মোসলেহ উদ্দিন,উখিয়া(৬ এপ্রিল) :: উখিয়ার সামাজিক বনায়ন প্রকল্প এখন নেই বললেই চলে। বিরাণ ভূমিতে পরিণত শত শত একর সংরক্ষিত বনভূমি চলে যাচ্ছে অবৈধ দখলে। পাহাড় কেটে শ্রেণী পরিবর্তন করে অবাধে বিক্রি হচ্ছে বনভুমি।
এই বনভূমিতে দিন দিন অবৈধ স্থাপনা বৃদ্ধির ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে আগামীতে বনায়ন সৃজনের জায়গা খুঁজে পাওয়া যাবে না বলে মনে করছেন পরিবেশবাদী সচেতন মহল।
এতে করে এতদাঞ্চলে উঞ্চতা বেড়ে গিয়ে পরিবেশ বিপর্যয় ঘটছে। পাশাপাশি আগামী প্রজন্মের জন্য বন সম্পদ মানে রূপকথার কল্প কাহিনীতে পরিণত হওয়ার আশংকা করা হচ্ছে।
১৯৮০ দশকের অভয়ারণ্য হিসেবে পরিচিত কক্সবাজারের বৃহত্তম সরকারি বনাঞ্চল উখিয়ার বনভূমি এখন লোকালয়ে পরিণত হয়েছে।
সরকার প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বিকল্প উপায়ে বন সম্পদ উন্নয়নের লক্ষ্যে ১৯৯১ সনের উখিয়া বন রেঞ্জে ৮টি বনবিটে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে সামাজিক বনায়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করলেও এলাকার কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তি বর্গের ছত্রছায়ায় এ ভুমি নিজের জায়গা জমিতে পরিনত হয়েছে।
সেখানে তারা ইচ্ছেমত বনভুমির রকম পরিবর্তন করে মোটা অংকে দেদারছে বিক্রি করে লাখ লাখ টাকার মালিক বনে যাচ্ছে।
থাইংখালী বন বিটের মোছার খোলা ২০০৪ সালে ৪০ হেক্টর ও থাইংখালী ২০০৩-০৪ সনের ৩০ হেক্টর সামাজিক বনায়ন প্রকল্প ঘুরে দেখা যায় গাছ শূণ্য শত হেক্টর বনভূমি খাঁ খাঁ করছে।
এসব বনভুমি বিক্রয় সহ নানা অভিযোগে বনপ্রশাসন কয়েকটি মামলা করে দ্বায় সেরেছে। কার্যত তারা সংঘবদ্ধ ওই ভুমি দখলকারীদের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে বলে জনশ্রুতি আছে।
উখিয়া বন রক্ষা সহায়ক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী জানান, বন আইনের সংশোধন করে বন সম্পদ ধ্বংসকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া না হলে এখানে সামাজিক বনায়ন বাস্তবায়ন তো দুরের কথা বনভুমি তথা সবুজ বনায়ন বলে কিছুই থাকবেনা।