এম আবু হেনা সাগর,ঈদগাঁও(২৬ জুলাই) :: জেলা সদরের বহুল আলোচিত বৃহত্তর ঈদগাঁওর পাহাড় অধ্যুষিত পাড়া গ্রামে আর সমতল স্থানে সর্বত্রই রোহিঙ্গারা। এরা স্থানীয় জন¯্রােতে মিশে যাচ্ছে। উৎপাত ক্রমশঃ বেড়েই চলছে। বিশাল এলাকার ছয় ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রামগঞ্জের নানা খাস জমি দখল, বিভিন্ন বাসাবাড়ী ভাড়া নিয়ে অগোচরে বসবাস করছে তারা।
ভাষা ও নৃতাত্ত্বিক ভাবে রোহিঙ্গা নাগরিকদের সাথে এতদঞ্চলের জনগোষ্টির মিল থাকায় সহজেই এরা বৃহত্তর ঈদগাঁওর জনসমাজের সাথে মিশে যাচ্ছে একের পর এক।
জানা যায়, রোহিঙ্গারা কক্সবাজারের বিশেষ করে ঈদগাঁওর ছয় ইউনিয়নের নানা গ্রাম-গঞ্জ কিংবা পাড়া-পল্লীর ভাড়া কলোনীতে অবস্থান করছে। এসব নাগরিকদের কোন কর্মসংস্থান না থাকায় তারা সরকারী সংরক্ষিত রিজার্ভ বাগান দখল ও বৃক্ষ নিধনে মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাছাড়া রোহিঙ্গা মহিলাদের প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ক জ্ঞান অজ্ঞতার দরুন জনসংখ্যা বাড়ছে আপেক্ষিক গতিতে।
এলাকার সুশীল সমাজের মতে, বৃহত্তর ঈদগাঁওর শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ধ্বংসের পথে ধাবিত হওয়ার কারণের মধ্যে অন্যতম একটি কারণ এরা। রোহিঙ্গারা এদেশে অবৈধ ভাবে অনুপ্রবেশ করে অপকর্ম সংঘটিত করে সুযোগ বুঝে নির্বিঘেœ সেদেশে চলে যায়।
সুত্র মতে, নাফনদী পাড়ি দিয়ে টেকনাফ, উখিয়া, নাইক্ষংছড়ি দুর্গমপথ পেরিয়ে ঐ সকল রোহিঙ্গা সদরের ভারুয়াখালী, ঈদগাঁও, ইসলামপুর, ইসলামাবাদ, জালালাবাদ, রামুর রশিদনগর, জোয়ারিয়ানালা, ঈদগড়, নাইক্ষ্যংছড়ি ও বাইশারীর বিভিন্ন পাহাড় অধ্যুষিত জনপদে বসতি স্থাপন করছে।
এমনকি ঈদগাঁওর পাহাড়ী জনপদ ভাদিতলা, হাসিনা পাড়া, দরগাহপাড়া, শিয়াপাড়া, মেহেরঘোনাসহ পাহাড়ী গ্রামাঞ্চলে রোহিঙ্গা নারী-পুরুষের ভীড় লক্ষণীয়। এদের কেউ পরিচিতস্বজনের বাড়িঘরে, কেউ ঘরভাড়া নিয়ে, কেউ আবার ভাড়া কলোনীতে আবাস গড়েছে।
রোহিঙ্গা অধ্যুষিত পাড়া-মহল্লায় এদের বিচরণ বেশি চোখে পড়ার মতো। আরো জানা যায়, বিগত একমাসে এ অঞ্চলে শত শত রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ-শিশু বৃহত্তর ঈদগাঁওর পাহাড় অধ্যুষিত পাড়া গ্রামে এবং সমতলে আশ্রয় নিয়েছে আরো বহু রোহিঙ্গা। তারা ছলে-বলে-কৌশলে মিশে যাচ্ছে স্থানীয় জনস্রোতে।
যে হারে রোহিঙ্গারা পাড়াগায়ে ভরে যাচ্ছে, এতে করে সমাজে একপ্রকার অস্থিরতার পাশাপাশি মানবিক বিপর্যয়ের আশংকা দেখা দিয়েছে। সৃষ্টি হচ্ছে নাগরিক দুর্ভোগসহ বহুমাত্রিক সামাজিক সংকট।
অভিজ্ঞ মহলের মতে, রোহিঙ্গাদের স্রোত আমাদের সমাজে বিশৃংখলা তৈরী করছে। বেড়ে যাচ্ছে সামাজিক অপরাধ, ভেঙ্গে পড়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এ অবস্থান রোধে প্রশাসনের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ সময়ের দাবী বলে মনে করেন তারা।
Posted ১০:২৯ অপরাহ্ণ | বুধবার, ২৬ জুলাই ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta