কক্সবাংলা ডটকম(১৭ ডিসেম্বর) :: পরিচিত পৃথিবীর বাইরের কোনো প্রাণ বা এলিয়েন ও অজ্ঞাত উড়ন্ত বস্তু ( আনআইডেন্টিফাইড ফ্লাইং অবজেক্ট- ইউএফও) নিয়ে মাল্টি মিলিয়ন ডলারের গোপন গবেষণা চালাচ্ছে পেন্টাগন। যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য উঠে এসেছে।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা- বিবিসি জানাচ্ছে, দেশটির খুব কম সংখ্যক কর্মকর্তা ব্যাপারটি সম্পর্কে জানতেন। তবে তাদের বরাতে বলা হচ্ছে যে- ২০০৭ সালের দিকে এই ধরণের উচ্চবিলাসী গোপন গবেষণা কাজে লিপ্ত হয় পেন্টাগন, যা সম্ভবত ২০১২ পর্যন্ত চলে।
নিউ ইয়র্ক টাইমস বলছে, ওইসব গবেষণা থেকে প্রাপ্ত উপাত্তে অদ্ভুত উড়োজাহাজ ও ঘূর্ণায়মান বস্তুর বর্ণনা দেয়া হয়েছে। যদিও বিশ্বের বেশিরভাগ বিজ্ঞানীরাই দাবি করে আসছেন যে, এখন পর্যন্ত পৃথিবীর বাইরে প্রাণ থাকার সুনির্দিষ্ট সত্যতা খুঁজে পাওয়া যায়নি।
অ্যাডভান্সড এরোস্পেস থ্রেট আইডেন্টিফিকেশন নামের অন্তত গোপন ওই গবেষণাটি অবসরপ্রাপ্ত প্রভাবশালী ডেমোক্রেটিক সিনেটর হ্যারি রেইডের হাত ধরে শুরু হয়। নিউইয়র্ক টাইমসকে তিনি জানান, ‘গোপনে এই ধরণের কাজ পরিচালনা করায় আমি লজ্জিত বা বিব্রত নই, বরং আমি এমন কিছু করেছি যা আগে কেউই করেনি।’
জানা গেছে, এই ধরণের গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য মার্কিন প্রশাসনের ২০ মিলিয়ন ডলারের মতো ব্যয় হয়। পরবর্তীতে খরচ আরো বেড়ে যাওয়ার এটি বন্ধ করে দেয়া হয়।
তবে নতুন খবর হলো, পেন্টাগন টাকার অজুহাত দেখিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ধরণের গোপন গবেষণা বন্ধ করে দিলেও, এ ধরণের গবেষণার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা তাদের অন্যান্য দায়িত্বের পাশাপাশি এখনো অস্বাভাবিক আকাশের ঘটনা ও সন্দেহজনক বস্তুগুলি নিয়ে মেতে রয়েছেন।
একজন সাবেক কংগ্রেস কর্মকর্তা বলেছেন, বিদেশী শত্রুদের প্রযুক্তিগত অগ্রগতি নজরদারির জন্য এই গোপন কর্মসূচি চালু করা হয়েছিল বলে তিনি মনে করেন। এই বছরের শুরুর দিকে প্রকাশিত সিআইএ’র হাজার হাজার গোপন নথিতেও ইউএফও এবং ফ্লাইং সসার সংক্রান্ত কাগজপত্র রয়েছে।
বিবিসি।