মোসলেহ উদ্দিন,উখিয়া(২৯ জুলাই) :: পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার উপর অধিকতর গুরুত্ব দিয়ে অপরিচ্ছন্নতার বিরুদ্ধে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সর্তকতা অবলম্বনে নির্দেশ পরবর্তীতে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করায় এ উপজেলার সার্বিক পরিবেশের আমূল পরিবর্তন হলেও তা বেশিদিন স্থায়ী হয়নি।
উখিয়া উপজেলার বিভিন্ন জনগুরুত্বপুর্ন এলাকাসহ বিশেষ করে উপজেলা সদরে ময়লা আবর্জনা,বর্জ্যসহ অপরিচ্ছন্ন নালা নর্দমার কারণে নাগরিক জীবন বিপন্ন হয়ে উঠেছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তার কর্মক্ষেত্রে যোগদানের পর পরই পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার উপর সর্তকতা নির্দেশ দিয়ে পরিবেশের যথেষ্ট আমূল হয়েছে।
ইদানিং অভিযোগ উঠেছে এ নিয়ে নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার শুরু করায় তিনি পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান বন্ধ করে দেন। ফলে উখিয়ার জনগুরুত্বপূর্ণ স্থান গুলো ময়লা আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে।
সরেজমিন উখিয়া উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র সড়ক, উখিয়া সদর স্টেশন ও উখিয়া বাজার ঘুরে দেখা যায়, এসব ব্যস্ততম এলাকাগুলো সর্ব সাধারণের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
বাজারের স্থানীয় ব্যবসায়ী খুরশেদ আলম সওদাগরসহ একাধিক লোকজন অভিযোগ করে জানান, বাজার ইজারা দারের খাম খেয়ালিপনার কারণে ক্রেতা বিক্রেতা সাধারণকে অসহনীয় দূর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে।
উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্মরত চিকিৎসক জানান, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রবেশ মুখের কতিপয় ব্যবসায়ী তাদের যাবতীয় ময়লা আবর্জনা সড়কের উপর ফেলছে। আবর্জনা না ফেলার জন্য সাইন বোর্ড দিয়ে সর্তক করে দেওয়া সত্ত্বেও তারা তা মানছে না।
যে কারণে ময়লা আবর্জনা পেরিয়ে রোগীতে আসা যাওয়া করতে হচ্ছে। সদর স্টেশনের বিভিন্ন স্থানে ফেলা হয়েছে ব্যবসায়ীদের উছৃষ্ট বর্জ্য ও ময়লা আবর্জনা।
পরিবেশবাদী সংগঠন পরিকল্পিত উখিয়া চাই এর আহ্বায়ক নুর মোহাম্মদ সিকদার জানান, ইউএনও’র পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযানের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের কারণে হীতে বিপরীত হয়েছে। তিনি আর এব্যাপারে কোন উজর আপত্তি করছেনা বিধায় সদর এলাকার জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোর পরিবেশ কলুষিত হয়ে নাগরিক জীবন বিপন্ন হয়ে উঠেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাঈন উদ্দিন জানান, স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সুশীল সমাজের লোকজন সচেতন না হলে আইন দিয়ে সবকিছুর সমাধান করা সম্ভব নয়।
Posted ১০:৫২ অপরাহ্ণ | শনিবার, ২৯ জুলাই ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta