মঙ্গলবার ৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৪শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম

মঙ্গলবার ৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

একাদশ জাতীয় নির্বাচনের টার্নিং পয়েন্ট খালেদার বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার রায়

রবিবার, ০৭ জানুয়ারি ২০১৮
263 ভিউ
একাদশ জাতীয় নির্বাচনের টার্নিং পয়েন্ট খালেদার বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার রায়

কক্সবাংলা ডটকম(৭ জানুয়ারী) :: ২০১৮ সাল নির্বাচনের বছর। একাদশ জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরেই আবর্তিত হবে চলতি বছরের রাজনীতি। তবে রাজনীতির টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে বোদ্ধা মহলে বিবেচিত হচ্ছে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে চলমান দুর্নীতি মামলার রায়। মামলা এখন যে পর্যায়ে রয়েছে তাতে রায় ঘোষণা এ শিগগিরই হচ্ছে তা অনেকটাই পরিষ্কার। আর এই রায়ের পরই স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে, আগামী দিনের রাজনীতি কোনো দিকে মোড় নেবে।

কি হতে যাচ্ছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে দেশের রাজনীতিতে। রাজনৈতিক দল ও জোটের রাজনীতির গতি প্রকৃতিও পরিষ্কার হবে এ মামলার রায়ের মধ্য দিয়ে।

বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা নিয়ে বিএনপি নেতারা প্রকাশ্যে তেমন উদ্বেগ প্রকাশ না করলেও ভেতরে ভেতরে রয়েছেন দুশ্চিন্তায়। কারণ তাদের কাছে ক্রমশ পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে, মামলার রায় খালেদার বিরুদ্ধেই যাচ্ছে। এমনটা হলে রাজপথ বেছে নেয়া ছাড়া দলটির সামনে আর কোনো বিকল্প পথ থাকছে- না দলীয় নেতারা এমন আভাসই দিয়েছেন। আবারো নির্বাচন বর্জনের পথে হাঁটতে পারে বিএনপি।

ঘোষণা হতে পারে সরকারবিরোধী এক দফার কর্মসূচি। অল আউট কর্মসূচি ঘোষণা করে রাজপথে নেমে যেতে পারে দলটি। যার মাধ্যমে আবারো উত্তপ্ত হবে রাজনীতি।

হামলা, মামলা, জ্বালাও-পোড়াওয়ের রাজনীতির ফাঁদে পড়তে পারে দেশ। আবারো মুখোমুখি হতে পারে সরকারি ও বিরোধী দল। রাজনৈতিক পরিস্থিতি টালমাটাল হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। সরকারি ও বিরোধী জোটের রাজনীতিতেও দেখা দিতে পারে নানান মেরুকরণ। আবারো বিএনপিকে বাইরে রেখে নির্বাচনের দিকে হাঁটতে পারে দেশ।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি মতো না হলেও খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে বাদ রেখে বিএনপির একটি অংশকে দেখা যেতে পারে নির্বাচনী ময়দানে। তাতে বিএনপির কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ বর্তমান ও সাবেক নেতা অংশ নিতে পারেন বলেও জল্পনা-কল্পনা রয়েছে। জামায়াতসহ বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের অনেকগুলো দলও থাকতে পারে সে প্রক্রিয়ায়। একঘরে হয়ে যেতে পারেন খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপির একটি অংশ।

এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টিকে দেখা যেতে পারে রহস্যময় কিংবা বিপ্লবী ভূমিকায়। ডান বামদলসহ মিশ্রধারার রাজনৈতিক দলেও দেখা যেতে পারে উত্থান পতন। ভেঙে যেতে পারে জোটের রাজনীতি, নতুন নতুন রাজনৈতিক জোটও গঠন হতে পারে ২০১৮ সালেই।

অন্যদিকে এ মামলার রায়ে বিপরীত চিত্রও দেখতে পারে রাজনৈতিক অঙ্গন। মামলার রায় খালেদা জিয়ার পক্ষে গেলে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আলোচনার টেবিলেও দেখা যেতে পারে চরম বৈরি সম্পর্ক বিরাজমান রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে। দুদলকে দেখা যেতে পারে নির্বাচনী যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতেও।

আবার এ মামলার রায়ের কারণে উদ্বুদ্ধ পরিস্থিতিতে অনাকাক্সিক্ষত ঘটনাও ঘটতে পারে জাতীয় জীবনে। যার কারণে আরেক দফা ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে দেশ ও রাজনীতি। তবে পরিস্থিতি যা-ই হোক ২০১৮ সাল হচ্ছে রাজনীতির জন্য নতুন নতুন ঘটনার বছর। যার সূত্রপাত হতে পারে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে চলমান মামলার রায়ের মাধ্যমে। এসব কারণেই এ রায়কে রাজনীতির টার্নিং পয়েন্ট মানছেন বিশ্লেষকরা।

নিজের মামলার রায়ের পরিণতি আগাম টের পেয়ে খালেদা জিয়া নিজেই নেতাকর্মীদের আন্দোলন, সংগ্রাম ও নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিতে বলেছেন। তিনি বলেছেন, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রেখে কোনো অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। নির্বাচন হতে হবে নির্দলীয় সরকারের অধীনে। তার আগে অনির্বাচিত এ পার্লামেন্ট ভেঙে দিতে হবে।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, খালেদা জিয়া মামলা এবং জেলখানা ভয় পান না। তিনি বহুবার জেলে গেছেন। এ সরকার ছলেবলে কৌশলে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। অথচ এই আওয়ামী সরকারই একদিন গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছিল। তারাই পরবর্তী সময়ে ১৯৭৫ সালে একদলীয় বাকশাল কায়েম করেছিল। আজ তারাই গণতন্ত্রকে গলাটিপে হত্যা করছে। যে কারণে দেশের মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছিল। এ জন্য আওয়ামী লীগ ২১ বছর ক্ষমতার বাইরে ছিল। এখন তারা মনে করে বিএনপি টিকে থাকলে এবার ২১ বছর নয়, ৪২ বছর ক্ষমতা থেকে দূরে সরে থাকতে হবে। এ জন্যই তারা খালেদা জিয়াকে জেলে রেখে নির্বাচনের ফন্দি আটছে। কিন্তু তা কখনো সম্ভব হবে না, দেশের মানুষ মেনে নেবে না।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, মিথ্যা মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কোনোভাবেই সাজা দেয়া যাবে না। তিনি এ মামলায় বেকসুর খালাস পাবেন। পুরো মামলাটি কাল্পনিক ও ভুয়া।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির অপর সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, প্রক্রিয়া চলছে খালেদা জিয়াকে সাজা দেয়ার। স্বাভাবিক বিচারের মাধ্যমে নয়, প্রয়োজনে অস্বাভাবিক প্রক্রিয়া তারা প্রয়োগ করবে। তিনি প্রশ্ন রাখেন এটা কোন দেশ? ‘ধইরা-বাইন্দা’ সাজা দিয়ে দেয়া। তাহলে আর বিচারের দরকার কি? নেত্রীকে ধরে জেল দিয়ে দেন।

তিনি বলেন, আজকে আওয়ামী লীগ সরকার খালেদা জিয়াকে প্রহসনমূলক বিচার করে সাজা দেয়ার ব্যবস্থা করছে। আওয়ামী লীগ যদি ভাবে খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়ে সব শেষ হয়ে যাবে, এটা খুব সহজ হবে না।

263 ভিউ

Posted ২:১৫ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ০৭ জানুয়ারি ২০১৮

coxbangla.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

Editor & Publisher

Chanchal Dash Gupta

Member : coxsbazar press club & coxsbazar journalist union (cbuj)
cell: 01558-310550 or 01736-202922
mail: chanchalcox@gmail.com
Office : coxsbazar press club building(1st floor),shaheed sharanee road,cox’sbazar municipalty
coxsbazar-4700
Bangladesh
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
বাংলাদেশের সকল পত্রিকা সাইট
Bangla Newspaper

ABOUT US :

coxbangla.com is a dedicated 24x7 news website which is published 2010 in coxbazar city. coxbangla is the news plus right and true information. Be informed be truthful are the only right way. Because you have the right. So coxbangla always offiers the latest news coxbazar, national and international news on current offers, politics, economic, entertainment, sports, health, science, defence & technology, space, history, lifestyle, tourism, food etc in Bengali.

design and development by : webnewsdesign.com