কক্সবাংলা ডটকম(২১ আগস্ট) :: বর্তমানে আমরা যে ধরনের জীবনযাপনে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি তাতে নিজের জন্য সময় প্রায় নেই বললেই চলে। অন্যদিকে নটা-ছটার ডিউটির চাপ সামলাতে গিয়ে বন্ধু-আত্মীয়দের সঙ্গেও যোগাযোগ কমতে থাকে।
ইনসমনিয়া, বর্তমানে মানবজাতির একটা বড় অংশের সমস্যা। পরীক্ষায় লাড্ডু থেকে ব্যর্থ প্রেমের ব্যথা। সবটাই হানা দেয় মাঝরাতে, আর এতেই ঘুমের দফারফা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাতের ঘুমের সমস্যা থেকেই তৈরি হয় একাকিত্ব। এরপর তা আকার নেয় ডিপ্রেশনের। সমস্যা জটিল হয় ক্রমশ।
বলার অপেক্ষা রাখে না, বর্তমানে আমরা যে ধরনের জীবনযাপনে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি তাতে নিজের জন্য সময় প্রায় নেই বললেই চলে। অন্যদিকে নটা-ছটার ডিউটির চাপ সামলাতে গিয়ে বন্ধু-আত্মীয়দের সঙ্গেও যোগাযোগ কমতে থাকে। পরিসংখ্যান বলছে, মূলত টিনেজারদের মধ্যেই ঘুমের সমস্যা বেশি লক্ষ করা গিয়েছে
একটি পরীক্ষায় প্রায় ১ হাজার লোককে কিছু ছবিতে নম্বর দিতে বলা হয়। সেই ফোটোগ্রাফের মধ্যে তাঁরাও ছিলেন যাঁদের ঘুমের সমস্যা রয়েছে। অর্থাৎ যাঁরা ঘুমাতে পারেন না। আসলে এই পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে দেখা হয়েছিল স্যোশাল সাইটের নিরিখে তাঁরা কারা বেশি আকর্ষনীয়। দেখা গেল যাঁরা রাতের ঘুমাতে পারেননা তাঁদের স্কোর অন্যদের থেকে অনেকটাই কম।
গবেষক ম্যাথিউ ওয়াকারের কথায়, আমরা প্রত্যেকেই সমাজবদ্ধ প্রানী। যে ব্যক্তির রাতে ঘুম আসে না, তিনি স্বাভাবিক ভাবেই ওই সময়টা স্যোশাল সাইটে কাটান, লোকের সঙ্গে আরো বেশি করে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন, বাড়তে থাকে ফোন, মেসেজ। এতে তাঁর বিপরীতে থাকা মানুষটি স্বাভাবিকভাবেই বিরক্ত বোধ করেন। এতে সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে ওই ব্যক্তির মধ্যে আরও বেশি করে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়, তৈরি হয় একাকিত্ব। ফলস্বরূপ হয় ঘুমের ব্যঘাত, এভাবেই চক্রাকারে চলতে থাকে বিষয়টি।
রাতের ঘুম কম হওয়ার ফলে শুধু একাকিত্ব নয়, হতে পারে একাধিক শারীরীক সমস্যা। কাজেই খেয়াল রাখুন দিনের শেষে ঘুমটা যেন সঠিক পরিমানে হয়। চিকিৎসকরা বলেন, প্রতিদিন অন্তত আট ঘণ্টা ঘুমানো উচিৎ। সমস্যা বাড়তে থাকলে অবহেলা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন আজই।
Posted ১১:৫৭ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ২২ আগস্ট ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta