কক্সবাংলা রিপোর্ট(১৮ মার্চ) :: কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং স্থানীয় প্রায় নয় লাখ মানুষের জন্য ১৮২.১ মিলিয়ন ডলার অর্থ সহায়তার আবেদন জানিয়েছে জাতিসংঘের মাইগ্রেশন সংস্থা, আইওএম।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সহিংসতার শিকার হয়ে বাংলাদেশের কক্সবাজারে পালিয়ে আসা শুরু করে লাখ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী।
আগের এবং পরের মিলিয়ে বর্তমানে কক্সবাজারের বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে প্রায় ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা জনগণ অবস্থান করছেন।
আর এর ফলে কক্সবাজারের স্থানীয় জনগণ বিশ্বের দ্রুততম ক্রমবর্ধমান শরণার্থী সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
রবিবার আইওএম জানায়, খাদ্যের মূল্যস্ফীতি ও অবকাঠামোর ওপর অতিরিক্ত চাপ মোকাবেলায় রোহিঙ্গা ও স্থানীয়দের জীবিকা, পরিবেশগত উন্নতি এবং স্বাস্থ্যগত সহায়তা প্রদান করে আসছে সংস্থাটি।
আইওএমের মহাপরিচালক উইলিয়াম ল্যাসি সুইং বলেন, যেহেতু বর্ষাকাল আসছে, তাই রোহিঙ্গা ও স্থানীয়দের জন্য আমাদের সহযোগিতার পরিমাণ আরো বৃদ্ধি করতে হবে।
ভূমিধস এবং বন্যার ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসরত প্রায় ২৩৬টি পরিবারকে এরই মধ্যে নিরাপদ এলাকায় সরিয়ে নিয়েছে আইওএম।
এছাড়াও কীভাবে বর্ষাকালে পাহাড়ি এলাকায় দুর্যোগপূর্ণ পরিবেশ মোকাবেলা করা যায় সেজন্য ৯ হাজার ৬৭৫টি পরিবারকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে সংস্থাটি।
জ্বালানির জন্য বিকল্প উৎস সরবরাহের মাধ্যমে পরিবেশগত ক্ষতির সম্ভাবনা কমিয়ে আনার জন্যও কাজ করে যাচ্ছে আইওএম। বর্তমানে রোহিঙ্গারা রান্নার জন্য কাঠের ওপর নির্ভরশীল। যার ফলে ওই এলাকাগুলোর বন ব্যাপক হারে উজার করা হচ্ছে।
আইওএম কক্সবাজারে সাইট ম্যানেজমেন্ট এবং সাইট উন্নয়ন কাজ করে আসছে।
গত বছরের আগস্ট থেকে সংস্থাটি সাত কি. মি. রাস্তা, ২২০টি বাঁশের ব্রিজ, পথচারি চলাচলের জন্য সাত কি. মি. রাস্তা এবং পাঁচ কি. মি. পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা তৈরি করেছে।
প্রতিবন্ধী, বয়স্ক ব্যক্তি এবং একক মহিলা নেতৃত্বাধীন পরিবারগুলোর জন্য এসব অবকাঠামোগত উন্নয়ন বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
Posted ৪:৪৬ অপরাহ্ণ | রবিবার, ১৮ মার্চ ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta