল এক হাজার ৩৮৮টি। বিপরীতে, যেসব প্রতিষ্ঠান থেকে একজনও পাস করেনি–এমন ‘শূন্য পাস’ প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০২, যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় তিন গুণ। এই পরিসংখ্যান শিক্ষা ব্যবস্থার তৃণমূলের দুরবস্থা ও মান-অসাম্যের চিত্র স্পষ্ট করে বলে বিশেষজ্ঞদের মত।
বিশ্লেষকরা যা বলছেন
এ বছর পাসের হার কমলেও প্রকৃত মেধার মূল্যায়ন হয়েছে বলে মন্তব্য করেন ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মাজেদা বেগম। তিনি বলেন, সরকার এ বছর চেয়েছে, যেন মেধার মূল্যায়ন হয়। তাই প্রশ্ন ও খাতা দেখার ধারা পরিবর্তন করা হয়েছে। ফলে সামগ্রিক ফল খারাপ হলেও হয়েছে প্রকৃত মেধার মূল্যায়ন। প্রশ্নের ধরন বুঝতে একটু সমস্যা হয়েছে। তবে আগে থেকে জানালে শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতি নিতে আরও সহজ হতো।
আর ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক খন্দোকার এহসানুল কবির বলেন, অনেক শিক্ষার্থী পাস করতে পারেনি, এটা কাঙ্ক্ষিত নয়। আমরা এক ধরনের আয়নার সামনে দাঁড়িয়েছি। এতে বোঝা যাচ্ছে, গলদ আছে। এখন সেই গলদ ঠিক করতে হবে। এ দায়িত্ব বোর্ড, শিক্ষক ও প্রতিষ্ঠানের।
তিনি আরও বলেন, বোর্ড থেকে এবার পরীক্ষকদের কোনো অতিরিক্ত নম্বর দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। উত্তরপত্র মূল্যায়নে নিয়ম মেনে চলার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল। এ জন্য সময়ও বাড়ানো হয়। অধ্যাপক কবিরের ভাষায়, নিয়ম অনুযায়ী খাতা মূল্যায়ন করার ফলেই হয়তো এবার ‘কৃত্রিম উত্থান’ না হয়ে বাস্তব চিত্র প্রকাশ পেয়েছে।
‘গ্রেস মার্ক’ সংস্কৃতি বন্ধের প্রভাব ফলে পড়েছে বলে মনে করেন ইডেন মহিলা কলেজের ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ফাহমিদা আখতার। তিনি দীর্ঘদিন এইচএসসি পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নে যুক্ত ছিলেন। তিনি বলেন, গ্রেস মার্ক দেওয়ার সংস্কৃতি আগে থেকেই ছিল। অনেক পরীক্ষক ৩১ বা ৩২ পাওয়া শিক্ষার্থীদের নম্বর বাড়িয়ে ৩৩ করে দিতেন। এতে পাসের হার কৃত্রিমভাবে বাড়ত। যদি এবার বোর্ড থেকে এমন ‘গ্রেস’ না দেওয়ার কথা বলা হয়ে থাকে, তাহলে ফল এমন হওয়া অস্বাভাবিক নয়। তিনি মনে করেন, এটা এক অর্থে ইতিবাচক– যদি আমরা এটিকে বাস্তব মান যাচাইয়ের সূচনা হিসেবে দেখি।
ফল প্রকাশের পর সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সি আর আবরার বলেন, এ বছর এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফল অনেককে বিস্মিত করেছে। তবে এই ফল কোনো দুর্ঘটনা নয়। এটি দীর্ঘমেয়াদি শেখার সংকটের প্রতিফলন।
তিনি বলেন, আমরা এমন এক সংস্কৃতি গড়ে তুলেছিলাম, যেখানে সংখ্যাই সত্য হয়ে উঠেছিল– পাসের হারই সাফল্যের প্রতীক, জিপিএ ৫ ছিল তৃপ্তির মানদণ্ড। সেই সংখ্যার খেলা আমাদের প্রকৃত শেখার ঘাটতি আড়াল করেছে। আজ সেই আড়াল ভেঙে বাস্তবতা সামনে এসেছে। এখন সময় এসেছে শেখার ভিত্তি মজবুত করার।
পাসের হারে এ বছর ধসের কারণ হিসেবে কেউ কেউ করোনা-পরবর্তী অভিঘাত ও প্রশাসনিক পরিবর্তনের প্রভাবও তুলে ধরেছেন। শিক্ষা বিশ্লেষকরা বলছেন, করোনার সময় শিক্ষা বিচ্ছিন্নতা এখনও পুরোপুরি কাটেনি। কয়েক বছর ধরে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস, অনলাইন ক্লাস এবং অসম মূল্যায়ন পদ্ধতির কারণে শেখার ঘাটতি তৈরি হয়েছে, যার প্রভাব এখন দেখা যাচ্ছে।
অন্যদিকে, গত বছরের রাজনৈতিক অস্থিরতা, আন্দোলন ও প্রশাসনিক পরিবর্তনের কারণে পরীক্ষার আয়োজন ও খাতা মূল্যায়নের ধরনেও বড় পরিবর্তন আসে। অনেক পরীক্ষক জানিয়েছেন, নতুন প্রশাসনের অধীনে তারা নম্বর দিতে ‘সতর্ক ও সংযত’ ছিলেন।
বোর্ড চেয়ারম্যানদের চোখে এবারের ফল
ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল্লাহ বলেন, ইংরেজি, গণিত ও আইসিটিতে দুর্বলতা, দক্ষ শিক্ষকের অভাব এবং পূর্ণ সিলেবাসে পরীক্ষায় ফেরায় শিক্ষার্থীরা মানিয়ে নিতে পারেনি। তিনি বলেন, ইংরেজি ও গণিতে ভিত্তি মজবুত, প্রশিক্ষিত শিক্ষক নিয়োগ এবং শ্রেণিকক্ষে নিয়মিত চর্চা নিশ্চিত করতে হবে।
যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোসাম্মাৎ আসমা বেগম বলেন, ফলে আমরা সন্তুষ্ট নই। তবে এবার অন্য কোনো চাপ না থাকায় মেধার সঠিক মূল্যায়ন হয়েছে। আমরা শিক্ষার মান উন্নয়নে চেষ্টা করেছি। আর পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নে বাড়তি নম্বর (গ্রেস) যোগ করার বিষয়টি বন্ধ হয়েছে।
কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শামসুল আলম বলেন, আমাদের বোর্ডে ইংরেজিতে পাসের হার ৬৫ দশমিক ২৮, গণিতে ৬০ দশমিক ৪৮ ও আইসিটিতে ৭৭ দশমিক ২২ শতাংশ। দক্ষ শিক্ষকের সংকট ও কেন্দ্র পরিবর্তনের কারণে ফল খারাপ হয়েছে।
রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আ ন ম মোফাখখারুল ইসলাম বলেন, রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে শুধু ইংরেজিতে ফেল করেছে ২২ হাজার পরীক্ষার্থী।

Posted ৮:২১ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta