রবিবার ৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২২শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম

রবিবার ৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

আরো একটি নতুন ব্যাংক

বুধবার, ১২ ডিসেম্বর ২০১৮
305 ভিউ
আরো একটি নতুন ব্যাংক

কক্সবাংলা ডটকম(১১ ডিসেম্বর) :: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই বেসরকারি খাতে আরো একটি নতুন ব্যাংক অনুমোদনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ১১ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আকস্মিক পর্ষদ সভায় বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংককে লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই) বা ব্যাংক স্থাপনের আগ্রহপত্র দেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়। তবে এলওআই পেতে নতুন ব্যাংকটির উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশ ব্যাংকের আগামী পর্ষদ সভা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ওই পর্ষদ সভায় নতুন আরো দুটি ব্যাংক অনুমোদনের বিষয়েও ইতিবাচক সিদ্ধান্ত হয়েছে। এজন্য পিপলস ব্যাংক ও সিটিজেন ব্যাংককে আগামী পর্ষদ সভার আগে ঘাটতি থাকা কাগজপত্র সরবরাহ করতে হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে বাংলাদেশ ব্যাংকের আগামী পর্ষদ সভা থেকেই নতুন তিনটি ব্যাংকের লেটার অব ইনটেন্ট দেয়া হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, নতুন তিনটি ব্যাংক অনুমোদন দেয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্ষদের সভায় আগেই সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রে কিছু ঘাটতি থাকায় ওই সময় বিষয়টি চূড়ান্ত হয়নি। পর্ষদের আজকের (১১ ডিসেম্বর) সভায় সব কাগজপত্র ঠিক থাকায় বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংককে লেটার অব ইনটেন্ট দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে এ পত্র পেতে হলে ব্যাংকটির উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশ ব্যাংকের আগামী পর্ষদ সভা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

তিনি বলেন, এখনো পিপলস ব্যাংক এবং সিটিজেন ব্যাংকের কিছু কাগজপত্রে ঘাটতি আছে। দুটি ব্যাংক আজও (১১ ডিসেম্বর) কিছু কাগজপত্র সরবরাহ করেছে। কিন্তু সেগুলো পর্ষদ আমলে নেয়নি। প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র হাতে পেলে তবেই এ দুটি ব্যাংকের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। এটি পর্ষদের আগামী সভায়ও হতে পারে।

গত ২৯ অক্টোবর বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্ষদ সভায় পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্টের ‘কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড’-এর চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়। ওই সভা থেকেই নতুন আরো তিনটি ব্যাংক অনুমোদন দেয়ার বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত আসে। এরপর ২৫ নভেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্ষদ সভা হওয়ার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে তা স্থগিত করা হয়।

কয়েকজন পরিচালক পর্ষদের সভায় অনুপস্থিত থাকার কথা জানলে সভাটি আর হয়নি। মূলত নতুন তিন ব্যাংকের চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়ার উদ্দেশ্যে ওইদিন পর্ষদের সভা হওয়ার কথা ছিল।

এরপর জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার মধ্যে রাজনৈতিক বিবেচনায় নতুন ব্যাংক অনুমোদনের বিষয়টি অনেকটাই ঝুলে যায়। কিন্তু আকস্মিকভাবেই গতকাল পর্ষদের সভা আয়োজন করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, সোমবার বিকালে হঠাৎ করেই বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্ষদ সভার সিদ্ধান্ত হয়। এরপর তাড়াহুড়ো করে সংশ্লিষ্টরা পর্ষদ সভার মেমো প্রস্তুত করেন। নতুন ব্যাংকের অনুমোদন দেয়ার জন্যই মূলত এ প্রস্তুতি।

বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংকের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গতকালের পর্ষদ সভার সিদ্ধান্তে বলা হয়, প্রস্তাবিত স্মারকে বর্ণিত তথ্য ও তদসংশ্লিষ্ট কাগজপত্র দেখে পর্ষদ সন্তোষ প্রকাশ করেছে। এজন্য ব্যাংকটিকে লেটার অব ইনটেন্ট দেয়ার জন্য পর্ষদের পরবর্তী সভায় প্রস্তাব উপস্থাপন করতে বলা হলো।

‘বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেডের’ জন্য আবেদন করেন বেঙ্গল গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দিন। যদিও শুরুতে ‘বাংলা ব্যাংক’ নামেই অনুমোদনের আবেদন জমা দেয়া হয়েছিল।

প্রস্তাবিত সিটিজেন ব্যাংকের দুজন উদ্যোক্তা-পরিচালকের আয়করসংক্রান্ত জটিলতা রয়েছে। এ দুই পরিচালকের আয়করসংক্রান্ত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আপত্তি নিষ্পত্তির পর ব্যাংকটির চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হবে।

এছাড়া পিপলস ব্যাংকের আটজন উদ্যোক্তা-পরিচালকের কাগজপত্রে ত্রুটি থাকায় তাদের বাদ দিয়ে নতুন করে চারজনকে পরিচালক নিয়োগের প্রস্তাব করেছে। নতুন এ পরিচালকদের আয়ের বিষয়ে এনবিআর থেকে চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়া যায়নি। তাদের কাগজপত্র পাওয়ার পরই ব্যাংকটির অনুমোদন দেয়া হবে।

পিপলস ব্যাংক লিমিটেডের জন্য আবেদন করেছেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা এমএ কাশেম। চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের এ অধিবাসী যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকিংয়ের জন্য ব্যাংকটির আবেদন করা হয়েছে।

সিটিজেন ব্যাংকের আবেদনটি এসেছে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের পরিবার থেকে। আনিসুল হকের মা জাহানারা হককে ব্যাংকটির চেয়ারম্যান হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে আবেদনপত্রে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পরবর্তী পর্ষদ সভার বিষয়েও একটি খসড়া তারিখ চূড়ান্ত করা হয়েছে ১১ ডিসেম্বর সভায়। আগামী জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে।

নতুন ব্যাংক অনুমোদনের বিষয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়ে আসছিলেন দেশের অর্থনীতিবিদসহ ব্যাংকসংশ্লিষ্টরা। তাদের যুক্তি হলো— দেশের অর্থনীতির আকারের তুলনায় ব্যাংকের সংখ্যা এমনিতেই বেশি। গত ১০ বছরে অনুমোদন দেয়া হয়েছে ১২টি ব্যাংক। এর মধ্যে ১১টি বেসরকারি ব্যাংকের পরিস্থিতিই নাজুক।

পরিচালকদের সম্পদের পরিমাণ, আয়ের উৎসসহ অন্যান্য বিষয়ে যথাযথ অনুসন্ধান না করেই ২০১৩ সালে নয়টি ব্যাংক অনুমোদন দেয়া হয়েছিল। এর মধ্যে ফারমার্স ব্যাংক বিপর্যয়ের শিকার হয়ে দেশের পুরো ব্যাংকিং খাতকেই বিপদে ফেলেছে।

অর্থনীতিবিদ ড. মইনুল ইসলাম বলেন, এ মুহূর্তে নতুন ব্যাংকের অনুমোদন দেয়ার কোনো যুক্তি নেই। বিনা মূলধনে কিছু মানুষকে হাজার কোটি টাকার মালিক বানিয়ে দেয়ার জন্যই নতুন ব্যাংক অনুমোদন দেয়া হচ্ছে।

305 ভিউ

Posted ১:৪৮ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ১২ ডিসেম্বর ২০১৮

coxbangla.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

Editor & Publisher

Chanchal Dash Gupta

Member : coxsbazar press club & coxsbazar journalist union (cbuj)
cell: 01558-310550 or 01736-202922
mail: chanchalcox@gmail.com
Office : coxsbazar press club building(1st floor),shaheed sharanee road,cox’sbazar municipalty
coxsbazar-4700
Bangladesh
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
বাংলাদেশের সকল পত্রিকা সাইট
Bangla Newspaper

ABOUT US :

coxbangla.com is a dedicated 24x7 news website which is published 2010 in coxbazar city. coxbangla is the news plus right and true information. Be informed be truthful are the only right way. Because you have the right. So coxbangla always offiers the latest news coxbazar, national and international news on current offers, politics, economic, entertainment, sports, health, science, defence & technology, space, history, lifestyle, tourism, food etc in Bengali.

design and development by : webnewsdesign.com