হুমায়ূন রশিদ,টেকনাফ(২৮ অক্টোবর) :: কক্সবাজারের টেকনাফের সাবরাং উপকূলে বন্দুক যুদ্ধের ঘটনায় সাংবাদিক হামলার আসামীসহ পুলিশ চিহ্নিত দুই মাদক কারবারীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। এই ঘটনায় ৩ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। লাশ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
এনিয়ে গত ৫দিনে (২৪ থেকে ২৮ অক্টোবর) পর্যন্ত কথিত বন্দুক যুদ্ধে ৪ মাদক কারবারী নিহত হল।
জানা যায়, ২৮ অক্টোবর ভোররাতে উপজেলার সাবরাংয়ের উপকূলীয় এলাকাস্থ কাটাবনিয়া ঝাউ বাগানে দু’দল মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্যে বন্দুক যুদ্ধের খবর পেয়ে টেকনাফ মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ প্রদীপ কুমার দাশ পুলিশের বিশেষ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গমন করেন। এসময় মাদক চোরাকারবারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করলে পুলিশও আতœরক্ষার্থে পাল্টাগুলিবর্ষণ করে।
এসময় মাদক কারবারীরা পিছু হটে পালিয়ে যায়। এতে পুলিশের এসআই রাজু, এএসআই মিঠু ও কনস্টেবল ইব্রাহীম খলিল আহত হয়।
পুলিশ ঘটনাস্থল তল্লাশী করে ২টি গুলিবিদ্ধ রক্তাক্ত মৃতদেহ, ৬টি অস্ত্র, ২৫ রাউন্ড বুলেট ও বিপূল পরিমাণ ইয়াবা বড়ি পাওয়া যায়।
লাশ থানায় এনে মৃতদেহ ২টির পরিচয় সনাক্ত করে ১জন টেকনাফ পৌর এলাকার উত্তর জালিয়া পাড়ার মোহাম্মদ হাশিমের পুত্র হাসান আলী (৪৩) এবং অপরজন টেকনাফ সদরের নাজির পাড়ার নুরুল আলমের পুত্র মোঃ কামাল উদ্দিন (২৮)বলে জানা যায়। এদের মধ্যে নিহত মাদক কারবারী কামাল উদ্দিন ২০১৬ সালে টিভি সাংবাদিক ও ক্যামেরাম্যান হামলার আসামী ছিল।
আহত পুলিশ সদস্যদের উপজেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এই বিষয়ে টেকনাফ মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ প্রদীপ কুমার দাশ সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানান, দুইদল মাদক কারবারীর বন্দুক যুদ্ধের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে মাদক কারবারীরা পুলিশ লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। পুলিশও আত্বরক্ষার্থে গুলিবর্ষণ করলে মাদক চোরাকারবারীরা পালিয়ে যায়।
এসময় পুলিশের ৩ সদস্য আহত হয়।
পরে ঘটনাস্থল হতে ২টি মৃতদেহ, ৬টি অস্ত্র, ২৫ রাউন্ড বুলেট ও বিপূল পরিমাণ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। লাশ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এই বিষয়ে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
উল্লেখ্য গত ২৬ অক্টোবর ভোররাতে টেকনাফে নাফনদীর কিনারায় দু‘গ্রুপ ইয়াবা ব্যবসায়ীদের মধ্যে চালান খালাস নিয়ে গোলাগুলির ঘটনায় টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের উলুচামরী এলাকার কালা মিয়া প্রকাশ কালুর পুত্র হামিদুল ইসলাম প্রকাশ লালাইয়া ওরফে বার্মাইয়া লালাইয়ার(৩৫) গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।এসময় ২টি দেশীয় তৈরী অস্ত্র, ১০ রাউন্ড বুলেট ও ৬ হাজার পিস ইয়াবা পাওয়া যায়।
এর দুদিন আগে ২৪ অক্টোবর ভোরে টেকনাফে দু’পক্ষের বন্দুক যুদ্ধে ৫টি দেশীয় তৈরী অস্ত্র, ২০ রাউন্ড বুলেট ও ইয়াবাসহ এক জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে লাশের পরিচয় সনাক্ত করে নিহত ব্যক্তি উপজেলার হ্নীলা পূর্ব লেদার মৃত লাল মিয়ার পুত্র মুফিজ আলম (৩২) বলে জানা যায়।
Posted ১১:১৩ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ২৮ অক্টোবর ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta