কক্সবাংলা রিপোর্ট(২৩ নভেম্বর) :: কক্সবাজারের সাগর বেস্টিত কুতুবদিয়া ও সোনাদিয়ার মতো বাংলাদেশে যেসব দ্বীপ রয়েছে সেগুলোকে ডিজিটাল দ্বীপে রূপান্তর করতে ইন্টারনেট সুবিধার আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এজন্য যে দ্বীপে অপটিক্যাল ফাইবার সংযোগ প্রদান করা সম্ভব হবে না, সে দ্বীপে দ্রুত স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ইন্টারনেট সুবিধা পৌঁছানো হবে।
সূত্রগুলো জানায়, বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ডোমেস্টিক নেটওয়ার্ক কো-অর্ডিনেশন কমিটির সভা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব মো. নজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন এমন এক কর্মকর্তা জানান, কক্সবাজারের মহেশখালী দ্বীপকে একখণ্ড সিঙ্গাপুর হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে এরই মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার সহায়তায় গোটা এলাকাটিকে ডিজিটাল দ্বীপে রূপান্তরের উদ্যোগ চলমান রয়েছে।
এছাড়া দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে আরও যেসব দ্বীপ রয়েছে সেগুলোকেও যাতে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সুবিধার আওতায় আনা হয় সে বিষয়েও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা রয়েছে।
আধুনিক প্রযুক্তির সুবিধা ব্যবহার করে দ্বীপগুলোর শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান এবং নিরাপত্তাকে সমৃদ্ধ করার জন্য সেখানে হাইস্পিড ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি এবং ই-গভর্ন্যান্সসহ অন্যান্য সুবিধা দিয়ে প্রতিটি দ্বীপকে ডিজিটাল দ্বীপ হিসেবে বিনির্মাণ করা হবে।
শিক্ষার সুযোগ থেকে এ দুর্গম এলাকার মানুষ যেন বঞ্চিত না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখা এবং জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যায় অতর্কিতে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায়ও তারা যেন সতর্ক থাকতে পারে, সেজন্যও এ ডিজিটাইজেশনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
সভার কার্যবিবরণী থেকে জানা গেছে, দ্বীপবাসীকে ইন্টারনেট সুবিধা দিতে বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানিকে প্রকল্প গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
একই সঙ্গে এই প্রকল্পে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)-কে ‘সোশ্যাল অবলিগেশন ফান্ড’ থেকে অর্থায়ন করতে বলা হয়েছে। আর এই ইন্টারনেট সুবিধা দেওয়া হবে দক্ষিণ এশিয়া বা সার্ক স্যাটেলাইটের মাধ্যমে।
সভা সূত্র জানায়, বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত দ্বীপগুলো মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন। কক্সবাজারের বেশ কয়েকটি দ্বীপ ও চর রয়েছে।
সেন্টমার্টিন, কুতুবদিয়া, সোনাদিয়া, শাহপরীর দ্বীপের মতো দুর্গম এসব দ্বীপে ফাইবার অপটিক সংযোগ দেওয়া অত্যন্ত ব্যয়বহুল। সে কারণে দক্ষিণ এশিয়া স্যাটেলাইট (সার্ক স্যাটেলাইট)-এর মাধ্যমে প্রত্যন্ত ওই দ্বীপগুলোতে দ্রুতগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।
প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে সংশ্লিষ্ট এলাকার ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার (ইউডিসি), ভূমি অফিস, অন্যান্য সরকারি অফিস ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়া হবে। এর ফলে দ্বীপবাসীও ডিজিটাল সুবিধার আওতায় আসবে।
জানা গেছে, দক্ষিণ এশিয়া বা সার্ক স্যাটেলাইট ২০১৭ সালের মে মাসে উেক্ষপণ করা হয়। সার্কের ছয়টি প্রতিবেশী দেশের জন্য যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটাতে ভারতের উদ্যোগে মহাকাশে এই স্যাটেলাইটটি পাঠানো হয়।
Posted ২:৪০ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ২৪ নভেম্বর ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta