শাহিদ মোস্তফা শাহিদ,সদর(১৮ নভেম্বর) :: অগ্নি নির্বাপন, উদ্ধার, ভুমিকম্প, ভূমিধ্বস, প্রাথমিক চিকিৎসা, সচেতনতা এবং স্বেচ্ছাসেবক তৈরীকরণ বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মসূচী শুরু হয়েছে ঈদগাঁওতে। ৩ দিন ব্যাপী অনুষ্ঠানের ১ম দিনে ৫০ জনের মত প্রশিক্ষণার্থী অংশগ্রহণ করেন।
১৮ নভেম্বর সকাল ১১টায় ঢাকা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর কর্তৃক আয়োজিত এ কোর্সটি পরিচালিত হয়ে ।
জালালাবাদস্থ পাবলিক লাইব্রেরী মিলনায়তনে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও গীতা পাঠের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া এ অনুষ্ঠানে সর্বজন মুরব্বী প্রবীণ আওয়ামীলীগ নেতা মাষ্টার নুরুল আজিমের সভাপতিত্বে কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার শেফায়েত হোসেন সাগরের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের চট্টগ্রাম বিভাগের সহকারী পরিচালক পরিমল চন্দ্র কুন্ড,
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক এমডি আবদুল মালেক, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ২ সোহেল জাহান চৌধুরী, জেলা যুবলীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির চৌধুরী হিমু।
এসময় অন্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন ঈদগাঁও জামে মসজিদের সাধারণ সম্পাদক জসিম উল্লাহ মিয়াজী, বাজার পরিচালনা কমিটির আহবায়ক সিরাজুল হক, জালালাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ডা. মমতাজুল ইসলাম খান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানসহ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে সচেতনতা এবং স্বেচ্ছাসেবক তৈরিকরণ বিষয়ক ৩ দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মসূচীর শুভ উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় উপ সহকারী পরিচালক পরিমল কুন্ড ও চট্টগ্রাম কালুর ঘাট সিনিয়র স্টেশন অফিসার অতিশ চাকমা।
প্রশিক্ষণে অংশ নেন ছাত্র, ছাত্রী, সচেতন যুবক-যুবতী, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার ৪০ থেকে ৫০ জন অংশ নেন। ১ম দিনে প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশ্যে প্রধান অতিথি ও প্রশিক্ষক পরিমল চন্দ্র কুন্ড আগুনের ৩টি স্তর নিয়ে আলোচনা করেন।
এসময় তিনি বলেন, অক্সিজেন কার্টস আপ করে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনার সহজ উপায় বালি। কাঁথা কিংবা কম্বল ভিজিয়ে নিক্ষেপ করলে এবং দাহ্য বস্তু ছেড়ে দিলে আগুন নিভে যাবে। পদ্ধতিগুলো জানলে খুব সহজে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যায়। দেশে সম্প্রতি পাহাড় কাটার ঘটনা উদ্বেগজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় ভূমিধ্বসের মত ঘটনা ঘটে থাকে।
তাছাড়া বিল্ডিং কোড না মানায় ভূমিকম্পে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়। যা রানা প্লাজার মত ভয়াবহ ঘটনার জন্ম নিতে পারে। ৭.৮. বা ৮ স্কেলে ভূমিকম্প হলে দেশের সমস্ত কিছু ধ্বসে পড়বে।
এছাড়া চট্টগ্রামের স্টেশন অফিসার অতিশ চাকমা বলেন, ভবনের উপর ভূমিকম্প সৃষ্টি হলে তাৎক্ষণিক বাসার সিড়ি অথবা খাটের নিচে মাথায় বালিশ অথবা হেলমেট দিয়ে অবস্থান করতে হবে। গাড়ি চলন্ত অবস্থায় ভূমিকম্প হলে নিরাপদ স্থানে অবস্থান করতে হবে। পানি থেকে দ্রুত কূলে ফিরে আসতে হবে।
১ম দিন মূলত পাহাড় ধ্বস, ভূমিকম্প, অগ্নি নির্বাপনের উপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। রবি ও সোমবার সকাল ১০ থেকে পুনরায় দুপুর ১টা পর্যন্ত মোট ৩ ঘন্টা ব্যাপী এ প্রশিক্ষণ চলবে বলে আয়োজক কমিটি সূত্রে জানা গেছে।
Posted ৫:৪২ অপরাহ্ণ | শনিবার, ১৮ নভেম্বর ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta