বিশেষ প্রতিবেদক(২ নভেম্বর) :: কক্সবাজারে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা এবং মানুষের করতালি ও বেলুন-পায়রা উড়িয়ে উদ্বোধন করা হল কর অঞ্চল-৪ কক্সবাজার আয়কর মেলা-২০১৭।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় শহরের খুরুশকুল সড়ক সংলগ্ন এস.কে টাওয়ারস্থ আয়কর অফিস প্রাঙ্গনে কর অঞ্চল-কক্সবাজার কর কমিশনার মোঃ রেজাউল করিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে আয়কর মেলার শুভ উদ্বোধন করেন কক্সবাজার-৩ আসনের সাংসদ সাইমুম সরোয়ার কমল।
অনুষ্ঠানে বিশেষঅতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার-২ এর সংসদ আশেক উল্লাহ রফিক,কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো: আলী হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রুহুল কুদ্দুস এবং কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি এর সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধূরী খোকা,কর অঞ্চল-৪ এর অতিরিক্ত কর কমিশনার মোহাম্মদ মফিজ উল্যা।
এবারে কক্সবাজার আয়কর মেলায় আয়কর আদায় এবং করদাতা ও সুবিধার্থে একই জায়গায় ৮টি বুথ স্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে তথ্য ও অনুসন্ধান বুথ, হেল্প ডেস্ক, রিটার্ন গ্রহণ, অধিক্ষেত্র বুথ, ই-টিআইএন বুথ, অনলাইন রিটার্ন গ্রহণ বুথ,সিনিয়র সিটিজেন করদাতাদের জন্য পৃথক ১ টি বুথ, সোনালী ব্যাংকের অস্থায়ী বুথ, কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট সংক্রান্ত বুথ, সঞ্চয় বুরে্য সংক্রান্ত বুথ স্থাপন করা হয়েছে।
আয়কর মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাংসদ কমল বলেন,দেশের উন্নয়নে ব্যবসায়ী ও নাগরিকদের সঠিকভাবে আয়কর প্রদান করতে হবে। বর্তমান সরকার করদাতাদের দোরগোড়ায় পৌঁছে যাওয়ার যে শুভ সূচনা করেছে ভব্যিষতেও তা অব্যহত থাকবে। তিনি আরো বলেন,দেশে পদ্মা সেতু,ফ্লাই ওভার,রাস্তা ঘাট তৈরীতে জনগনের কর একটি গুরুত্বপূণূ ভূমিকা পালন করছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো: আলী হোসেন বলেন,যে জনগণের করের টাকায় সরকারী কর্মকান্ড পরিচালিত হয় সেই জনগণের সেবা করাই সরকারী কর্মচারীদের কর্তব্যতোই সবাইকে কর প্রদানের মাধ্যমে সরকারের হাতকে আরও শক্তিশালী করতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রুহুল কুদ্দুস বলেন, দেশ পরিচালনার জন্য করের প্রয়োজন। তিনিও গতবছর তিনি প্রথম কর প্রদান করেছেন জানিয়ে সবাইকে উদ্বুদ্ধ হওয়ার তাদিগ দেন।
এদিকে জেলা কর কর্মকর্তা মো: জাকারিয়া জানান,অনলাইনে কর কার্যক্রম চালুর পর থেকে মেলায় কক্সবাজার কর অঞ্চলে করদাতা এবং রাজস্ব দুটোই উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।
তিনি আরও জানান ২০১৪ সালে মেলায় ৩৩৫ জন করদাতা ১৪ লাখ ২৭ হাজার টাকা কর দেন। ২০১৫ সালে তা বেড়ে দাড়ায় ৯২৩ জন এবং কর আদায় হয় ৩১ লাখ ৮১ হাজার টাকা।আর সর্বশেষ ২০১৬ সালে ১০৩৭ জন করদাতা ৫৮ লাখ ৮৭ হাজার টাকা কর প্রদান করেন।
এ বছরের মেলায় তা বেড়ে কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করে তিনি জানান,ইতোমধ্যে বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের সাথে কর প্রশাসনের আলোচনার প্রেক্ষিতে ব্যবসায়ীদের কর ভীতি হ্রাস পাচ্ছে।এছাড়া এবছর প্রথমবারের মতো প্রত্যেক করদাতাকে ডিজিটাল টেক্স কার্ড দেয়া হচ্ছে।
সহকারী কর কমিশনার জনাব জ্ঞানেন্দু বিকাশ চাকমা জানান,এবারের মেলার প্রথম দিনে উপচে পড়া করদাতা, পেশাজীবি ও বিভিন্ন পর্যায়ের স্টেকহোল্ডারদের চাপ থাকা সত্ত্বেও সকলের সার্বিক সহযোগিতায় শৃঙ্খলাপূর্ণ পরিবেশে প্রথম দিনের মেলার কার্যক্রম সমাপ্ত হয়েছে।
তিনি আরও জানান, মেলায় নতুনভাবে ১০ জন করদাতাকে ই-টিআইএন রেজিস্ট্রেশন সুবিধা প্রদান সহ সর্বমোট ৩৩৭ জন করদাতা তাদের আয়কর রিটার্ন দাখিল করেন।যার আয়করের পরিমাণ ৮ লাখ ২৯ হাজার ৮৫ টাকা। রিটার্ন দাখিলকৃত ১৬২ জন করদাতাকে ট্যাক্স কার্ড প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য, সারাদেশের ন্যায় এবছরও কর অঞ্চল- কক্সবাজারের উদ্যোগে ১ নভেম্বর হতে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত আয়কর মেলা ২০১৭ শুরু হয়েছে। প্রতিদিন সকাল ১০টা হতে। শুক্রবার ও শনিবার সরকারি অফিস বন্ধের দিন করদাতাদের সেবা প্রদান করার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
Posted ৭:০৭ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০২ নভেম্বর ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta