কক্সবাংলা রিপোর্ট :: রাখাইন রাজ্যে সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে যুদ্ধের মধ্যে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশের নাইক্ষ্যংছড়ি ও টেকনাফ বিজিবি ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়া ২৮৭ জন সেনা ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের ২৫ এপ্রিল ফেরত পাঠানো হচ্ছে।
গত ১১ মার্চ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে ২৮৭ জন সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্য ও শুল্ক কর্মকর্তা বাংলাদেশের নাইক্ষ্যংছড়ি ও টেকনাফ আশ্রয় নেয়।
বুধবার ২৪ এপ্রিল বৃহস্পতিবার মিয়ানমারের ৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল ও একটি জাহাজ বাংলাদেশে আসবে।
২৫ এপ্রিল কক্সবাজারের নুনিয়ারছড়া বা ইনানী জাহাজ ঘাট দিয়ে ২৮৭ জন সেনা ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের সমুদ্র পথে ফেরত নিয়ে যাবে। তবে এটি সাগরের অবস্থার উপর নির্ভর করবে।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে জান্তা বাহিনীর লড়াইয়ে প্রেক্ষাপটে ওই সীমান্তরক্ষীরা বাংলাদেশের নাইক্ষ্যংছড়ি ও টেকনাফে পালিয়ে আসেন।
এদিকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সিত্তে থেকে বুধবার ১৭৩ বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। মঙ্গলবার সিত্তের কারাগার থেকে মুক্তি পান তাঁরা।
ইতিমধ্যে ওই বাংলাদেশিদের নিয়ে মিয়ানমার নৌবাহিনীর একটি জাহাজ কক্সবাজারের উদ্দেশে রওনা হয়েছে।
বাংলাদেশে পালিয়ে আসা মিয়ানমারের ২৮৭ সীমান্তরক্ষীকে মিয়ানমারের ওই জাহাজে করেই ২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দেশে ফেরত পাঠানো হবে।
দীর্ঘদিন ধরে মিয়ানমারে সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সংঘর্ষ চলছে, যার আঁচ লেগেছে বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকাতেও। সীমান্তের ওপারের মর্টার শেল ও গুলি এসে এপারে হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে।
ওই সংঘাতের মধ্যে পালিয়ে আসা মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী ও সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যসহ ৩৩০ জনকে প্রথম দফায় গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ফেরত পাঠিয়েছিল সরকার।
তাদের মধ্যে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ-বিজিপি ৩০২ জন, তাদের পরিবারের চার সদস্য, দুজন সেনা সদস্য, ১৮ জন ইমিগ্রেশন সদস্য এবং চারজন বেসামরিক নাগরিক ছিলেন।
এরপর ১৭ মার্চ থেকে ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত বান্দরবান ও কক্সবাজার সীমান্ত নিয়ে কয়েক দফায় মোট ২৮৭ জন এসেছেন বাংলাদেশে, যাদের মধ্যে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্য ছাড়াও সেনা সদস্য রয়েছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিয়ানমার অনুবিভাগের কর্মকর্তারা বলেন, ১৭০ জনের মত বাংলাদেশি বিভিন্ন সময়ে মিয়ানমারে গিয়ে আটকা পড়েছেন। তাদের কেউ জেলে আছেন এবং কারও বিচার প্রক্রিয়া চলমান।
এর মধ্যে কেউ কেউ মাছ ধরতে গিয়েও মিয়ানমার সীমান্তে ঢুকে আটক হয়েছিলেন। তাদের মধ্যেই ১৪৪ জনকে ফেরানোর বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে মিয়ানমারে সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। সীমান্তের ওপারের মর্টার শেল ও গুলি এসে এপারেও হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
Posted ১১:৫৭ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta