কক্সবাংলা ডটকম(২৯ আগস্ট) :: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দলীয় মনোনয়ন-প্রত্যাশীদের মধ্যে সম্ভাব্য সংঘর্ষ এড়াতে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। সম্ভাব্য প্রার্থীদের কাছে কেন্দ্র থেকে গোপনে গ্রিন সিগন্যাল পাঠানো হবে। আওয়ামী লীগের নীতি-নির্ধারণী সূত্রগুলো এমন আভাস দিয়েছে।
ক্ষমতাসীন দলের নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা জানান, প্রত্যেক নির্বাচনি আসনে একাধিক প্রার্থী মনোনয়ন-প্রত্যাশী। তারা সবাই নিজ নিজে এলাকায় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কে মনোনয়ন পাবেন, তা প্রকাশ্যে জানিয়ে দিলেও যারা মনোনয়ন পাবেন না, তারা মাঠে থাকবেন না। চূড়ান্ত প্রার্থীদের নানাভাবে হয়রানি করতে শুরু করবেন। এর ফলে মারামারিতেও গড়াতে পারে। তাই গোপনীয়তা রক্ষার স্বার্থে এই কৌশলের আশ্রয় নিয়েছে আওয়ামী লীগ।
দলীয় সূত্রগুলো বলছে, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া, যাচাই-বাছাইয়ের আগমুহূর্তে চূড়ান্ত প্রার্থীর নাম প্রকাশ্যে জানানো হবে। এর ফলে বিশৃঙ্খলার মাত্রা অনেকাংশে কমবে বলে মনে করে আওয়ামী লীগের নীতি-নির্ধারকরা।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘এবার আওয়ামী লীগের চূড়ান্ত মনোনয়ন যিনি পাবেন, তার নাম শেষ সময়ে প্রকাশ্যে আসবে। কারণ চূড়ান্ত প্রার্থীর নাম আগে থেকে জানা গেলে নির্বাচনি আসনগুলোয় বিশৃঙ্খলা বেড়ে যেতে পারে। তাই এই কৌশল নেওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘তবে যাকে কেন্দ্র থেকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়ার কথা ভাবা হবে, তাকে গোপনে গ্রিন সিগন্যাল দেওয়া হবে। তা গোপন রাখতে বলা হবে।’
দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্যাহ বলেন, ‘নির্বাচনের আগে প্রার্থীর কোনও দুর্বলতা থেকে থাকলে, তা যেন কাটিয়ে তুলতে পারেন তিনি, গোপনে গিন সিগন্যাল দেওয়ার এটিও একটি কারণ।’
আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘মাঠের পরিচিতি, কর্মকাণ্ড আমলে নিয়ে অনেক নির্বাচনি আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করাই আছে। তাদের নানাভাবে ইঙ্গিত দেওয়ার কাজও চলছে। তবে সেটা গোপনীয়তা রক্ষা করেই চলছে।’
Posted ১:৫০ অপরাহ্ণ | বুধবার, ২৯ আগস্ট ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta