প্রেস বিজ্ঞপ্তি(৫ আগষ্ট) :: রোহিঙ্গার ভারে ন্যুয়ে পড়া জনপদ উখিয়া উপজেলার লাখো মানুষের প্রাণের ২৩ দফা নিয়ে পুর্বঘোষিত মানব বন্ধন যথারীতি সমপন্ন হয়েছে।
৫ আগষ্ট রবিবার একরাম মার্কেট চত্তরে বিকাল ৩টায় উপজেলা প্রেসক্লাব উখিয়ার উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধনে
পরিকল্পিত উখিয়া চাই এর আহবায়ক ও উপজেলা প্রেসক্লাবের সমন্বয়ক আলহাজ নুর মুহাম্মদ সিকদার বলেন, পচিশে আগষ্ট এক বছর পুর্ন হবে। মিয়ানমার জান্তার আগ্রাসনে জানমাল বাঁচাতে ধেয়ে আসা রোহিঙ্গারা দেশের সীমান্ত উপজেলা উখিয়ায় সবদিক থেকে নিরাপদে থাকলেও সংকটে পড়েছে উখিয়াবাসী।
উখিয়ার বুকের উপর কিছু কিছু সেবা সংস্থার উলঙ্গ নৃত্য করছে। উখিয়ার হৃদয়ে রক্তক্ষরন, এই রক্ত মুচবে কে? অধিকাংশ সেবা সংস্থাগুলো তো প্রতারনা করলো। তাই মানবতার মা প্রধানমন্ত্রী বরাবর ২৩ দফা দাবী পেশ করা হলো।
১। উখিয়া-টেকনাফ সড়ক সম্প্রসারণ।
২। রোহিঙ্গাদের নিয়ন্ত্রণ।
৩। প্রত্যাবাসন বিলম্ব হলে দেশ ও উখিয়া বাঁচাতে পরিকল্পনা গ্রহণ।
৪। সেবা সংস্থার চাকরিতে স্থানীয়দের যোগ্যতা শীতলকরণ এবং স্থানীয়দের জন্য ৭০% চাকুরী নিশ্চিত করণ।
৫। স্থানীয় এনজিওদের রোহিঙ্গা সেবা কার্যক্রমে অগ্রাধিকারের ব্যবস্থা গ্রহণ।
৬। পাহাড় কাটা বন্ধ ও খাল সংস্কার।
৭। আপনার ঘোষিত মাদক নির্মুল কর্মসুচির দ্রুত বাস্তবায়ন।
৮। উখিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও উখিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কুতুপালং ও বালুখালী বিদ্যালয়ের সামনে গতিরোধক স্থাপন।
৯। উখিয়া উপজেলার প্রতিটি ষ্টেশন সমূহে ড্রেনেজ ব্যবস্থা চালুকরণ।
১০। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এইডস রোগীদের সনাক্ত করে উখিয়া তথা দেশকে ঝুকিমুক্ত করণ।
১১। উখিয়া সদরে অবস্থিত থানা ডিস্পেন্সারীকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উন্নীতকরণ।
১২। উখিয়া উপজেলা সদরে উপজেলা বিশ্রামাগার নির্মাণ।
১৩। কেজি, এবতেদায়ী সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টানে সেবা সংস্থার অর্থায়নে প্যারা শিক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা করণ।
১৪। উখিয়া উপজেলার মসজিদ, মন্দির, ক্যাং সহ সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকুরীজীবিদের ব্যয় বৃদ্ধি পুরণে রোহিঙ্গা ভাতা চালু করণ।
১৫। পালংখালী ও উখিয়া নুরুল ইসলাম চৌধুরী (ফলিয়া পাড়া) সড়কটি মেরিনড্রাইভ সড়কের সাথে সংযুক্তি করণ।
১৬। রোহিঙ্গা ক্যাম্প কেন্দ্রীক গড়ে উঠা হাটবাজার সমুহ রাজস্বের আওতায় আনার ব্যবস্থা গ্রহণ।
১৭। বিভিন্ন এনজিও/ উপজেলার উন্নয়নমুলক কর্মকান্ডের স্বচ্ছতা ও গতিশীল করতে স্থানীয় সাংবাদিক ও সুশীল সমাজকে কমিটিতে সম্পৃক্ত করণ।
১৮। হলদিয়াপালং, জালিয়াপালং, রাজাপালং বিভাজন সহ উখিয়া উপজেলা সদরকে পৌরসভায় উন্নীত করণ।
১৯। ছাত্র/ছাত্রীদের সুবিধার্থে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কে বিআরটিসি বাস চালুকরণ।
২০। অবৈধ দখলকৃত ২০ হাজার একর বনভূমি উদ্ধার পূর্বক জরুরী ভিত্তিতে বনায়ন ও ছিন্নমূলদের একটি বাড়ি একটি খামারের আদলে পুণর্বাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ।
২১। রাজাপালং ও পালংখালী ইউনিয়নের রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকা সহ ইউনিয়নদ্বয়ের সকল গ্রাম সমূহকে বিদ্যুতায়নের ব্যবস্থা গ্রহণ।
২২. নিয়োগ কার্যক্রমে এবং ঠিকাদরী বিষয়ে অনলাইন বিজ্ঞাপন নয়, স্থানীয় পত্রিকার মাধ্যমে বিজ্ঞাপন ও উপজেলা কর্মকর্তার কার্যালয় কেন্দ্রীক সম্পাদন চাই।
২৩। দুর্ঘটনা রোধকল্পে ট্রাফিক আইনের যথাযত ব্যবহার চাই।
উপজেলা প্রেসক্লাব উখিয়ার সভাপতি মো: মিজান উর রশীদ মিজানের সভাপতি অনুষ্টিত মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মুজিবুল হক আজাদ, রাসেল উদ্দিন সুজন, উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক সাংবাদিক মোসলেহ উদ্দিন, দপ্তর সম্পাদক সাংবাদিক শাকুর মাহমুদ চৌধুরী, প্রকাশনা সম্পাদক তানভির শাহারিয়ার, সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম, সাংবাদিক নুরুল আলম সিকদার, সাংবাদিক রাসেদুল ইসলাম, সাংবাদিক কফিল উদ্দিন, সাংবাদিক শিশু বড়ুয়া, সাংবাদিক কামাল উদ্দিন এবং অন্যান্যদের মধ্যে সিদ্দিক আহমদ।