রবিবার ৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২২শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম

রবিবার ৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি পাওয়ার অপেক্ষায় বাংলাদেশ

শনিবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৭
468 ভিউ
উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি পাওয়ার অপেক্ষায় বাংলাদেশ

কক্সবাংলা ডটকম(১৬ ডিসেম্বর) :: এক সময়কার কথিত ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ বাংলাদেশ আজ বিশ্ব অর্থনীতিতে গুরুত্ব পাচ্ছে। বিজয়ের ৪৬ বছরের বাংলাদেশের স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ের শুরুটা হয়েছিল শূন্যের অর্থনীতি নিয়ে। শোষণ-নিপীড়নে এ দেশকে নিষ্পেষিত করেছিল যে পাকিস্তান- এখন অনেক কিছুতেই সেই পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। প্রতি পলে প্রমাণ রাখতে সক্ষম হয়েছে, বাঙালি বীরের জাতি।

সব শর্ত পূরণ করে জাতিসংঘের কাছ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পৌঁছানোর সক্ষমতা অর্জনের ঘোষণা পাওয়ার অপেক্ষায় দিন গুনতে শুরু করেছে বাংলাদেশ। আগামী মার্চেই সেই শুভক্ষণ আসার সম্ভাবনা রয়েছে। জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসির (ইউএনসিডিপি) ত্রিবার্ষিক পর্যালোচনা সভায় আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা আসতে পারে বলে জানা গেছে।

স্বাধীনতার ৪৬ বছরে সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দেশের অর্থনীতির চালিকা শক্তিগুলো পাল্টেছে। ক্রমে শিল্প ও সেবা খাতের বিকাশ হয়েছে, যা অর্থনীতির মৌলিক কাঠামো বদলে দিয়েছে। উদ্যম আর কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে মধ্যম আয়ের দেশের পথে এখন বাংলাদেশের অর্থনীতি। সুষম উন্নয়ন পরিকল্পনায় দেশে একশটি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের ধারায় এগিয়ে চলেছে।

অর্থনীতি ও শিল্পায়নে বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলো এসব শিল্পাঞ্চলে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখাচ্ছে। সম্প্রতি দ্য ইকোনমিস্টের এক প্রতিবেদনে অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের একটি তুলনা তুলে ধরা হয়। এতে দেখানো হয়, বাংলাদেশে স্বাধীনতার সময় জিডিপিতে কৃষির অবদান ছিল প্রায় ৫৯ শতাংশ। আর শিল্পের অবদান ছিল ৬ থেকে ৭ শতাংশ। বর্তমানে জিডিপিতে শিল্প খাতের অবদান প্রায় ২৯ শতাংশ।

জিডিপির তিনটি খাতের মধ্যে কৃষি খাতের অবদান তৃতীয় স্থানে। সেবা খাতের অবদান শীর্ষে। স্বাধীনতার সময় পাকিস্তানে জিডিপিতে শিল্প খাতের অবদান ছিল ২০ শতাংশের বেশি।

জানা গেছে, গত অক্টোবরে বাংলাদেশ সফরে আসা ইউএনসিডিপির উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল ফিরে গিয়ে সদর দপ্তরে দাখিল করা প্রতিবেদনে বাংলাদেশের জন্য এমন ‘সুখবরের’ কথা বলেছে। তবে সুখবরের সঙ্গে শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সুবিধাসহ আরো বেশ কিছু সুবিধা বন্ধ হবে বাংলাদেশের। সে সব সমস্যা কাটাতে একটি জাতীয় টাস্কফোর্স গঠন করা হচ্ছে।

এলডিসি হিসেবে বাংলাদেশ ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কানাডা, জাপান, অস্ট্রেলিয়াসহ এশিয়া-আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে বিনাশুল্কে রপ্তানি সুবিধা পাচ্ছে। বাংলাদেশের ৩৪ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয়ের ২৭ বিলিয়ন ডলারই আসে এসব দেশ থেকে।

এ ছাড়া স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা থেকে কম সুদে বা বিনা সুদে ঋণ সহায়তা পেয়ে থাকে। উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হলে চড়া সুদে ঋণ নিতে হবে। ২০২৭ সালের পর আন্তর্জাতিক বাণিজ্যসহ নানা ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সুবিধা কমে যাবে।

জানা যায়, গত ২২ নভেম্বর এলডিসি স্ট্যাটাস থেকে বাংলাদেশের উত্তরণ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে একটি বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব কাজী শফিকুল আযম বলেছেন, গত ৯ থেকে ১২ অক্টোবর ইউএনসিডিপি সচিবালয়ের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফর করে।

সফর শেষে ইউএনসিডিপির প্রতিবেদনে তিনটি সূচকের সবটাতেই বাংলাদেশ নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছে মর্মে মন্তব্য সন্নিবেশ করেছে। ফলে আগামী মার্চ মাসে অনুষ্ঠেয় ইউএনসিডিপির ত্রিবার্ষিক পর্যালোচনায় (ট্রাইনিয়াল রিভিউ) বাংলাদেশ এলডিসি স্ট্যাটাস থেকে উত্তরণে সুপারিশ লাভ করবে বলে আশা করা যায়।

জাতিসংঘের প্রতিনিধিদলটি আসার আগে গত ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও ইআরডি থেকে দুটি প্রতিনিধিদল জাতিসংঘে যায়। সেখানে বাংলাদেশ যে এলডিসি থেকে উত্তরণের শর্ত পূরণ করেছে, সেগুলো তুলে ধরেন তারা।

প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব ও প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ এ বিষয়ে জানান, স্বল্পোন্নত (এলডিসি) দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের তিনটি সূচকের সবগুলোই বাংলাদেশ অতিক্রম করেছে।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ মাথাপিছু আয়, মানবসম্পদ সূচক (এইচএআই) ও অর্থনৈতিক সংকট সূচক (ইভিআই) জাতিসংঘের দেয়া লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছে। তিনটি সূচকের যেকোনো দুটি সূচক পূরণ করলেই স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বের হয়ে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উন্নীত হওয়া যায়। আগামী বছরের মার্চ মাসে ইউএনসিডিপির ত্রিবার্ষিক বৈঠকে বাংলাদেশ এলডিসি স্ট্যাটাস থেকে উত্তরণে সুপারিশ লাভ করবে।

আবুল কালাম আজাদ বলেন, ২০২৭ সালের পর আমরা আর এলডিসির সুবিধা পাব না। তবে ওই সময় যাতে আরো ভালো কোনো সুবিধা পেতে পারি, সে জন্য চেষ্টা চলছে। আমরা বিশ্বাস করি, একটি সুবিধা বন্ধ হলে ১০টি সুবিধার দুয়ার খুলবে।

সূত্র মতে, এলডিসি স্ট্যাটাস থেকে উত্তরণের রোডম্যাপ বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণের জন্য একটি জাতীয় টাস্কফোর্স গঠন করা হবে। উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হলে কোন ধরনের অসুবিধা দেখা দিবে তার একটি ধারণাপত্র আগামী তিন মাসের মধ্যে প্রণয়ন করা হবে। এটি করবে ইআরডি ও বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই)।

জানা গেছে, এলডিসি থেকে কোন কোন দেশ উন্নীত হবে, সে সিদ্ধান্ত হবে ইউএনসিডিপির ২০১৮ সালের মার্চের বৈঠকে। শর্তপূরণ করা স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে উন্নীত করার বিষয়টি বিবেচনা করবে সংস্থাটি।

এদিকে আগামী নির্বাচনের আগেই বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার পথে থাকা দেশের তালিকায় রাখতে চায় সরকার। সংস্থাটির পরের বৈঠক হবে ২০২১ সালে। এই তিন বছর তিনটি সূচকে পিছিয়ে না পড়লে ২০২৪ সালে জাতিসংঘের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি পাবে বাংলাদেশ। তবে এলডিসি হিসেবে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও অন্যান্য ক্ষেত্রে বিদ্যমান সুবিধা ২০২৭ সাল পর্যন্ত ভোগ করতে পারবে বাংলাদেশ।

জাতিসংঘের শর্তানুযায়ী, কোনো দেশ এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হতে হলে পর পর তিন বছর মাথাপিছু জাতীয় আয় (জিএনআই) এক হাজার ২৪২ ডলার হতে হবে। এই মুহূর্তে বাংলাদেশের গড় মাথাপিছু আয় ১৬১০ ডলার। আর জাতিসংঘের শর্তানুযায়ী, মানবসম্পদ উন্নয়ন সূচকে ১০০-এর মধ্যে ৬৬ বা তার বেশি অর্জন করতে হয়, বাংলাদেশের অবস্থান ৭০-এ। আর অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচকে ৩২ বা তার নিচে থাকার শর্ত রয়েছে।

বাংলাদেশের অবস্থান ২৫ দশমিক ০৩-এ। বিবিএসের এসব তথ্যের সঙ্গে জাতিসংঘের তথ্যের কিছুটা ফারাক ছিল। ইউএনসিডিপির প্রতিনিধিদের সফরের সময় উভয় পক্ষের আলোচনায় এই ফারাক কমে গেছে।

অর্থনীতির সূচকগুলো এখন অনেক দেশের তুলনায় উচ্চতায় অবস্থান করছে। বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের মতো প্রতিষ্ঠানও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রশংসা করেছে।

জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়নবিষয়ক সংস্থা আঙ্কটাডের এলডিসি প্রতিবেদন-২০১৬-তে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ২০১৮ সালের মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বের হওয়ার প্রাথমিক যোগ্যতা অর্জন করবে। আর ২০২৪ সালে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বের হয়ে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হবে। আঙ্কটাডের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৭ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে ১৬টি দেশের উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এসবের মধ্যে বাংলাদেশ ছাড়াও আছে আফগানিস্তান, অ্যাঙ্গোলা, ভুটান, জিবুতি, গিনি, কিরিবাতি, লাওস, মিয়ানমার, নেপাল, সাও তুমে, সলোমন দ্বীপপুঞ্জ, পূর্ব তিমুর, টুভালু, ভানুয়াতু ও ইয়েমেন। এর মধ্যে বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, জিবুতি, লাওস, মিয়ানমার ও ইয়েমেন ২০২৪ সালে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পাবে।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, স্বল্পোন্নত দেশগুলোর মধ্যে ২০১৪ সালে সবচেয়ে বেশি বৈদেশিক উন্নয়ন সহায়তা পাওয়া ৮টি দেশের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ। ওই বছর আফগানিস্তান সর্বোচ্চ ৩ দশমিক ৯ বিলিয়ন (৩৯০ কোটি) ডলার উন্নয়ন সহায়তা পেয়েছে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সর্বশেষ তথ্যমতে, বাংলাদেশের জনসংখ্যা এখন ১৬ কোটি ১৭ লাখ। এটি এখন বিশ্বের অষ্টম জনবহুল দেশ। এদিকে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে নিজেদের আদমশুমারির ফলাফল প্রকাশ করে পাকিস্তান।

এতে দেখা যায়, বর্তমানে পাকিস্তানের জনসংখ্যা ২০ কোটি ৭৮ লাখ। বিশ্বের পঞ্চম জনবহুল দেশ এখন পাকিস্তান। ব্রাজিলকে অতিক্রম করেছে। আর এ কারণেই মাথাপিছু জিডিপির হার কমেছে পাকিস্তানের।

২০১৬-১৭ অর্থবছরে দেশে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭ দশমিক ২৮ শতাংশ। দেশের অর্থনীতির ইতিহাসে এই প্রথম এত উচ্চমাত্রায় প্রবৃদ্ধি অর্জন করা সম্ভব হলো, যা ছিল নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি।

তবে স্বাধীনতার পর থেকে শুরু করে দীর্ঘ ২৫ বছর পর্যন্ত বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার সাড়ে ৪ শতাংশের বেশি বাড়েনি। এর মধ্যে ১৯৭৩-৭৪ থেকে ১৯৭৯-৮০ সময়ে প্রবৃদ্ধির হার ছিল মাত্র গড়ে ৩ দশমিক ৮ শতাংশ।

পরের ১০ বছর জিডিপি বেড়েছে প্রায় ৫ শতাংশ হারে। এরপর থেকে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ছাড়িয়ে গেছে ৬ শতাংশ। বর্তমানে জিডিপির আকার ২৪ হাজার ৯৬৮ কোটি ডলার। জিডিপির আকার ১০ হাজার কোটি ডলার ছাড়াতে স্বাধীনতার পর ৩৪ বছর লেগেছে।

মাথাপিছু আয়েও বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে রয়েছে। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের বার্ষিক মাথাপিছু আয় ছিল মাত্র ৬৭১ টাকা। বর্তমানে দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ১ লাখ ২৮ হাজার ৮০০ টাকা বা ১ হাজার ৬১০ মার্কিন ডলার।

স্বাধীনতার পর যেখানে মানুষের মুখে খাবার দেয়ার সক্ষমতা ছিল না বললেই চলে, সেখানে এখন গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্সে (বিশ্ব ক্ষুধাসূচক) পাকিস্তানকে পেছনে ফেলেছে বাংলাদেশ। ২০১৭ সালের গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্সে বাংলাদেশের অবস্থান ৮৮; যেখানে পাকিস্তানের ১০৬।

যুদ্ধ-পরবর্তী বাংলাদেশে যখন বস্ত্র-কাপড়ের সংকট তৈরি হয়েছিল, সেই দেশই এখন ভারত, পাকিস্তানের চেয়ে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে এগিয়ে। বাংলাদেশের রপ্তানির প্রধান উৎস এখন তৈরি পোশাক খাত।

দ্য ইকোনমিস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, রপ্তানিতে তৈরি পোশাকের অবদান বাড়লেও পোশাক কারখানার পরিবেশ পাকিস্তান, ভারতের চেয়ে ভালো নয় বাংলাদেশের। এই অবস্থা থেকে দ্রুত এগিয়ে যেতে হবে বাংলাদেশকে।

৩৩ বিলিয়ন ডলারের ঘরে রিজার্ভ :

অর্থবছরের শুরুতে রেমিটেন্স ও রপ্তানি বৃদ্ধিতে ভর করে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডার ৩ হাজার ৩০০ কোটি (৩৩ বিলিয়ন) ডলার ছাড়িয়েছে। গত ২২ জুন অতীতের সব রেকর্ড ছাপিয়ে রিজার্ভ ৩৩ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে। জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) আমদানি বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ দুই বার ৩৩ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে আসে। গত কয়েক বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে রিজার্ভ।

গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর অর্থনীতির অন্যতম প্রধান এ সূচক ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়ায়। ৪ নভেম্বর ছাড়ায় ৩২ বিলিয়ন ডলার। বিদেশি মুদ্রার সঞ্চায়ন ১০০ কোটি ডলারের নিচে নেমে এলে ভাবমূর্তি নষ্ট হবে বলে ২০০১ সালে প্রথমবারের মতো আকুর আমদানি বিল বকেয়া রাখতে বাধ্য হয়েছিল বাংলাদেশ। ১৭ বছরের মাথায় সেই রিজার্ভ ৩৩ বিলিয়ন (৩ হাজার ৩০০ কোটি) ডলার অতিক্রম করেছে। এ হিসেবে গত ১৭ বছরে বাংলাদেশের রিজার্ভ বেড়েছে ৩৩ গুণ।

আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, একটি দেশের কাছে অন্তত ৩ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমপরিমাণ বিদেশি মুদ্রার মজুদ থাকতে হয়। বাংলাদেশকে দুই মাস পরপর পরিশোধ করতে হয় আকুর বিল।

শ্রমশক্তি রপ্তানি :

স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে কৃৃষিজ উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি মানবসম্পদ রপ্তানির পথ খুঁজে নেয় বাঙালি জাতি। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার মাত্র ৫ বছরের মাথায় ১৯৭৬ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় মানবসম্পদ রপ্তানি। সে বছরে বিশ্বের ৭টি দেশে ৪ হাজার ৬৯১ জনকে রপ্তানি করা হয়।

এর মধ্যে সৌদি আরবে ২১৭, আরব আমিরাতে ১ হাজার ৯৮৯, কুয়েতে ৬৪৩, ওমানে ১১৩, কাতারে ১ হাজার ২২১, বাহরাইনে ৩৩৫ ও লিবিয়ায় ১৭৩ জন শ্রমিক পাঠানো হয়। সে বছর প্রবাসী ওই বাংলাদেশিরা বিদেশের মাটিতে ঘাম ঝরিয়ে ৩৫ কোটি ৮৫ লাখ টাকার রেমিট্যান্স পাঠিয়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গঠনে ভূমিকা রাখেন। তারই ধারাবাহিকতায় আজ বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩৩ বিলিয়ন ডলারে।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি বলেছেন, বর্তমানে ১ কোটি ১১ লাখ ৩৪ হাজার ২১১ জন বাংলাদেশি শ্রমিক বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মরত রয়েছেন।

নুরুল ইসলাম বলেন, চলতি বছরের ২৯ আগস্ট পর্যন্ত চাকরির উদ্দেশ্যে এসব শ্রমিক বিএমইটির ছাড়পত্র নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গেছেন। এর মধ্যে সৌদি আরবে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক ৩২ লাখ ২১ হাজার ৯৭৫ জন কর্মী গমন করেছেন। ২০১৭ সালে বাংলাদেশ থেকে এক মিলিয়ন বা ১০ লাখ শ্রমিক বিদেশে পাঠানোর পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) মহাপরিচালক সেলিম রেজা।

রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধি :

অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও নিয়ন্ত্রিত মূল্যস্ফীতি একদিকে যেমন সামষ্টিক অর্থনীতিকে স্বস্তি দিয়েছে, অন্যদিকে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রাও অর্জিত হয়েছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৩২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরে ২ লাখ ৩ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। তবে অতি উচ্চমাত্রার লক্ষ্যমাত্রার কারণে পরবর্তী সময়ে তা সংশোধন করে ১ লাখ ৮৫ হাজার কোটি টাকায় নিয়ে আসা হয়। ২০১৬-১৭ সালে ১ লাখ ৮৫ হাজার কোটি টাকার বিপরীতে আহরণ করেছে ১ লাখ ৮৫ হাজার ৩ কোটি টাকা।

অনলাইনভিত্তিক নতুন ভ্যাট আইন কার্যকরের পরিকল্পনায় চলতি অর্থবছরে (২০১৭-১৮) আবারো ৩২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ২ লাখ ৪৮ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ৩৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরে ভ্যাট খাতে ৯১ হাজার ৩৪৪ কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এ ছাড়া আয়কর খাতে ৮৬ হাজার ৮৬৭ কোটি ও শুল্ক বাবদ ৬৮ হাজার ৩৪৫ কোটি টাকা আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বরে) ভ্যাট থেকে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২২ শতাংশ বেশি রাজস্ব আহরণ করেছে সংস্থাটি।

এনবিআরের তথ্যমতে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে আয়কর, মূসক ও শুল্ক বাবদ সব মিলিয়ে সাময়িক হিসাবে আহরণ হয়েছে ৪৪ হাজার ৫৬৯ কোটি টাকা।

এনবিআর চেয়ারম্যান এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের জাতির জনকের হাতে গড়া প্রতিষ্ঠান জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। আমাদের ১৯৭২-৭৩ সালে মাত্র ১৬৬ কোটি টাকা দিয়ে যাত্রা শুরু হয়েছিল। আমরা কালক্রমে তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে কাক্সিক্ষত লক্ষ্যমাত্রায় এগিয়ে যাচ্ছি। আমরা ২০১৪-১৫ সালে রাজস্ব আহরণ করেছিলাম ১ লাখ ৩৫ হাজার ২৮ কোটি টাকার বিপরীতে ১ লাখ ৩৭ হাজার কোটি টাকা।

২০১৫-১৬ সালে আমরা ১ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকার বিপরীতে প্রায় ১ লাখ ৫৭ হাজার কোটি টাকা। সর্বশেষ ২০১৬-১৭ সালে ১ লাখ ৮৫ হাজার কোটি টাকার বিপরীতে আমরা আহরণ করেছিলাম ১ লাখ ৮৫ হাজার ৩ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছর আমাদের লক্ষ্যমাত্রা আরো বিশাল- ২ লাখ ৪৮ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। আমরা করদাতাদের কাছ থেকে যে সমর্থন পাচ্ছি, আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস আমরা এ লক্ষ্যমাত্রা শুধু অর্জন নয় অতিক্রমও করব।

পণ্য রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি :

দেশের পণ্য রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি ইতিবাচক আছে। তার মানে রপ্তানি আয় বাড়ছে। সে জন্য প্রবাসী আয়ে মন্দাভাব থাকলেও বৈদেশিক মুদ্রা আয় নিয়ে হাঁস-ফাঁস তৈরি হয়নি। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ হালনাগাদ পরিসংখ্যানে জানা গেছে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম ৫ মাস জুলাই থেকে নভেম্বরে রপ্তানি বেড়েছে গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৬ দশমিক ৮৬ শতাংশ।

আলোচ্য সময়ে ১ হাজার ৪৫৬ কোটি ২৯ লাখ ডলারের পণ্য ও সেবা রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। গত অর্থবছরের প্রথম ৫ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) রপ্তানির পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৩৬২ কোটি ৮৫ লাখ ডলারের। অর্থাৎ চলতি অর্থবছরের প্রথম ৫ মাসে রপ্তানি বেড়েছে ৯৩ কোটি ৪৪ লাখ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ৭ হাজার ৬৬২ কোটি টাকা।

এ ছাড়া সর্বশেষ নভেম্বর মাসে রপ্তানি বেড়েছে আগের অর্থবছরের নভেম্বরের চেয়ে ৬ দশমিক ২২ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে রপ্তানি হয়েছে ৩০৫ কোটি ৭১ লাখ ডলারের। গত বছরের নভেম্বরে রপ্তানির পরিমাণ ছিল ২৮৭ কোটি ৮১ লাখ ডলার। অর্থাৎ গত আলোচ্য সময়ে রপ্তানি বেড়েছে ১৭ কোটি ৯০ লাখ ডলার বা ১ হাজার ৪৬৮ কোটি টাকা। গত অর্থবছর রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়নি।

রপ্তানির ৮২ শতাংশই আসে গার্মেন্টস খাত থেকে। আলোচ্য সময়ের গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানিতে কাক্সিক্ষত প্রবৃদ্ধি না হওয়ায় তার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে পুরো রপ্তানি খাতের ওপর। ওই সময় সব মিলিয়ে রপ্তানি হয়েছিল ৩ হাজার ৪৬৫ কোটি ৫৯ লাখ ডলারের পণ্য ও সেবা। চলতি অর্থবছরের জন্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ৮ শতাংশ বাড়িয়ে ৩ হাজার ৭৫০ কোটি ডলার নির্ধারণ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। গত ৫ মাসে নিটওয়্যার ও ওভেন মিলিয়ে তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৭ দশমিক ৪৬ শতাংশ।

আলোচ্য সময়ে ১ হাজার ১৯৬ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। গত অর্থবছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ১ হাজার ১১৩ কোটি ডলার। গার্মেন্টস পণ্য ছাড়াও রপ্তানি বাড়ার তালিকায় রয়েছে পাট ও পাটজাত পণ্য ১৬ দশমিক ৫১ শতাংশ, কার্পেট ৫ দশমিক ২০ শতাংশ, হোমটেক্সটাইল ১৯ দশমিক ১৮ শতাংশ, সমুদ্রগামী জাহাজ ৪৬০ শতাংশ, অন্যান্য পণ্য ৩২ শতাংশ, হিমায়িত খাদ্য ১১ শতাংশ, কৃষিজাত পণ্য ১৮ শতাংশ, রাবার ২০ শতাংশ।

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ :

বছরজুড়েই মূল্যস্ফীতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণের বাইরে ছিল। চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই বাড়ছে প্রধান খাদ্যপণ্য চালের দাম, সরকারের নানা পদক্ষেপে চালের দামের ঊর্ধ্বগতি ঠেকলেও নিত্যপণ্যের বাজারে চড়া রয়েছে শাক-সবজির দাম। অর্থবছরের প্রথম ৩ মাসে তার আগের ৩ মাসের তুলনায় চাল, মাংস, শাক-সবজি, দুধ ও দুগ্ধজাত দ্রব্যের দাম বেড়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মতে, অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ। আগস্টে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে দাঁড়ায় ৫ দশমিক ৮৯ শতাংশে। সেপ্টেম্বরে পণ্যমূল্য বেড়ে যাওয়ায় মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৬ দশমিক ১২ শতাংশ। মাসের ভিত্তিতে গত অক্টোবর মাসে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৬ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ।

গত ১৪ নভেম্বর পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানান- খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মধ্যে পরিধেয় বস্ত্র, জ্বালানি, বিদ্যুৎ, বাড়িভাড়া, গৃহস্থালি আসবাবপত্র ও চিকিৎসাসেবা, পরিবহন এবং শিক্ষা উপকরণ ইত্যাদির দাম বেড়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে গ্রামীণ পর্যায়ে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে সাধারণ মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ৮৪ ভাগ। গত অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে এ হার ছিল ৫ দশমিক ৫৩ ভাগ।

প্রত্যাশার অধিক জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার :

মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপির প্রবৃদ্ধিতে প্রথমবারের মতো সরকারের দেয়া লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) চূড়ান্ত হিসাব বলছে, গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরে দেশে জিডিপির প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে ৭ দশমিক ২৮ শতাংশ, যা দেশের ইতিহাসে এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জন। সরকার ওই অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল ৭ দশমিক ২ শতাংশ। সে হিসাবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ০ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি অর্জিত হয়েছে। এর আগে বিএনপি সরকারের আমলে ২০০৬-০৭ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছিল ৭ দশমিক ০৬ শতাংশ।

পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, গত অর্থবছর প্রথম ১০ মাসের তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে আমরা বলেছিলাম জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ৭ দশমিক ২৪ শতাংশ। ওটা ছিল সাময়িক হিসাব। কিন্তু পুরো বছরের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ০ দশমিক ০৪ শতাংশ বেশি অর্জিত হয়েছে। চূড়ান্ত হিসাবে দেখা গেছে, প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭ দশমিক ২৮ শতাংশ। গত অর্থবছর চূড়ান্ত হিসাবে বাংলাদেশের মোট জিডিপির আকার দাঁড়িয়েছে ২৪ হাজার ৯৮৬ কোটি ডলার বা ২০ লাখ ৮৭ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা। জিডিপির আকার ১০০ বিলিয়ন ডলার (১০ হাজার কোটি ডলার) ছুঁতে বাংলাদেশের ৩৪ বছর লেগেছে। বাংলাদেশ ছাড়া বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে ইথিওপিয়া ও কম্বোডিয়া ৭ শতাংশের বেশি জিডিপির প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান পরিকল্পনামন্ত্রী।

মাথাপিছু আয় : এদিকে জিডিপির প্রবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বেড়েছে মাথাপিছু জাতীয় আয়ও। বাংলাদেশে চলতি মূল্যে মাথাপিছু জাতীয় আয় ১ হাজার ৬১০ ডলারে উন্নীত হয়েছে। প্রাথমিক হিসাবে মাথাপিছু জাতীয় আয়ের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৬০২ ডলার। প্রাথমিক হিসাবের চেয়ে চূড়ান্ত হিসাবে মাথাপিছু আয় বেড়েছে আট ডলার। আগের অর্থবছর অর্থাৎ ২০১৫-১৬ অর্থবছরে মাথাপিছু জাতীয় আয় ছিল ১ হাজার ৪৬৫ ডলার। এ হিসাবে বছরের ব্যবধানে জাতীয় আয় বেড়েছে মাথাপিছু ১৪৫ ডলার। দেশীয় মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ১১ হাজার টাকা।

468 ভিউ

Posted ২:০২ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৭

coxbangla.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

Editor & Publisher

Chanchal Dash Gupta

Member : coxsbazar press club & coxsbazar journalist union (cbuj)
cell: 01558-310550 or 01736-202922
mail: chanchalcox@gmail.com
Office : coxsbazar press club building(1st floor),shaheed sharanee road,cox’sbazar municipalty
coxsbazar-4700
Bangladesh
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
বাংলাদেশের সকল পত্রিকা সাইট
Bangla Newspaper

ABOUT US :

coxbangla.com is a dedicated 24x7 news website which is published 2010 in coxbazar city. coxbangla is the news plus right and true information. Be informed be truthful are the only right way. Because you have the right. So coxbangla always offiers the latest news coxbazar, national and international news on current offers, politics, economic, entertainment, sports, health, science, defence & technology, space, history, lifestyle, tourism, food etc in Bengali.

design and development by : webnewsdesign.com