মোসলেহ উদ্দিন, উখিয়া(৬ এপ্রিল) :: মিয়ানমার থেকে প্রাণ ভয়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা উখিয়ার বনাঞ্চলের আশ্রয় নেওয়ার পর থেকে বনভূমির কদর বেড়েছে আশংখাজনক। ইতিপুর্বে যেসব চিহ্নমূল হতদরিদ্র পরিবার যুগ যুগ ধরে বনভূমির পরিত্যাক্ত জায়গা সংস্কার করে বসবাস করে আসছিল প্রভাবশালী মহল। তাদের ভিটা মাটি খানা কেড়ে নিয়ে এনজিওদের ভাড়া দেওয়ার জন্য চলছে জবর দখল।
জবরদখল নিয়ে বাড়ছে সহিংসতা, মারামারি, হামলা, মামলার মতো লোমহর্ষক ঘটনা। গত ১মাসে জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে হাজারেরো অধিক ঘটনা ঘটেছে বলে বিভিন্ন সুত্র নিশ্চিত করেছে।
উখিয়ার সদর রাজাপালং ইউনিয়নের মুুহুরীপাড়া গ্রামে ঘটেছে লোমহর্ষক ঘটনা।
ফলিয়াপালং গ্রামের নজু মিয়ার ছেলে কৃষকলীগ নেতা মোহাম্মদ ইদ্রিচ অভিযোগ করে জানান, পাতাবাড়ী শৈলেরঢেবা সংলগ্ন আরকান সড়কের পাশে^ স্থিত ৮০শতক জমি আব্দুল মান্নান থেকে ক্রয় করে বসবাস করে আসছিল দীর্ঘদিন থেকে।
সে আরো জানায়, তাদের বসতভিটা সংলগ্ন এক কোনায় প্রতিপক্ষ মোঃ ইলিয়াছকে তারা
সাময়িক ভাবে আশ্রয় দিয়েছিল। এ সুবাধে সে উক্ত বসতভিটা দখলের অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়। সম্প্রতি নজু গং উক্ত জায়গার উপর নতুন করে একটি স্থাপনা নির্মাণ করতে গেলে আশ্রিতা মোঃ ইলিয়াছ বাধা দেয়।
এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ৮জন আহত হয়। এ ঘটনা নিয়ে উভয়পক্ষ থানায় অভিযোগ করেছে।
ইদ্রিচ জানায়, বিষয়টি স্থানীয় ভাবে নিষ্পত্তি করার জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী নিকট বিচারাধীন থাকা স্বর্তেও তা প্রতিপক্ষ অমান্য
করে তাদের উপর হামলা চালায়।
এভাবে পালংখালীর তাজনিমারখোলা গ্রামের হতদরিদ্র পরিবার মোঃ শাহজাহান জানান, সে বনভূমির প্রায় ১ একর জায়গা দখল করে বসবাস করে আসছিল ৪০ বছর ধরে। ওই বসত ভিটায় তার ৮জন ছেলে/মেয়ে জন্ম গ্রহন করেছে। বিভিন্ন গাছ-পালা রোপন করে উৎপাদিত ফল ফলাদি, শাক-সবজি বাজারজাত করে সে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিল।
রোহিঙ্গা আসার পর থেকে স্থানীয় কতিপয় প্রভাবশালী মহল তার বসতভিটাটি দখল করার জন্য উঠে-পড়ে লেগেছে। ভয়ভীতি প্রদর্শন করে বলছে বসতভিটা ছেড়ে না দিলে পরিবারের সবাইকে খুন করা হবে। এ ঘটনাটি সে স্থানীয় চেয়ারম্যানকে অবহিত করলেও অর্থের অভাবে
থানার দুয়ার পর্যন্ত আসতে পারেনি।
উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবুল খায়ের জানান, উখিয়ার বনাঞ্চলে
রোহিঙ্গারা আশ্রয় নেওয়ার পর থেকে জমি-জমা সংক্রান্ত সহিংসতা জ্যামিতিক
হারে বাড়ছে। তিনি বলেন, গত ১মাসে হাজারেরো অধিক বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে।
এতে আহত হয়েছে অসংখ্য লোকজন।
