সাইফুল ইসলাম(১০ মে) :: কক্সবাজার শহর ও হোটেল মোটেল জোনের অর্ধশতাধিক বোডিং-কটেজ-আবাসিক হোটেল অসামাজিক কার্যকলাপ ও অপরাধীদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে।দীর্ঘদিন ধরে অসাধু হোটেল মালিকরা দেদারসে পতিতা ও ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে এলেও থানা পুলিশ রহস্যজনকভাবে নীরবতা পালন করছে।
আর কক্সবাজারে পর্যটকদের উপস্থিতি বাড়ার সাথে সাথে কলাতলীর কিছু আবাসিক হোটেল ও কটেজ অপরাধীদের খুনের অভয়ারণ্য হয়ে উঠেছে। এসব কটেজ থেকে প্রায় কোন না কোন পর্যটকের লাশ উদ্ধার করা হয়।
অনুসন্ধানে জানা যায়, কলাতলী সাংস্কৃতির কেন্দ্রর সামনে অবস্থিত প্রায় সব রিসোর্টেই দিনের বেলায় প্রকাশ্যে পতিতা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। আর রাতের বেলায় এ রিসোর্ট যেন একটি মিনি পতিতালয়। রাতদিন দু’ সিফটে ভাগ করে এসব রিসোর্টে চলে প্রকাশ্যে পতিতা ব্যবসা। দিনে চলে রেজিষ্টারবিহীন ঘন্টা ব্যাপী দেহ ব্যবসা আর রাত্রে চলে হোটেলে অবস্থারত বোর্ডারদের সিরিয়াল ভিত্তিক পতিতা ব্যবসা।অার রোহিঙ্গা ইস্যূতে কক্সবাজারের কলাতলীতে বিভিন্ন দেশী-বিদেশী এনজিওদের আগমনে এ ব্যবসা আরও চাঙ্গা হয়ে উঠেছে। এর ফলে হুমকির মুখে পড়েছে কক্সবাজারের সামাজিক পরিবেশ।
প্রশাসন মাঝে মধ্যে অভিযান চালিয়ে পতিতা ও দালালদের আটক করলেও কিছুতেই থামছে না এই পতিতা ও ইয়াবা ব্যবসা। কটেজের মালিক, ম্যানেজার ও বয় ছেলেদের মদদেই চলছে এ ব্যবসা।
জানা যায়,এসব রিসোর্টের কর্মরত ম্যানেজার ও হোটেল বয় স্থানীয়সহ ঢাকার বিভিন্ন গ্রাম-গঞ্জ থেকে মহিলা ও উঠতি বয়সের তরুণী সংগ্রহ করে প্রতিদিন তাদেরকে দিয়ে ঘণ্টা ও নাইট হিসেবে এই রিসোর্টে অবৈধভাবে দেহ ব্যবসা অবৈধ টাকার পাহাড় করেছে। ফলে ধ্বংসের পথে ধাবিত হচ্ছে তরুণ ও যুব সমাজ।
এছাড়াও বিভিন্ন কটেজ গুলোতে অহরহ চলে অসাজিক কার্যকলাপ। পর্যটন এলাকার নিয়ম রক্ষার্থে এসব কটেজ গুলোতে প্রায় চলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান। তবুও অজ্ঞাত কারনে থামে না কটেজের এই পতিতা ব্যবসা।
স্থানীয় সচেতন মহলের মতে দাবি,এসব অপর্কমের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে নষ্ট হয়ে যাবে কক্সবাজারের সামাজিক পরিবেশ। আর সামনে আসছে পবিত্র রমজান মাস এভাবে থাকলে রমজানের পবিত্রতাও নষ্ট হবে।
জানা গেছে,কক্সবাজারের পুলিশ, র্যাবসহ আইন-শৃংখলাবাহিনীর সদস্যরা এসব হোটেলে প্রায়ই অভিযান চালিয়ে খদ্দরসহ পতিতা ও দালালদের আটক করলেও হোটেল কর্তৃপক্ষ ও ম্যানেজারদের আটক না করায় বন্ধ হচ্ছে না এ পতিতা ব্যবসা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কটেজ ও হোটেলের সামনের একাধিক দোকানদার জানান, পতিতাদের তালিকায় রয়েছে বিভিন্ন স্কুল,কলেজ ও মাদ্রাসা পড়–য়া ছাত্রী,বিভিন্ন এনজিও সংস্থায় কর্মরত মহিলা,স্বামী প্রবাসি গৃহবধুসহ বিভিন্ন গ্রাম-গঞ্জের উঠতি বয়সের তরুণীরা। কটেজ ও হোটেল কর্তৃপক্ষ মোটা অংকের বিনিময়ে ম্যানেজ করে প্রকাশ্যে দিন দুপুরে এসব অবৈধ পতিতা ব্যবসা চালিয়ে আসছে র্দীঘ দিন ধরে।
অনুসন্ধানে জানা যায়,এসব কটেজ ও হোটেলে পতিতা ব্যবসার পাশপাশি ইয়াবা সেবন ও বিক্রির হাটও বসে। উক্ত অপকর্মের নেতৃত্বে দিয়ে আসছে শহরের চিহ্নিত মাদক ও পতিতা ব্যবসায়ীরা।
দেখা যায়, বিভিন্ন পতিতা ব্যবসায়ী ও দালালরা রোহিঙ্গা নারী সহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মোট অংকের টাকার লোভ দেখিয়ে উঠতি বয়সের তরুণীদের সংগ্রহ করে এস কটেজ ও হোটেল নিয়ে আসে পতিতাবৃত্তি চালায় ।
আর একশ্রেনীর দিনমজুর থেকে আরম্ভ করে মধ্য বয়সের কর্মবিমুখ মানুষের পদভারে মুখরিত থাকে এই কটেজ গুলো। শুধু তা নই অনেকক্ষেত্রে কলেজের নাম করে বান্ধবিকে নিয়ে উঠে কোন না কোন কটেজে। যার ফলে শহরজুড়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে অপরাধ প্রবনতা।
এব্যাপারে সদর মডেল থানার ওসি ফরিদ উদ্দিন খন্দকার বলেন,শহরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে প্রতিদিন সাড়াশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
Posted ৯:০৬ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১০ মে ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta