কক্সবাংলা ডটকম(১০ আগস্ট) :: বিখ্যাত দার্শনিক প্লেটো একবার আক্ষেপ করে বলেছিলেন, যেদিন সে জানতে পারবে মানহানির অর্থ কী, সেদিন সে আমাকে ক্ষমা করবে। প্লেটো জানতেন মানহানির অর্থ কী, কিন্তু ওই লোকটা মানহানির অর্থ জানত না বলেই প্লেটোর এই আক্ষেপ। আসলে মানহানি কী, কিসে মানহানি হয় বা হয় না, তা প্লেটোর ওই লোকটার মতো আমরা অনেকেই জানি না। যদি জানতাম, তাহলে হয়তো তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় একটার পর একটা মানহানির মামলা হতো না। সংবাদমাধ্যমের বদৌলতে যতটা জানতে পারি- তা হল, মন্ত্রীর বিতরণ করা ছাগলের মধ্যে একটা ছাগল মারা গেলে ওই ছাগলের মৃত্যু সংবাদে মন্ত্রী মহোদয়ের ছবি সংযোজন করায় মন্ত্রীর মানহানি হয়েছে বলে এক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে অন্য একজন সাংবাদিক ৫৭ ধারায় মানহানির এজাহার দায়ের করেন। কিন্তু বিষয়টি এখানেই শেষ নয়, ওই এজাহারের প্রেক্ষিতে মামলা হয় এবং ৫৭ ধারার অধীনে স্বাভাবিক পরিণতিতে উক্ত সাংবাদিক গ্রেফতারও হয়েছেন। অবশ্য সাংবাদিকের ভাগ্য ভালো, তিনি অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়েছেন। তবে মামলা হতে অব্যাহতি পেতে কত সময় লাগবে, সেটা নিশ্চিত করে বলা কঠিন। তাছাড়া এটা পুলিশি মামলা হওয়ায় এবং রাষ্ট্রপক্ষ এতে সম্পৃক্ত থাকায় তাকে আরও কতটা হয়রানির শিকার হতে হবে, তাও নিশ্চিত করে বলা কঠিন। এখানে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন দেখা দেয়, সংবাদটির কারণে মন্ত্রী বা তার পরিবার বা তার নিকটাত্মীয় সংক্ষুব্ধ হলেন না, হলেন একজন অনুসারী ভক্ত সাংবাদিক।
তোষামোদ ও মানহানি দুটোই দূষণীয় এবং নিন্দনীয়। মানহানির জন্য আইনে সাজার বিধান থাকলেও তোষামোদির জন্য আইনে শাস্তির কোনো বিধান নেই। থাকলে হয়তো এতদিনে অনেক তোষামোদকারীর বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলা হতো। তবে তোষামোদির জন্য আইনে শাস্তির বিধান না থাকলেও এই তোষামোদকারীরা তোষামোদের বদৌলতে যত আর্থিক বা অন্যান্য সুবিধাদি লাভ করুন না কেন, সমাজের চোখে তারা ধিকৃত ও ঘৃণিত ব্যক্তি হিসেবেই চিহ্নিত হয়ে থাকেন।
যেসব শব্দ বা শব্দ সমষ্টির বিভিন্ন রকম ব্যাখ্যা বা অপব্যাখ্যা বা অপপ্রয়োগের সুযোগ থাকে, অপব্যাখ্যা বা অপপ্রয়োগ রোধ করার জন্য আইনে ওইসব শব্দ বা শব্দ সমষ্টিকে সর্বদাই সংজ্ঞায়িত করা হয়। তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মানহানিকে সংজ্ঞায়িত করা হয়নি, যার কারণে মানহানি শব্দটি এ ক্ষেত্রে সাধারণ অর্থ বহন করবে, যার ব্যাপ্তি ও ব্যাপকতা অনেক বেশি। কিন্তু মানহানির অপব্যাখ্যা ও অপপ্রয়োগের যথেষ্ট সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও কেন যে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মানহানির কোনো সংজ্ঞা দেয়া হয়নি, তা বুঝে ওঠা সত্যি কষ্টকর। আঠারশ’ ষাট সালে দণ্ডবিধি প্রণয়নের সময় মেকলে বুঝেছিলেন, মানহানির অনেক রকম ব্যাখ্যা, অপব্যাখ্যা এবং প্রয়োগ ও অপপ্রয়োগ হতে পারে, যেজন্য তিনি দণ্ডবিধিতে কেবল মানহানির সংজ্ঞাই প্রদান করেননি, অনেকগুলো উদাহরণ এবং দশটি ব্যতিক্রম সন্নিবেশ করেছিলেন। অথচ তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মানহানির কোনো সংজ্ঞা, উদাহরণ বা ব্যতিক্রম সন্নিবেশিত হয়নি। প্রায় ১৫৭ বছর আগের আইন প্রণেতারা যা বুঝতে পেরেছিলেন, আমরা তা বুঝতে পারিনি, এটা কি বিশ্বাসযোগ্য? যদি বিশ্বাসযোগ্য হয়, তাহলে আমাদের আইন প্রণয়নের দক্ষতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে।
দণ্ডবিধিমতে কোনো ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে অন্য কোনো ব্যক্তির সুনামহানিকর কোনো বক্তব্য প্রদান করলে বা প্রকাশ করলে তা মানহানি হিসেবে গণ্য হয়। তবে দণ্ডবিধিতে সন্নিবেশিত ব্যাখ্যা অনুযায়ী কোনো বক্তব্য অন্যের বিবেচনায় প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কোনো ব্যক্তির নৈতিক বা বুদ্ধিবৃত্তিক চরিত্রের বিশ্বাসযোগ্যতার হ্রাস না ঘটালে মানহানি হিসেবে গণ্য হয় না। এ ছাড়া কোনো বক্তব্য মৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে করা হলে যদি মৃত ব্যক্তি জীবিত থাকলে ওই বক্তব্য তার সুনামের জন্য ক্ষতিকর বিবেচিত হতো এবং তা যদি তার পরিবারের বা নিকটাত্মীয়ের অনুভূতিকে আহত করত, তবে তা মানহানির অপরাধ হবে। উল্লেখ্য, দণ্ডবিধিমতে জনস্বার্থে, নিজের স্বার্থের বা অন্য কোনো ব্যক্তির স্বার্থে সত্য প্রকাশ মানহানি নয়। এ ছাড়া ফৌজদারি অপরাধ হওয়ার জন্য অপরাধমূলক মনোবৃত্তি একান্ত অপরিহার্য, যার কারণে সরল বিশ্বাসে কোনো বক্তব্য প্রকাশ বা কোনো বিবৃতি বা সংবাদ প্রকাশ মানহানির পর্যায়ভুক্ত নয়। তথ্যপ্রযুক্তি আইনকে অন্যান্য আইনের ওপর প্রাধান্য দেয়ায় দণ্ডবিধিমতে যে সব ঘটনা মানহানির পর্যায়ে পড়ে না, এই আইনে তা মানহানি হিসেবে গণ্য হতে পারে। এ ক্ষেত্রে দণ্ডবিধিতে ব্যক্তিক্রমের সুবিধাও অভিযুক্ত ব্যক্তি ভোগ করতে পারবে না।
তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি যদি ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েবসাইটে বা অন্য কোনো ইলেক্ট্রনিক বিন্যাসে এমন কিছু প্রকাশ বা সম্প্রচার করেন, যা মিথ্যা ও অশ্লীল বা সংশ্লিষ্ট অবস্থা বিবেচনায় কেউ পড়লে, দেখলে বা শুনলে নীতিভ্রষ্ট বা অসৎ হতে উদ্বুদ্ধ হতে পারেন অথবা যার দ্বারা মানহানি ঘটে, আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটে বা ঘটার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়, রাষ্ট্র ও ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয় বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে বা করতে পারে বা এ ধরনের তথ্যাদির মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি বা সংগঠনের বিরুদ্ধে উস্কানি প্রদান করা হয়, তাহলে তার এই কার্য হবে একটা অপরাধ। এই অপরাধের জন্য উক্ত ব্যক্তি অন্যূন সাত বছর কারাদণ্ডে এবং অনধিক এক কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
ধারাটিতে অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে মানহানি ঘটার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু কী করলে মানহানি ঘটবে, তার কোনো সংজ্ঞা না থাকায় ছাগলের মৃত্যু সংবাদকেও মানহানি হিসেবে গণ্য করে মামলা করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের আরও অনেক অঘটন ঘটতে পারে। ফলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ ওয়েবসাইটে বা ইলেক্ট্রনিক মাধ্যমে সত্য কিছু লিখতে বা প্রকাশ করতেও কেউ তেমন সাহসী হবে বলে মনে হয় না। এমনকি অনেক জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ও প্রকাশ করতে কেউ সাহস পাবে বলে বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়। এতে করে সাংবাদিকতার বিকাশ বাধাগ্রস্ত হতে পারে, জাতির মানসিক বিকাশে বিঘ্ন সৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া এই ধারায় ২০১৩ সালে সংশোধনী এনে সর্বনিন্ম কারাদণ্ডের মেয়াদ সাত বছর করা হয়েছে। ফলে কাপুরুষ, মিথ্যাবাদ এরূপ লঘুতর অপবাদের জন্য মানহানি মামলায় জড়িত হলে এবং অপরাধ প্রমাণ হলে কমপক্ষে সাত বছরের কারাদণ্ড এবং সেইসঙ্গে জরিমানা দণ্ড আরোপ করতে হবে। এক্ষেত্রে বিচারকের অপরাধের মাত্রা বিবেচনায় এর চেয়ে লঘুদণ্ড বা কেবল জরিমানা দণ্ড আরোপের কোনো সুযোগ নেই। আইনের এ ধরনের বিধান আইনের শাসনের সহায়ক হিসেবে গণ্য করার কোনো সুযোগ আছে বলে মনে হয় না।
আইনের ঊনষাট ধারা ও পঁচাত্তর ধারা অনুযায়ী কমপক্ষে পুলিশ সাব-ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার কোনো পুলিশ কর্মকর্তার লিখিত রিপোর্ট ব্যতীত সাইবার ট্রাইব্যুনাল বা দায়রা আদালত কোনো মামলা বিচারের জন্য গ্রহণ করতে পারবেন না। অর্থাৎ এই আইনের অধীন মানহানির সব মামলাই হবে পুলিশি মামলা। এছাড়া একাত্তর ধারা অনুযায়ী রাষ্ট্রপক্ষকে জামিনের আদেশের ওপর শুনানির সুযোগ না দিয়ে অভিযুক্তকে জামিন দেয়া যাবে না। সুতরাং দেখা যাচ্ছে, এই আইনের অধীন মানহানিসহ প্রতিটি অপরাধের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপক্ষ সম্পৃক্ত, যার কারণে যখন যে সরকারই থাকুক না কেন, ওই সরকারের বিরোধীপক্ষের কোনো ব্যক্তির মানহানি ঘটলে বা একজন সাধারণ ব্যক্তির মানহানি ঘটলে সেক্ষেত্রে এই আইনের অধীনে প্রতিকার বা বিচার পাওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু, তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাবে।
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে জানতে পারি, সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রী এবং অন্য নেতারাও স্বীকার করেছেন, ৫৭ ধারার অপপ্রয়োগ হচ্ছে। তারা এই অপপ্রয়োগ বন্ধের জন্য তথ্যমন্ত্রীকে অনুরোধও জানাচ্ছেন। এছাড়া সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে জানা যায়, আইজিপির অনুমতি ব্যতীত কোনো পুলিশ কার্মকর্তা ৫৭ ধারার কোনো মামলা গ্রহণ করবেন না। কিন্তু আইনে অপপ্রয়োগের সুযোগ রেখে অপপ্রয়োগ বন্ধের যত উদ্যোগই গ্রহণ করা হোক না কেন, তা কোনোভাবেই ফলপ্রসূ হবে না। অপপ্রয়োগ চলতেই থাকবে। এজন্য অনতিবিলম্বে ৫৭ ধারার সংশোধনী একান্ত আবশ্যক। অবশ্য অনেক ব্যক্তি ও সংগঠন ৫৭ ধারা বাতিলের দাবি জানাচ্ছেন। অনেক ব্যক্তি এবং সংগঠন রাস্তায় অবস্থান কর্মসূচিও পালন করছেন। কিন্তু অনুরূপ কোনো আইন না করে ৫৭ ধারা বাতিলও সমর্থনযোগ্য নয়। কারণ এক বিখ্যাত দার্শনিক যেমন বলেছিলেন, চুরি করা আমার স্বাধীনতা, কিন্তু চুরি করলে পুলিশ যদি আমাকে গ্রেফতার করে, তাহলে আমার স্বাধীনতা থাকল কোথায়? নিশ্চয় আমরা ওই দার্শনিকের মতো স্বাধীনতা চাই না। সবকিছুতেই একটা সীমারেখা থাকা দরকার। অপরাধ অপরাধই। মানহানি যেমন লঘুতর অপরাধের পর্যায়ভুক্ত হতে পারে, তেমন গুরুতর অপরাধের পর্যায়ভুক্তও হতে পারে। মানহানি কোনো দৈহিক আঘাত না হলেও মানহানির দ্বারা একজন ব্যক্তির ব্যক্তিত্বের, সুনামের অবমাননা করা হয়। সে পারিবারিক ও সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হয়। তথ্যপ্রযুক্তির যুগে এর সুযোগ নিয়ে যাতে কেউ কারও সুনামের ক্ষতি করতে না পারে, সেজন্য মানহানির বিধান আইনে থাকা অবশ্যই আবশ্যক। এজন্য অনতিবিলম্বে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা থেকে মানহানিকে বাদ দিয়ে নতুনভাবে মানহানির জন্য যৌক্তিক একটা পৃথক ধারা সংযোজন করা যুক্তিযুক্ত হবে। এছাড়া অপপ্রয়োগ বন্ধের জন্য মানহানিকে অবশ্যই সংজ্ঞায়িত করা আবশ্যক। অবশ্য মানহানিকে কেবল সংজ্ঞায়িত করলেই চলবে না, প্রয়োজনীয়সংখ্যক উদাহরণ ও ব্যতিক্রমও সংযোজন করতে হবে। নতুবা অপপ্রয়োগ বন্ধ করা যাবে না। কারণ মানহানি কিসে হয়- এ নিয়ে প্লেটোর যুগেও অস্পষ্টতা ছিল; যুগের বিবর্তনে আমাদের সমাজে এ অস্পষ্টতা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন মানহানির মামলা পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, অধিকাংশ মামলার এজাহারকারী মানহানিকর বক্তব্যের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি, তার পরিবার বা নিকটাত্মীয় নয়, অধিকাংশই সুবিধাভোগী তোষামোদকারী। এজন্য সুবিধাবাদী তোষামোদকারীদের মামলা করার সুযোগ বন্ধ করে মানুষকে হয়রানির হাত থেকে রক্ষা করা একান্ত প্রয়োজন। সেজন্য মানহানিকর বক্তব্যের কারণে যে ব্যক্তির সুনামহানি হয় বা সুনামের ক্ষতি হয়, সেই সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি বা তার পরিবার বা তার নিকটাত্মীয় ব্যতীত অন্য কোনো ব্যক্তির মানহানির মামলা করার সুযোগ বন্ধ করাও যুক্তিযুক্ত হবে।
আইনের শাসনের প্রেক্ষাপটে বিদ্যমান ও প্রণীত সব আইন হতে হবে স্বেচ্ছাচারিতাবিহীন, বিতর্কবিহীন, যৌক্তিক, সর্বজনগ্রাহ্য এবং সাধারণের প্রত্যাশিত। কিন্তু তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারাসহ আরও কয়েকটি ধারা বিশ্লেষণে প্রতীয়মান হয়, আইনের শাসনের সহযোগী আইনের উল্লেখিত উপাদানগুলোর অনুপস্থিতি এই আইনে রয়েছে। আইনটি নিয়ে ইতিমধ্যে যথেষ্ট বিতর্ক দেখা দিয়েছে। মানহানি মামলা দায়েরের ক্ষেত্রে স্বেচ্ছাচারিতার লক্ষণ পরিলক্ষিত হচ্ছে। কাউকে কাপুরুষ হিসেবে অপবাদ দিলে অথবা কারও ছবি অশ্লীলভাবে বিকৃত করে প্রকাশ করলে তা ৫৭ ধারার মর্মানুযায়ী মানহানি হিসেবে গণ্য হতে পারে। কিন্তু এই দুটি মানহানির ঘটনা একই রকম অপরাধের মাত্রা বহন করে না। তবে ৫৭ ধারায় অধিকতর কম মাত্রার মানহানির অপরাধকেও আমলযোগ্য ও অজামিনযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে এবং এজন্য জরিমানাসহ কমপক্ষে সাত বছরের জেলের বিধান রাখা হয়েছে। এটিকে যৌক্তিক বিধান হিসেবে গণ্য করার কি কোনো সুযোগ আছে? এ ছাড়া বিতর্কিত কয়েকটি ধারার বিধান কি সর্বজনগ্রাহ্য এবং সাধারণের প্রত্যাশিত বিধান হিসেবে গণ্য? যদি তা না হয়, তাহলে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের বিতর্কিত ধারাগুলো আইনের শাসনের সহায়ক হিসেবে বিবেচনার সুযোগ নেই।
মো. ফিরোজ মিয়া : অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব, চাকরি ও আইন সংক্রান্ত গ্রন্থের লেখক
Posted ৩:৫২ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১০ আগস্ট ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta