মোসলেহ উদ্দিন,উখিয়া(২৮ ফেব্রুয়ারী) :: কক্সবাজারের উখিয়ায় কয়েকটি হাটবাজার ইজারা দেওয়া নিয়ে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে জনগনের মাঝে। গত ২৭ ফেব্রুয়ারী উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে হাটবাজার ইজারা সম্পন্ন হয়েছে।
উপজেলা ৮টি হাটবাজার ইজারা সরকারি বিধি মোতাবেক হওয়ার বিধান থাকলেও উখিয়া দারোগা বাজার ইজারা নিলামে জনমনে অসন্তোষ পরিলক্ষিত হয়েছে।
বাজার মুল্যের দুইগুন দামে উখিয়া দারোগা বাজার ইজারা দেওয়া হয় ১কোটি ৩লাখ টাকায়। অতিরিক্ত এই ৫০লাখ টাকা জনগনের ঘাড়ে বর্তাবে বলে সচেতনমহল মনে করেন
ইজারাদার জনৈক ব্যাক্তি যেখানে ৫০লাখ থেকে ৬০লাখ টাকায় বাজার পাওয়ার যোগ্যতা রাখে, সেখানে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ৯০লাখ টাকায় ইজারা নেন। ভ্যাট সহ বাজার ইজারা মুল্যের অংক দাঁড়ায় প্রায় ১কোটি ৩ লাখ টাকা।এতে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পড়বেন উখিয়ার সর্বসাধারন তথা ক্রেতা-বিক্রেতারা।
অভিযোগ উঠেছে, একটি মহল বিশেষের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে চড়া মুল্যে বাজারটি ইজারা হয়। গত মঙ্গলবার এ খবর সর্বত্র ছড়িয়ে পড়লে সচেতন মহল সহ সাধারন মানুষের মধ্যে চরম অসন্তোষ ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
কারন বাজারটি প্রতি বছর ৫০-৫৫লাখ টাকায় বাজার ইজারা হলেও এবছর আকাশচুম্বি দামে ইজারা হওয়ায় শোষনের শিকার হবে উখিয়ার মানুষ। এটাকা জনগনের উৎপাদিত কৃষিপন্য সহ ইত্যাদি মালামাল থেকে অতিরিক্ত টোল আদায় হবে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উখিয়া উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ছেনুয়ারা বেগম বলেছেন উখিয়া দারোগা বাজার নিলাম প্রক্রিয়ায় জনগনের উপর চাপ পড়বে। কারন অতিরিক্ত কিছুই ভাল নয়। বাজার নিলামে সিন্ডিকেট ভেঙ্গে গেলেও সর্বোচ্চ দরদাতা বাজার পাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে কৃষক সমাজ।
সাধারন খেটে খাওয়া মানুষ ব্যাংক ও এনজিও থেকে ঋন নিয়ে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ক্ষেত খামার করে উৎপাদিত ফসল ও শাক সবজি বিক্রি করে যা পাবে অর্ধেক টাকা ইজারাদারকেই দিতে হবে। তারা হতাশ হয়ে বাড়িতে যাবে এটা আমি চাইনা। যেহেতু আমি জনগনের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধি।
এ প্রসঙ্গে দৃষ্টি আকর্ষন করা হলে উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী বলেন, অতিরিক্ত চড়াদামে বাজার ইজারা নিয়ে সাধারন মানুষের টাকা হাতিয়ে নেবে এটা কাম্য হতে পারেনা। সরকারের রাজস্ব আদায় করতে গিয়ে মানুষের উপর হয়রানী ও প্রভাব যাতে না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। অন্যথায় মানুষের প্রতি অবিচার হবে।