হাবিবুর রহমান সোহেল,নাইক্ষ্যংছড়ি(১১ জুলাই) :: রামু উপজেলার ঈদগড় বড়বিল বউঘাট এলাকার এক শিশুকে বলৎকারের অপরাধে মসজিদের ইমাম কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত ৯ জুলাই ১০ টার সময় এলাকাবাসী ঈদগড় বড়বিল চেংছড়ি মসজিদের ইমাম মনসুর আলম কে শিশু বলৎকারের অপরাধে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করেছে বলে জানিয়েছেন ঈদগড় ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের মেম্বার আবুল কাসেম টুলু।
আটক ইমাম মনসুর আলম ঈদগাও ইসলামাবাদ ইউনিয়ের উত্তর গজালিয়া এলাকার মৃত- আব্দুল মজিদের পুত্র।
জানা যায় গত ৬ ই জুলাই রাতে ঈদগড় বড়বিল বউঘাট চেংছড়ি মসজিদ সংলগ্ন মকতব ঘরে চেংছড়ি মসজিদের ইমাম মওলানা মনসুর আলম একই গ্রামের আব্দু সালামের পুত্র মোবারক হোসেন (৮)কে জোরপূর্বক বলৎকার করে।
বলৎকারের শিকার শিশু মোবারক হোসেন জানান সে গত ৭ জুলাই রাত ৮ টায় বিশ্ব কাপের খেলা দেখে রাত সাড়ে ১০ টায় নিজ বাড়ীতে যাওয়ার জন্য মসজিদ পর্যন্ত যান।মসজিদ থেকে আরো অনেক দুরে পাহাড়ের ভিতর তার বাড়ী। ভয়ে একা একা বাড়ীতে যেতে না পেরে সে ছাত্রদের সাথে ঘুমানোর জন্য মকতবে যান।
ভিকটিম মোবারক হোসেন জানান রাত যখন সাড়ে ১২ টা তখন মসজিদের ইমাম মওলানা মনসুর আলম শিশু মোবারক হোসেন কে জোরপূর্বক ধর্ষন করে। মোবারক হোসেন চিৎকার দিতে চাইলে তাকে চাকু দিয়ে জবাই করতে চেষ্টা করে ইমাম মনসুর আলম।প্রানভয়ে শিশু মোবারক যখন কাঁপছিল ততক্ষণে ইমাম বলৎকারের কাজ শেষ করে নেয়।পরের দিন সকালে বিষয়টি এলাকায় জানা জানি হলে ইমাম মনসুর আলম পালিয়ে যাই।
গত ৯ জুলাই সন্ধা ৭ টায় উক্ত ইমাম রাতের আধাঁরে মকতবে এসে তার আসবাবপত্র গোপনে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় এলাকাবাসী তাকে আটক করে বউঘাট বাজারে নিয়ে আসে।সেখানে এলাকার শত শত মানুষের সামনে ইমাম মনসুর আলম তার অপকর্মের কথা স্বীকার করে।পরে এলাকাবাসী ইমাম মনসুর আলমকে ঈদগড় পুলিশ ক্যাম্পে সোর্পদ করে।
ঈদগড় ক্যাম্পের বিষেশ দায়িত্বে নিয়োজিত রামু থানার এ এস আই মোরশেদ আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান ধর্ষক ইমামের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
ঈদগড় ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের এম ইউপি সদস্য আবুল কাসেম টুলু জানান
গত ৯ জুলাই রাত ১১ টায় ধর্ষক ইমাম মনসুর আলমের বিরুদ্ধে রামু থানায় সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা রজু হয়েছে ।শিশু মোবারক হোসনের ডাক্তারী পরিক্ষা সাম্পন্ন হয়েছে।