বুধবার ১৫ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১লা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম

বুধবার ১৫ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে দেশে ফিরছেন তারেক রহমান

শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৪
39 ভিউ
২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে দেশে ফিরছেন তারেক রহমান

কক্সবাংলা ডটকম(২০ ডিসেম্বর) :: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আগামী ফেব্রুয়ারিতে দেশে ফিরবেন। সপরিবারে ঢাকা ফিরে তিনি গুলশানে উঠবেন। তার থাকার জন্য ৩টি বাসা দেখা হয়েছে।

বর্তমানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গুলশানে ফিরোজায় থাকছেন। এর আশপাশে বাসা দেখা হচ্ছে।

এ ছাড়া চলতি মাসের ২৮ তারিখে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার দিনক্ষণও ঠিক রয়েছে। সব কিছু ঠিক থাকলে ২৮ বা ২৯ ডিসেম্বর লন্ডনে দেখা হবে মা-ছেলের।

দলীয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, খালেদা জিয়ার ইংল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নেওয়া হয়েছে। প্রথমে ঢাকা থেকে লন্ডনে তারেক রহমানের কাছে যাবেন তিনি। ছয়জন চিকিৎসকসহ ১৬ জনের মতো সফরসঙ্গী থাকতে পারে।

লন্ডনে যাওয়ার পর সিদ্ধান্ত হবে, যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি বা অন্য কোনো দেশে তার লিভার ট্রান্সপ্লান্ট করানো হবে।

তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো বলছে, ফেব্রুয়ারির শেষে তারেক রহমান দেশে ফিরতে পারেন। গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান অ্যাভিনিউয়ের ১ নম্বর বাড়ি ঠিকঠাক করা হচ্ছে।

লন্ডন থেকে খালেদা জিয়াকে যুক্তরাষ্ট্রে ও জার্মানিতে নেওয়ার পরিকল্পনা আছে। চিকিৎসা শেষে ওমরাহ পালন করে দেশে ফেরবেন মা-ছেলে।

বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা বলছেন, তারেক রহমান যে কোনো সময় দেশে ফিরতে পারেন। তার দেশে ফিরতে কোনো বাধা নেই। তিনি চান, তার বিরুদ্ধে করা মিথ্যা মামলাগুলো দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী মোকাবিলা করতে। সেভাবেই আইনজীবীরা মুভ করছেন। অধিকাংশ মানহানি মামলা খারিজ হয়ে গেছে।

যেগুলো আছে সেগুলোও শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে। ৪টি দণ্ডপ্রাপ্ত মামলা রয়েছে, এগুলোও শিগগিরই শুনানি হবে। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে হওয়া সব মামলা জামিন বা নিষ্পত্তি হওয়ার প্রক্রিয়াধীন। জানুয়ারি মাসের ২০ তারিখের মধ্যে সব মামলার পরিণতি স্পষ্ট হবে।

বিএনপি নেতারা বলছেন, শিগগিরই তারেক রহমান দেশে ফিরবেন। তার বিরুদ্ধে যে মামলাগুলো রয়েছে সেগুলো তার ফেরার জন্য বাধা না হলেও এগুলো শেষ হয়ে গেলে আর কোনো কথা থাকে না। ফেরার পথ সুগম হয়। সরকার আন্তরিক হলে বাকি মামলা খারিজ হতে বড়জোর ১ মাস সময় লাগবে। একদিকে তার দেশে ফেরার ইস্যুটির আইনি দিক রয়েছে, অন্যদিকে এটি রাজনৈতিক বিষয়।

এ ছাড়া দলীয় চেয়ারপারসনের বিদেশে চিকিৎসা নেওয়ার ওপর নির্ভর করছে কবে তিনি দেশে ফিরবেন।

বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, উন্নত চিকিৎসার জন্য ম্যাডামকে বিদেশে নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। ওনার মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তিনি যাবেন। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কবে দেশে ফিরবেন তা উনি ভালো বলতে পারবেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বলেন, তারেক রহমানের দেশে ফেরার পথ এখন অনেকটাই সুগম হয়েছে। তার বিরুদ্ধে থাকা মামলাগুলো থেকে নিষ্পত্তি পেলেই দেশে ফিরবেন তিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, তিনি (তারেক রহমান) তার মাতৃভূমিতে অবশ্যই আসবেন। তিনি জনগণের অধিকারের জন্য আন্দোলন করছেন। এদেশে থাকার এবং আসার অধিকার তো তারও আছে। একটু অপেক্ষা করেন, দেখতে পাবেন।

বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-আইনবিষয়ক সম্পাদক ও সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন মেজবাহ বলেন, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দেড় শতাধিক মামলা করা হয়। এগুলো সবই মিথ্যা মামলা। অনেকগুলো খারিজ হয়ে গেছে। বাকিগুলো শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে। মামলা নিষ্পত্তি হওয়ার পর তিনি দেশে ফিরবেন বলে আশা করছি।

তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়ে তার আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কবে ফিরবেন, তা তিনিই সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে তার দেশে ফিরতে কোনো বাধা নেই।

মামলা তার দেশে ফেরার জন্য কোনো বাধা নয়। বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে তিনি যে কোনো সময় দেশে ফিরতে পারেন। তারেক রহমান আইনের শাসনে বিশ্বাস করেন। উনি চান, তার বিরুদ্ধে করা মামলাগুলো আইনগতভাবে নিষ্পত্তি করতে।

এক-এগারো সরকারের সময় তার বিরুদ্ধে মোট ১৯টি মামলা দায়ের করা হয়। পরে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের সময় ২টি ক্রিমিনাল মামলাসহ মোট ৬৪টি মানহানির মামলা করা হয়। এর মধ্যে ৫টি মামলায় তাকে দণ্ড দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে ২১ আগস্টের মামলা থেকে তিনি খালাস পেয়েছেন। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা বিজ্ঞ আদালতে শুনানির জন্য আছে। অন্য যে দুটি মামলা রয়েছে সেগুলোও শুনানির জন্য রয়েছে।

আইনজীবী কামাল আরও বলেন, মানহানির যে মামলাগুলো-তার মধ্যে অধিকাংশ মামলাই খারিজ বা বাতিল হয়েছে। কারণ দেখা গেছে অনেক মামলার বাদী মারা গেছেন। বাদী মারা গেলে মামলা চলে না।

এ ছাড়া ফ্যাসিস্ট শেখা হাসিনাকে খুশি করার জন্য অনেকে অতি উৎসাহী হয়ে ২০১৪ সালে মামলা করেছিলেন। সেই মামলা করার পরে আর কোনোদিনও খোঁজখবর নেননি। যে কারণে এসব মামলায় কোনো সাক্ষী ছিল না। মামলার বাদীর উপস্থিতি নেই। তাই আদালত এগুলো খারিজ করে দিয়েছেন। এভাবে সারা দেশে করা অধিকাংশ মানহানির মামলা খারিজ হয়ে আছে।

তিনি জানান, এখন তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ৪টি কনভিকশনের মামলা এবং ২৪টি মানহানির মামলা বিদ্যমান। এই মামলাগুলো আদালতে শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে। আশা করছি দ্রুতই এগুলো শেষ হয়ে যাবে।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সম্প্রতি বলেছেন, আপনারা জানেন, ওনার বিরুদ্ধে (বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান) অনেক মিথ্যা, প্রতিহিংসামূলক মামলা রয়েছে। সেগুলো প্রত্যাহার হলে বা আদালতের মাধ্যমে শেষ হলে তিনি দেশে ফিরবেন।

39 ভিউ

Posted ১:১৪ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৪

coxbangla.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

Editor & Publisher

Chanchal Dash Gupta

Member : coxsbazar press club & coxsbazar journalist union (cbuj)
cell: 01558-310550 or 01736-202922
mail: chanchalcox@gmail.com
Office : Shaheed sharanee road, cox’sbazar municipalty
coxsbazar-4700
Bangladesh
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
বাংলাদেশের সকল পত্রিকা সাইট
Bangla Newspaper

ABOUT US :

coxbangla.com is a dedicated 24x7 news website which is published 2010 in coxbazar city. coxbangla is the news plus right and true information. Be informed be truthful are the only right way. Because you have the right. So coxbangla always offiers the latest news coxbazar, national and international news on current offers, politics, economic, entertainment, sports, health, science, defence & technology, space, history, lifestyle, tourism, food etc in Bengali.

design and development by : webnewsdesign.com