কক্সবাংলা ডটকম(১ জুলাই) :: ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন পিছিয়ে যাওয়ায় রাজস্ব আদায়ের চ্যালেঞ্জ নিয়েই শুরু হলো নতুন অর্থবছর। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটের আকার ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকা। বাজেট বাস্তবায়নে সরকারের মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য ধরা হয়েছে ২ লাখ ৮৭ হাজার ৯৯০ কোটি টাকা। ঘাটতি থাকছে ১ লাখ ১২ হাজার কোটি টাকা, যা আগের মতোই জিডিপির পাঁচ ভাগ।
পয়লা জুন টানা নয়বারের মতো জাতীয় সংসদে বাজেট উত্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। দীর্ঘ আলোচনা-সমালোচনার পর ব্যাংক আমানতে আবগারি শুল্কের প্রস্তাবে আনেন সংশোধনী। দুই বছরের জন্য স্থগিত হয় সব সেবা-পণ্যে ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট আদায়ের প্রস্তাব। এর সঙ্গে আরও কিছু বিষয় সংশোধন করে পাস হয় অর্থবিল।
বৃহস্পতিবার সর্বসম্মতিক্রমে সংসদে পাস হয় ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেট। ৭ দশমিক ৪ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ধরা হয়েছে এবারের বাজেটে। মূল্যস্ফীতির লক্ষ্য ধরা হয়েছে সাড়ে ৫ ভাগ।
রাজস্ব আয়ের ২ লাখ ৪৮ হাজার ১৯০ কোটি টাকার যোগান দেবে রাজস্ব বোর্ড। আর এ অর্থ আসবে আয়কর, ভ্যাট ও বিভিন্ন শুল্ক। তবে নতুন ভ্যাট আইন পিছিয়ে যাওয়ায় এ লক্ষ্যমাত্রা পূরণে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে এনবিআর।ব্যক্তি আয়ের করমুক্ত সীমা আগের মতোই আড়াই লাখ টাকা রাখা হয়েছে। বাজেটে ঘাটতি থাকছে ১ লাখ ১২ হাজার ২৭৫ কোটি টাকা। অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক উৎস থেকে তা পূরণের পরিকল্পনা করছে সরকার।
বাজেটে সর্বোচ্চ বরাদ্দ শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে। এরপর গুরুত্ব পেয়েছে জনপ্রশাসন, পরিবহন ও যোগাযোগ, সুদসহ অন্যান্য খাত।
নতুন অর্থবছরের বাজেটে উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ৫৯ হাজার ১৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ৫৩ হাজার কোটি টাকা।