কক্সবাংলা ডটকম(১২ মে) :: যুদ্ধবিমান বলতে গেলে সাধারণত যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ বা রাশিয়ার বানানো নানা বিমানের কথাই উল্লেখ করা হয়। সামরিক প্রযুক্তিতে বিশ্বের এসব দেশ এগিয়ে থাকায় অন্যরা তাদের থেকে প্রযুক্তি কিনে থাকে।কিন্তু এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে চীন ছাড়াও জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ভারত, পাকিস্তান এবং তাইওয়ানেরও যুদ্ধবিমান বানানোর ক্ষমতা রয়েছে।
এশিয়ার বিভিন্ন দেশে এমন শীর্ষ ৬ যুদ্ধবিমানের তথ্য তুলে ধরা হলো-
হাল তেজাস: এশিয়ার কোনো দেশের প্রথম সুপারসনিক যুদ্ধবিমান হচ্ছে হাল তেজাস। এটি ভারতের ‘হিন্দুস্তান অ্যারোনটিকস লিমিটেড’ (হাল) আশির দশকে তৈরির কাজ শুরু করে। ২০০১ সালে প্রথম এটি আকাশে ওড়ানো হয়। সংস্কৃত ভাষায় এর নামকরণ করা হয়। তেজাস অর্থ ‘উজ্জ্বল’।
চেংদু জে-২০: এশিয়ার প্রথম পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান হচ্ছে চেংদু জে-২০। এটি তৈরি করে চীন। ২০১৭ সালে চীনের সেনাবাহিনীতে এটি আনুষ্ঠানিকভাবে সংযোজন করা হয়। এর আগে এমন শক্তিশালী বিমান ছিল যুক্তরাষ্ট্রের হাতে।
ফাইটার চায়না-১ ফিয়ার্স ড্রাগন: চীনের চেংদু অ্যারোস্পেস কর্পোরেশন ও পাকিস্তানের অ্যারোনটিক্যাল কমপ্লেক্স যৌথভাবে তৈরি করে ফাইটার চায়না-১ ফিয়ার্স ড্রাগন। পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে এই বিমানটি নিয়মিত ব্যবহার করা হয়। এফ-১৭’র মতোই এই বিমান গোয়েন্দাগিরি ও আকাশ থেকে ভূমিতে হামলা করতে পারে। পাকিস্তানের হাতে বর্তমানে শতাধিক এই বিমান রয়েছে।
মিতসুবিসি এফ-২: ১৯৭৫ সালে মিতসুবিসি আর ফুজি মিলে বানায় মিতসুবিসি এফ-১। তবে সেটি বিশেষ কার্যকরী না হওয়ায় তারা এফ-২ বানানোর প্রক্রিয়া শুরু করে। ২০০০ সালে এটি জাপানি বিমানবাহিনীতে এফ-২ প্রবেশ করে।
টি-৫০ গোল্ডেন ঈগল: দক্ষিণ কোরিয়া ২০০৫ সালে তৈরি করে টি-৫০ গোল্ডেন ঈগল। ৪৩ ফুট লম্বা, একক ইঞ্জিনবিশিষ্ট টি-৫০ যুদ্ধবিমান বর্তমানের দেশটির সেনাবাহিনী ব্যবহার করছে। এটিকে মার্কিন এফ-১৬ ফ্যালকনের একটি নিচুমানের কোরীয় সংস্করণ বলা চলে। এই বিমানটি ইতিমধ্যেই ইরাক, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন ও থাইল্যান্ড কিনেছে।
আইডিএফ চিং কুয়ো: চিং কুয়ো হচ্ছেন তাইওয়ানের সাবেক প্রেসিডেন্টের নাম। তার নামে যুদ্ধবিমান তৈরি করে তাইওয়ান। চীনের চাপে যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের কাছে যুদ্ধবিমান বিক্রিতে নারাজ হওয়ায় তাইওয়ান নিজেই নব্বইয়ের দশকে এই বিমান তৈরি করে।
Posted ৪:০১ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ১২ মে ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta