কক্সবাংলা রিপোর্ট(১৮ নভেম্বর) :: কক্সবাজারে শুরু হওয়া চার দিনব্যাপী আয়কর মেলায় ১ কোটি ৩৬ লাখ টাকার বেশি রাজস্ব আহরণ হয়েছে।মেলার শেষ দিন ছিল সোমবার (১৮ নভেম্বর)।
এদিন ৪৬ লাখ ৭৬ হাজার ৫২৭ টাকা কর আদায়ের মধ্য দিয়ে মেলা শেষ হয়েছে।এবারের মেলায় চার দিনে রিটার্ন দাখিল করেছেন ৩ হাজার ৩৭৬ জন করদাতা।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় কর অঞ্চল-৪ এর কক্সবাজার আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারি কর কমিশনার নিপুন চন্দ্র দে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ১৫ নভেম্বর আয়কর মেলা শুরু হয়।১৮ নভেম্বর শেষে কর আহরণ হয় ১ কোটি ৩৬ লাখ ২২ হাজার ৭২ টাকা। ২০১৭ সালের আয়কর মেলা থেকে রাজস্ব আদায় হয়েছিল ৮০ লাখ ৫১ হাজার ৭৮০ টাকার। সে হিসেবে এবার ৫৫ লাখ ৭০ হাজার ২৯২ টাকা বেশি আদায় হয়েছে। গত বছর রিটার্ন দাখিল করেছিলেন ২ হাজার ১৫৩ জন করদাতা। এবার রিটার্ন দাখিল করেছেন ৩ হাজার ৩৭৬ জন।
মেলার প্রথম দিন ১ হাজার ৪৭৮ জন করদাতা সেবাগ্রহণ করেন।রিটার্ন দাখিল করেন ৭৩০ জন। কর আদায় হয় ১৭ লাখ ৯২ হাজার ৫৬১ টাকা।
দ্বিতীয় দিন ২ হাজার ৪৯৭ জন করদাতা সেবাগ্রহণ করেন। রিটার্ন দাখিল করেন ৯৪২ জন।কর আদায় হয় ৩৭ লাখ ৭ হাজার ৬৫৫ টাকা।
তৃতীয় দিনে ১ হাজার ৫০০ জন সেবাগ্রহণ করেন। রিটার্ন দাখিল করেন ৮৪৩ জন। কর আদায় হয় ৩৩ লাখ ৬২ হাজার ৫৭৫।
চতুর্থ দিন অর্থাৎ মেলার সমাপনী দিনে ৩ হাজার জন সেবাগ্রহণ করেন। রিটার্ন দাখিল করেন ১ হাজার ২৬১ জন করদাতা। আর কর আদায় হয় ৪৬ লাখ ৭৬ হাজার ৫২৭ টাকা।
এবার মেলায় অনলাইনে ইলেকট্রনিক কর শনাক্তকরণ নম্বর (ই-টিআইএন) রেজিস্ট্রেশন করেছেন ২০০ জন।
কক্সবাজার আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারি কর কমিশনার নিপুন চন্দ্র দে কক্সবাংলাকে জানান,মেলা প্রথম দিন থেকে উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে করদাতারা আয়কর দিয়েছেন। মেলায় নতুন-পুরাতন করদাতাদের আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য বুথ, আয়কর বিষয়ক পরামর্শের জন্য একটি বুথসহ কর জমা দেওয়ার জন্য সোনালী, জনতা ও বেসিক ব্যাংকের তিনটি বুথের সুবিধাসহ আয়কর রিটার্ন দাখিলের সুবিধার্থে পৃথক পৃথক বুথের ব্যবস্থা ছিল।আর এ মেলার মাধ্যমে সাধারণ ব্যবসায়ী ও চাকরিজীবীদের স্বেচ্ছায় কর প্রদানে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান,পর্যটন নগরী খ্যাত কক্সবাজারে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চলতি অর্থবছরে (২০১৯-২০) ২০০ কোটি টাকা রাজস্ব আহরণ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এনবিআরের নির্ধারিত লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছেন কক্সবাজার কর অঞ্চলের কর্মকর্তারা।গত অর্থবছর (২০১৮-১৯) এখান থেকে রাজস্ব আহরণ হয়েছে ১৫১ কোটি টাকা।
এ কারনে রাজস্ব আহরণের সার্কেল বা ব্যাপ্তি বাড়ানোর জন্যই কক্সবাজার কর অঞ্চল প্রতি বছর কর মেলার আয়োজন করে থাকে।
Posted ১:৩৫ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০১৯
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta