কক্সবাংলা সম্পাদকীয়(২৯ জুলাই ) :: চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে শুক্রবার। দেশে পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৮০ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
পরীক্ষায় কৃতকার্য সব শিক্ষার্থীকে আমাদের অভিনন্দন।
ফলাফল মূল্যায়নে দেখা গেছে,দেশে গত বছরের তুলনায় এবার পাসের হার কমেছে ৭.০৫ শতাংশ। গতবার পাসের হার ছিল ৮৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ। জিপিএ-৫ও কমেছে। এবার মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৫৭৮ জন। ২০২২ সালে জিপিএ-৫ পেয়েছিল ২ লাখ ৬৯ হাজার ৬০২ জন।
এদিকে কক্সবাজার জেলায় ফলাফল মূল্যায়নে দেখা গেছে, জেলায় এবার এসএসসি পরীক্ষায় পাশের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে বিপর্যয় নেমে এসেছে। গেল বছর (২০২২ সালে) যেখানে পাসের হার ছিল ৮৮.৪৫% এ বছর সেখানে ৭৭.২৫%। গত বছর জিপিএ-৫ প্রাপ্তি ছিল যেখানে ২৪৫১ জন সেখানে এবছর পেয়েছে মাত্র ১৪০৬ জন। এক লাফে পাসের হার কমেছে ১১.২০% এবং জিপিএ-৫ প্রাপ্তি কমেছে ১০৪৫ জন!
তিন বিভাগের মধ্যে সবচেয়ে ভাল ফলাফল হয়েছে বিজ্ঞান বিভাগে। পাশের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তির দিক থেকে এবারও ছেলেদের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে মেয়েরা। উদ্বেগের বিষয় এবছর মেয়েদের চেয়ে ২০৪৫ জন ছেলে কম পাশ করেছে। এমনই বিপর্যয়কর চমকে দেওয়া ফলাফল হয়েছে এবার কক্সবাজার জেলায়।
তবে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের অধীনে কক্সবাজার জেলায় সবচেয়ে ভালো ফলাফল করেছে কক্সবাজার সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয় এবং কক্সবাজার সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, কক্সবাজার সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয় এবং বায়তুশ শরফ জব্বারিয়া একাডেমির শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের জীবনে মাধ্যমিক স্তরের পরীক্ষার ফলাফল বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। পাসের হার বাড়ানোর চেয়েও বেশি জরুরি শিক্ষার মান বাড়ানো। এ ক্ষেত্রে অগ্রগতি কতটা হচ্ছে তার যথাযথ নিরীক্ষা হওয়া দরকার। কারণ পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের একটি বড় অংশ পরবর্তী ধাপে পৌঁছানোর আগেই ঝরে পড়ছে।
তবে এটা স্বীকার করতে হবে যে বর্তমানে পরীক্ষায় নকলের প্রবণতা কমে গেছে- এটা ঠিক, তবে এখনো দেশে নোট-গাইড বইয়ের দৌরাত্ম্য, কোচিং বাণিজ্য ও প্রশ্নপত্র ফাঁসের সংস্কৃতি বন্ধ হয়নি। প্রশ্নপত্র ফাঁস পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। এগুলো শিক্ষার মানের ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
এ বিষয়গুলোতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের আরো দৃষ্টির প্রয়োজন।
বলতেই হয়, সঠিক পথে এগিয়ে যেতে হলে উত্তীর্ণদের কলেজ বা উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির বিকল্প নেই। ইতোমধ্যেই সরকারি-বেসরকারি প্রণোদনায় দেশে এ জাতীয় অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। ধারণা করা যায়, এসএসসি উত্তীর্ণদের ভর্তি নিয়ে সংকট থাকবে না।
তবুও প্রত্যেক কৃতকার্য শিক্ষার্থীর যোগ্যতা অনুযায়ী নির্দিষ্ট কলেজে ভর্তির সুযোগসহ সুশিক্ষা নিশ্চিত করাও বিশেষ জরুরি।
Posted ২:০০ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ২৯ জুলাই ২০২৩
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta