মোঃ রেজাউল করিম, ঈদগাঁও(১৫ মে) :: কক্সবাজার ঈদগাঁও বাজারের প্রধান সড়ক ডিসি রোডের পুনঃনির্মাণ কাজ শেষ হলেও ড্রেনেজ ব্যবস্থা নিয়ে অস্বস্তিতে রয়েছেন বাজারবাসী। নির্মিত সড়কের সাথে সামঞ্জস্য রেখে যথাসময়ে নতুনভাবে ড্রেন নির্মাণ করা না হলে অদূর ভবিষ্যতে বাজারবাসীকে আবারো দূর্ভোগে পড়তে হবে।
নির্মাণকৃত ডিসি সড়ক সিংহভাগ জনগণের জন্য সুসংবাদ বয়ে আনলেও কিছু কিছু দোকানপাটের জন্য বয়ে এনেছে দুঃসংবাদ। বাজারের ব্যবসায়ী, সাধারণ পথচারী ও সচেতন লোকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, দীর্ঘদিন পর ঈদগাঁও বাজারের প্রধান সড়ক ডিসি রোডের নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ হয়েছে।
বিমান মৌলভীর ঘাটা থেকে দক্ষিণ প্রান্তে সওদাগর পাড়া রাস্তার মাথা পর্যন্ত অংশটি পুনঃনির্মাণ করা হয়। সড়কটি এখন সকল প্রকার যান চলাচলের জন্য খোলে দেয়া হয়েছে। শক্ত রডের নেটের উপর বালি মিশ্রিত সিলেটি পাথর দিয়ে উঁচু করে লম্বা এ সড়কটি কোটি টাকার উপরে খরচ করে তৈরি করা হয়।
সরেজমিন দেখা গেছে, আগের চেয়ে নতুন এ সড়কটি উঁচু হওয়ায় পাশর্^বর্তী ড্রেন বা ফুটপাত বিঘত পরিমাণ নিচু হয়ে গেছে। সড়কের কারণে অনেক দোকানও নিচুতে অবস্থান করছে। সংগত কারণে এসব দোকানদাররা বিপাকে পড়েছেন।
ডিসি সড়কের সাথে সামঞ্জস্য রাখার জন্য তাদেরকে ব্যক্তিগত উদ্যোগে দোকানের সম্মুখস্থ ফ্লোর উঁচু ও জনচলাচলের জন্য ব্যবহার উপযোগী করতে হচ্ছে। আরো দেখা গেছে, ডিসি সড়কের একাধিক দোকান এভাবে নিজস্ব অর্থায়নে পাকা ফ্লোর তৈরি করেছেন।
এদের মধ্যে রয়েছে ভাই ভাই ট্রেডার্স, জহির এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স জামাল এন্টারপ্রাইজ, নুর খান ইলেকট্রনিক্স, রহমানিয়া হার্ডওয়্যার এন্ড ইলেকট্রনিক্স প্রভৃতি। এছাড়া মাতবর মার্কেটস্থ শাহেনা ফার্মেসীর সামনের ড্রেন উঁচু করে নির্মাণ করার উদ্যোগ নিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে সড়কের দক্ষিণ পাশর্^স্থ দীর্ঘ ড্রেনটি পুরোটা সমান না হওয়ায় স্বাচ্ছন্দে চলাচল করতে পারছেন না বাজারে আগত লোকজন।
অন্যদিকে ঈদগাহ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় গেইট সংলগ্ন স্থানে গতিরোধক স্থাপন অপরিহার্য হলেও এখনো কেউ উদ্যোগ না নেওয়ায় সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ে আগত শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও সচেতন মহল উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন। কারণ চতুর্মুখী পথ বিশিষ্ট এ জায়গাটিতে প্রায় সময় যানজট থাকে।
অনেক সময় বিভিন্ন যানবাহন চালকরা দ্রুত গাড়ী চালায়। এতে কচিকাঁচা ছেলেমেয়েদের সমূহ দূর্ঘটনার আশঙ্কা করেছেন জাগির পাড়ার দেশীয় ফল-ফলাদী বিক্রেতা মোহাম্মদ হোছাইন।
তিনি বলেন, উল্লেখিত জায়গাটি শিশু ও শিক্ষার্থীদের জন্য বিপদজনক স্থান। এতে কয়েকটি গতিরোধক দেয়া দরকার। না হলে যে কোন সময় দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।
Posted ১০:৪৩ অপরাহ্ণ | সোমবার, ১৫ মে ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta