দীপন বিশ্বাস :: বহুল আলোচিত মাস্টার মহিবুল্লাহ হত্যাকান্ডের মূল পরিকল্পনাকারী, সেভেন মার্ডার ও গোয়েন্দা সংস্থা’র কর্মকর্তা হত্যাকান্ডে সরাসরি অংশগ্রহণ এবং হত্যা, অস্ত্র, অপহরণ’সহ ২১টির অধিক মামলার পলাতক আসামী আরসার অন্যতম মূলহোতা মোঃ শহিদুল ইসলাম প্রকাশ মৌলভী অলি আকিজ’সহ পাঁচজন আরসা সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
র্যাব সূত্র জানায়, ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারের নতুন পরিকল্পনা নিয়ে মৌলভী আকিজ’সহ তার সহযোগীরা উখিয়ার ৪ নং রোহিঙ্গা শিবিরে একটি পরিত্যক্ত ঘরে গোপন বৈঠক করছিল। এ তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১৫ এর একটি দল রোববার রাতে সেখানে অভিযান চালায়।
অভিযানে আরসার পাঁচ সন্ত্রাসীসহ তাদের নিকট থেকে ৫১.৭১ কেজি বিস্ফোরক, ০৫টি গ্রেনেড, ০৩টি রাইফেল গ্রেনেড, ১০টি দেশীয় তৈরী হ্যান্ড গ্রেনেড, ১৩টি বিদেশী আগ্নেয়াস্ত্র, ৫৪টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, ১৬৮ রাউন্ড গুলি/কার্তুজ, ৬৭ রাউন্ড খালি খোসা, ৪টি আইডি ও ৪৮টি ককটেল উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আরসা সন্ত্রাসীরা হল- মোঃ শহিদুল ইসলাম প্রকাশ মৌলভী অলি আকিজ (৫০), পিতা-মৃত আবুল বাশার প্রকাশ মৌলভী নাছের, ক্যাম্প-৫, ব্লক-সি, কুতুপালং, উখিয়া, মোঃ ফয়সাল প্রকাশ মাস্টার ফয়সেল (২৮), পিতা-মৌলভী আনোয়ার, ক্যাম্প-৬, ব্লক-ডি, উখিয়া, হাফেজ ফয়জুর রহমান (২৪), পিতা-মৃত মৌলভী রহমত উল্ল্যা, ক্যাম্প-২০ এক্সটেনশন, এস/৪, বি/৫, উখিয়া, মোঃ সালাম প্রকাশ মাস্টার সালাম (২০), পিতা-মৃত করিম উল্ল্যা, ক্যাম্প-৮/ই, ব্লক-বি/৪৪, বালুখালী, উখিয়া ও মোঃ জুবায়ের (২৪), পিতা-আনু মিয়া, ক্যাম্প-২২, উনচিপ্রাং, উখিয়া।
উখিয়া উপজেলার নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন,বর্তমানে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মূর্তিমান আতঙ্কের নাম আরসা’র সন্ত্রাসী গোষ্ঠি।
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হত্যা, অপহরণ, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, অগ্নিসংযোগ ও মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত রয়েছে আরসা’র সন্ত্রাসী গোষ্ঠি। এই আরসা সন্ত্রাসীরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সাধারণ রোহিঙ্গাদের উপর প্রভাব খাটায়। কেউ আরসার অনৈতিক কর্মকান্ডের বিরোধিতা করলে অপহরণসহ নির্মম হত্যকান্ডের শিকার হতে হয়।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান, র্যাব-১৫ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সিনিয়র সহকারী পরিচালক (ল’ এন্ড মিডিয়া) মোঃ আবু সালাম চৌধুরী।
উল্লেখ্য, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারসহ বিভিন্ন কারণে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কর্তৃক ২০২৩ সালে ৬৪ জন এবং ২০২৪ সালে এ পর্যন্ত ২০ জন হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছেন।
