কামাল শিশির,রামু(১৭ আগষ্ট) :: কক্সবাজার জেলার কৃষি প্রধান এলাকা ঈদগড়ে হিমাগার না থাকায় সংরক্ষণের অভাবে বছরে লাখ লাখ টাকার কৃষি পণ্য পঁচে নষ্ট হচ্ছে এবং কৃষক ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে না। ঈদগড় ইউনিয়ন হলেও প্রতিবছর শুষ্ক মৌসুমে কৃষকরা আমন, বোরোর পাশাপাশি নানা প্রজাতির সবজি চাষাবাদ করে আসছে।
এ ইউনিয়নে উৎপাদিত কৃষি পণ্য নিজ এলাকায় খাদ্য ঘাটতি যোগান দেওয়ার পর অবশিষ্ট থাকা কৃষি পণ্য ঈদগাঁওসহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ দিচ্ছে কৃষকরা। এতে করে একদিকে কৃষকরা আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছে।
অন্যদিকে জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। একাধিক কৃষকের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রতিবছর জমিতে উৎপাদিত ফসল প্রথমদিকে স্থানীয় বাজারে ভাল দামে বিক্রি করে মাঝপথে এসে হিমাগার না থাকায় সংরক্ষণের অভাবে তারা কৃষি পণ্যগুলো পানির দরে বিক্রি করতে বাধ্য হয়। অনেক সময় বাজারে মূল্যের তারতম্যের কারনে কৃষি পণ্যগুলো কয়েকদিনেও অবিক্রিত থেকে গেলে তা পঁচে নষ্ট হয়ে যায়।
এতে করে কৃষকরা লাভের চেয়ে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে বেশি। কৃষকরা জানিয়েছে ঈদগড়ে সরকারী অথবা বেসরকারী ভাবে একটি হিমাগার স্থাপন করা হলে প্রতিবছর কৃষি পণ্যগুলো সংরক্ষণের মাধ্যমে বিক্রি করতে পারলে বছরে কোটি টাকার বাড়তি আয় করতে পারবে।
ঈদগড়ের স্থানীয় কয়েকজন সচেতন ব্যক্তি জানান, একটি হিমাগার থাকলে হাসনাকাটা, বড়বিল, চরপাড়া, ঠুটার বিলসহ বিভিন্ন এলাকা ও পার্শ্ববর্তী ইউনিয়ন বাইশারীর কৃষকরা এবং জুমচাষীরা এখানে কৃষিপণ্য সংরক্ষণ করতে পারবে। বর্তমানে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হলেও বর্ষা মৌসুমে খালের ভাঙ্গনের ফলে অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে।
বিষয়টি আমলে নিয়ে সরকারী ও বেসরকারী পর্যায়ে একটি হিমাগার স্থাপন করা হলে আগামীতে জাতীয় অর্থনীতিতে ঈদগড় ইউনিয়ন আরো গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারবে বলে জানান ঈদগড় ইউনিয়ন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম।
Posted ৮:৫৭ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৭ আগস্ট ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta