ডিআরডিও’র এক কর্মকর্তা জানান, পাইরো সিস্টেমের পারফরমেন্স সন্তোষজনক হয়েছে।
একান্তভাবে উচ্চ ভূমিতে চলার উপযুক্ত ড্রোন ইঞ্জিনের নক্সা তৈরি করে ‘গ্যাস টারবাইন রিসার্স এস্টাবিশমেন্ট’ (জটিআরই)। ড্রোনের জন্য মোবাইল টেস্ট বেড ও ফুয়েল সাপ্লাই সিস্টেমও তৈরি করে তারা।
ওই কর্মকর্তা বলেন, যেন নিরাপত্তা ও অন্যান্য নক্সাগত বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে আপোস না করে পরীক্ষা চালানো নিশ্চিত করা যায় তাই কন্ট্রোল ডেস্ক, ডাটা এক্যুইজিশন সিস্টেম ও ভাইব্রেশন মনিটরিং প্যানেলের নিরাপদ অপারেশনের জন্য একটি ক্লাইমেট-কন্ট্রোলড কেবিনের সুইটেবল অপারেটর কনসোল স্থাপন করা হয়।
ভারতীয় বিমানবাহিনীর (আইএএফ) চাহিদা অনুযায়ী ৪৫০ কেজি থ্রাস্ট ক্লাস ইঞ্জিনের উন্নয়ন ঘটানো হয়। উচ্চ পার্বত্য এলাকায় চলাচালের উপযুক্ত ড্রোনের প্রচল চাহিদা রয়েছে আইএএফ’র। এ ধরনের ড্রোনের ব্যাপারে নৌ বাহিনীরও আগ্রহ রয়েছে।
গত মাসে ডিফেন্স রিসার্স এন্ড ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও) প্রযুক্তি স্থানান্তরের মাধ্যমে ড্রোন ইঞ্জিন প্রস্তুত ও সংযোজনের জন্য ভারতীয় শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে আগ্রহপত্র আহ্বান করে।
ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত ‘টেকনলজি পার্সপেকটিভ এন্ড ক্যাপাবিলিটি রোডম্যাপ ২০১৮’ শীর্ষক এই দলিলে আগামী এক দশকে কমব্যাট ও সাবমেরিন থেকে উৎক্ষেপনের উপযোগী ৪০০ রিমোটলি পাইলটেড এয়াক্রাফট (ড্রোন)-এর চাহিদার কথা বলা হয়।
এতে আরো বলা হয়, এগুলো হবে মিডিয়াম অল্টিচুট, লং-এনডিউন্সে কমব্যাট আরপিএ (রিমোটলি পাইলটেড এয়াক্রাফট) যা ৩০,০০০ ফুট উচ্চতা দিয়ে ২৪ ঘন্টা পর্যন্ত উড়তে পারবে এবং তা সাটেলাইট কমিউনিকেশন রেঞ্জের মধ্যে থাকতে হবে।