কক্সবাংলা ডটকম(২৬ জুলাই) :: রাজধানি ঢাকায় পাল্টাপাল্টি সমাবেশ নিয়ে রাজনীতিতে উত্তেজনা চরমে। বৃহস্পতিবার শেষ কর্মদিবসে মানুষের ব্যস্ততা থাকে। তাই বিএনপির বৃহস্পতিবারের মহাসমাবেশ পিছিয়ে আগামী শুক্রবার (২৮ জুলাই) নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু এই দিনেও প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি পাল্টাপাল্টি সমাবেশ ডেকেছে।
বিএনপি এক দফা দাবিতে আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে।সেই এক দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তারা ঢাকায় মহাসমাবেশ করবে। এখন পর্যন্ত বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়নি যে এই মহা সমাবেশের মাধ্যমে তারা কী অর্জন করতে চায়। তবে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিভিন্ন গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে বলেছেন যে, তারা তাদের আন্দোলনকে চূড়ান্ত ধাপে নিয়ে যাওয়ার জন্য এই সমাবেশ ডেকেছেন।
এদিকে বিএনপি’র মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে নয়াপল্টন দলীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের ব্যাপক উপস্থিতি দেখা গেছে। বুধবার বিকেলে নয়াপল্টন বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে শত শত পুলিশ অবস্থান নেয়। এসময় দেখা যায়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা পর্যাপ্ত প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিয়ে অবস্থান করছেন বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে। জনদুর্ভোগ এবং কোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সে জন্যই পুলিশের এই কঠোর অবস্থান বলে জানা গেছে।
তবে বিএনপি সূত্র জানিয়েছে, তারা ঢাকার নয়াপল্টনে তাদের কার্যালয়ের সামনে অথবা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই সমাবেশ করতে চায়। প্রয়োজনে তারা সমাবেশ এক দিন পিছিয়ে দিতে পারে। সে ক্ষেত্রে সমাবেশের নতুন তারিখ আগামী শুক্রবার ২৮ জুলাই।
বিভিন্ন সূত্র বলছে, ২৮ জুলাইয়ের এই মহাসমাবেশ থেকে বিএনপি একটি আল্টিমেটাম দিবে তাদের দাবি মানার জন্য। বিএনপি বলছে, তাদের দাবি এখন একটিই। তাহল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেয়া।
এই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত বিএনপি রাজপথেই ফয়সালা করবে বলে ঘোষণা দিয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে,২৮ জুলাইয়ের সমাবেশের মাধ্যমে তারা সরকারকে ৪৮ বা ৭২ ঘণ্টার একটি আলটিমেটাম দেবে। এরপর ঢাকায় অবস্থান সহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে।
এদিকে বুধবার সকালেই সরগরম ছিল আমেরিকান ক্লাব । বিএনপির দুই নেতাকে প্রাতঃরাশের আমন্ত্রণ জানান মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস। তাদের সঙ্গে সকালের নাস্তার ফাঁকে ফাঁকে রাজনীতির গতি-প্রকৃতি ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস।
২৮ জুলাইয়ের সমাবেশে কি হতে যাচ্ছে, বিএনপির পরিকল্পনা কি ইত্যাদি নিয়ে ওই বৈঠকে আলোচনা হয় বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে। এ বৈঠকে যোগ দেননি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বরং আমীর খসরু মাহমুদ এবং শামা ওবায়েদের সঙ্গে সকালের নাস্তা সাড়েন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস। এটি দিয়েই দিনের শুরু এবং তারপর সারাদিনই কূটনীতিকপাড়ায় ছিল নানা রকম ব্যস্ততা।
বিভিন্ন কূটনৈতিক মহল সমাবেশে কি হতে যাচ্ছে, সমাবেশে কি ধরনের ঘোষণা দেওয়া হবে, আওয়ামী লীগ কি করবে ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলাপ আলোচনা এবং পরামর্শ করেছেন বলে জানা গেছে।
আওয়ামী লীগের অন্তত দুজন নেতার সঙ্গে মার্কিন দূতাবাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যোগাযোগ করেছেন। তারা জানতে চেয়েছেন আওয়ামী লীগ সমাবেশে কি করতে চাচ্ছে। প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলের সমাবেশের ফলে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি সহিংস উঠবে কিনা এ নিয়েও কূটনৈতিক মহলের মধ্যে আলাপ আলোচনা করতে শোনা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমা দেশগুলোর ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে। ২৮শে জুলাই যখন সমাবেশ হচ্ছে তখন ইউরোপীয় ইউনিয়নের মানবাধিকার বিষয়ক প্রতিনিধি বাংলাদেশ সফর করছেন। এর পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যাপারে তাদের প্রকাশ্য অবস্থান অব্যাহত রেখেছে।
তবে সমাবেশে ঢাকায় কি হতে পারে—এ নিয়ে কূটনৈতিক মহলে অন্যরকম তৎপরতা রয়েছে। ইতিমধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ব্যাপারে ভ্রমণ সর্তকতা জারি করেছে। একই রকম সর্তকতা জারি করা হয়েছে অস্ট্রেলিয়াসহ আরও কয়েকটি দেশের পক্ষ থেকে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, কূটনৈতিক মহল চাইছে একটি রাজনৈতিক সংলাপ। কিন্তু আওয়ামী লীগ বিএনপি কেউই এখনও কোনো রাজনৈতিক সংলাপের ব্যাপারে আগ্রহী নয়। বরং তারা রাজপথে এর ফয়সালা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন।
কূটনৈতিক মহল মনে করছেন যে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির পাল্টাপাল্টি ২৮ জুলাইয়ের সমাবেশের ফলে রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে। তবে বিএনপির পক্ষ থেকে যে প্রতিনিধিদল মার্কিন
রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দেখা করেছেন তারা আশ্বস্ত করেছেন যে বিএনপির পক্ষ থেকে কোনো রকমের সহিংসতা করা হবে না। তবে বিএনপির নেতা স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ মনে করেন যে আওয়ামী লীগ ২৮ জুলাইয়ের সমাবেশে উস্কানি দিতে চাইছে এবং তারা ‘গায়ে পড়ে ঝগড়া’ করতে চাইছে।
এরকম পরিস্থিতিতে বিএনপি কি করবে—এমনটি জানতে চেয়েছিলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। তবে বিএনপির নেতারা বলছেন, তারা সহনশীলতার পরিচয় দিবে। তারা চায় একটি শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের কর্মসূচি, যেখানে জনগণকে সম্পৃক্ত করে তারা সরকার পতনে বাধ্য করবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, আওয়ামী লীগের মনোভাবও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন পশ্চিমা দেশগুলো জানার-বোঝার চেষ্টা করছে। তারা বুঝতে চাইছে যে আওয়ামী লীগ কেন বিএনপির পাল্টা কর্মসূচি দিল।
আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে একাধিক নেতা বলেছেন, বিএনপি রাজপথে একটি অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করতে চায়। একটি সহিংস পরিস্থিতি তৈরি করে দেশের জনগণকে জিম্মি করতে চায়।
কাজেই দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগ এখানে চুপ করে বসে থাকতে পারে না। তবে কূটনৈতিক মহল এখন পর্যন্ত বিশ্বাস করছে যে, রাজনৈতিক সমাবেশের পরও সমঝোতার সুযোগ আছে এবং ২৮ জুলাইয়ের এই সমাবেশকে শান্তিপূর্ণ করার পর দুই দলেরই উচিত একটি সমঝোতার দিকে এগিয়ে যাওয়া এবং রাজনৈতিক সমঝোতার লক্ষ্যে সংলাপের সূচনা করা।
তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন ২৮ জুলাই জয়-পরাজয়ের নিষ্পত্তি হবে না। বরং সমাবেশে একটি নতুন প্রেক্ষাপট তৈরি হবে। সমাবেশের জনসভায় কার শক্তি বেশি সেটি যেমন রাজনীতিতে একটি গুরুত্ব বহন করবে পাশাপাশি এই সমাবেশের পর আন্তর্জাতিক মহলের প্রতিক্রিয়া কি হবে সেটিও বড় বিবেচ্য বিষয়।
সবকিছু মিলিয়ে সমাবেশের পর বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি নতুন মেরুকরণ ঘটতে পারে বলে কেউ কেউ মনে করছেন। তবে অনেকের ধারণা বিএনপির আন্দোলনে এখনও জনসম্পৃক্ততা হয়নি। জনগণ এই আন্দোলনের সঙ্গে এখনও যুক্ত হয়নি। আর এটিই তাদের আন্দোলনের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা।
জনসম্পৃক্ততা ছাড়া এ ধরনের আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে হটানো অলীক কল্পনা বলেও কিছু কিছু রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনে করছেন। তবে সবকিছু মিলিয়ে রাজনীতিতে যে অস্থিরতার পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে তা আগামী নির্বাচন পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
অপরদিকে বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে,২৮ জুলাইয়ের সমাবেশের মাধ্যমে বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকট এবং আন্দোলন একটি নতুন মেরুকরণে পৌঁছাবে এবং এর পরবর্তী সময়গুলোতে কি হয়, তার উপর নির্ভর করবে আগামী নির্বাচনের অনেক কিছু। তবে এবারে বিএনপির আন্দোলন নিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে পাঁচটি আতংক বা ভয় কাজ করছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে:-
১. মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মনোভাব: বিগত দুই বছর ধরেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকার বিরোধী একটি মনোভাব প্রকাশ্যে দেখাচ্ছে। বিশেষ করে বর্তমান সরকারের সঙ্গে তাদের টানাপোড়েনের বিষয়টি এখন আর গোপন নয়। সম্প্রতি গতকাল ইটালিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ব্যাপারে আবারো স্পষ্ট করে কথা বলেছেন। এ নিয়ে টানা পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ইঙ্গিত করে বললেন, ‘তারা আমাদেরকে, আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে নামাতে চায়।’ বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সাম্প্রতিক সময়ে একের পর এক বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যে পদক্ষেপগুলো নিচ্ছে, সেটি আওয়ামী লীগের জন্য উদ্বেগের। আওয়ামী লীগের অনেক নেতাই বলছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শেষ পর্যন্ত কি করে, সেটি নিয়ে তারা কিছুটা হলেও আতঙ্কে আছেন।
২. দলের ভেতর বিশৃঙ্খলা: আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল এখন অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি। দল কিছুতে ঐক্যবদ্ধ হতে পারছে না। দলের মধ্যে তৃণমূল পর্যন্ত বিভক্তি ছড়িয়ে পড়েছে। বিএনপির আন্দোলন মোকাবেলা করার জন্য ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সেখানে কিছু সমস্যা এখনো রয়ে গেছে।
৩. কর্মীদের রাজপথে নামার ক্ষেত্রে অনিহা: আওয়ামী লীগ একটি ত্যাগী দল। দীর্ঘ আন্দোলন, সংগ্রামে অভিজ্ঞ দল। কিন্তু টানা প্রায় ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকার ফলে আওয়ামী লীগের অনেক নেতার মধ্যে এখন একটি আয়েশি ভাব এসেছে। অনেক অনুপ্রবেশকারী হাইব্রিড আওয়ামী লীগে প্রবেশ করেছেন- যারা আন্দোলন সংগ্রামে অভ্যস্ত নয়। এই সমস্ত নেতা-কর্মীদেরকে আন্দোলনের মাঠে কতটা পাওয়া যাবে- তা নিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে। এটি আওয়ামী লীগের জন্য একটি উদ্বেগের কারণ।
৪. আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং প্রশাসনের ভূমিকা : গত ১৪, ১৫ বছর আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আওয়ামী লীগের পক্ষেই কাজ করেছে। বিশেষ করে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা রক্ষার ক্ষেত্রে পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে র্যাবের উপর নিষেধাজ্ঞা, নতুন ভিসা নীতি ইত্যাদি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কিছুটা হলেও চিন্তিত করেছে। তারা এখন দায়িত্ব নিয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে অনেক ক্ষেত্রেই দ্বিধান্বিত। আর এটির প্রভাব পড়েছে আন্দোলনের উপর। আগে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আন্দোলনের নামে নাশকতা বা অপতৎপরতাকে দমন করতো। কিন্তু এখন সেক্ষেত্রে তারা কতটুকু কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারবে, সেটা নিয়ে কারো কারো সংশয় এবং সন্দেহ রয়েছে।
৫. রাজনীতির মাঠে আওয়ামী লীগের একাকীত্ব: আওয়ামী লীগ সব সময় ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে বিশ্বাসী একটি রাজনৈতিক দল। ২০০৮ এর নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ মহাজোট গঠন করেছিল। ২০০১ এর নির্বাচনে বিপর্যয়ের পর আওয়ামী লীগ ১৪ দল গঠন করেছিল। তাছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে, বিশেষ করে যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী, তাদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক সব সময় ছিল। কিন্তু ২০১৮ এর পর থেকে আওয়ামী মিত্রের সংখ্যা আস্তে আস্তে কমতে শুরু করেছে। ১৪ দল ততোটা সক্রিয় নয়। যদিও সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৪ দলের নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেছেন। তারপরও ১৪ দল এখন আগের মতো তৎপর নয়। জাতীয় পার্টির সঙ্গেও আওয়ামী লীগের সম্পর্কের মধুরতা আগের মত নেই। এ রকম অবস্থায় রাজনীতির মাঠে আওয়ামী লীগ অনেকটা একলা।
এসব উদ্বেগ কাটিয়ে শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ কতটুকু আন্দোলন মোকাবেলা করতে পারবে এবং সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য একটি নির্বাচন করতে পারবে কিনা, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
Posted ৮:২৯ অপরাহ্ণ | বুধবার, ২৬ জুলাই ২০২৩
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta