বিশেষ প্রতিবেদক(১১ জুলাই) :: “পরিবার পরিকল্পনা:জনগণের ক্ষমতায়ন:জাতির উন্নয়ন ” এ প্রতিপাদ্যে কক্সবাজারে পালিত হয়েছে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস। মঙ্গলবার এ উপলক্ষে জেলা প্রশাসন ও জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে আলোচনা সভা।
জেলা প্রশাসক মো: আলী হোসেনের সভাপতিত্বে দিবসটির তাৎপর্য নিয়ে অনু্িষ্ঠত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী।
জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যদের মধ্যে সিভিল সার্জন ডা: আবদুস সালাম, জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক ডা: পিন্টু কান্তি ভট্টাচার্য্যসহ সংশ্লিষ্টরা বক্তব্য রাখেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও কক্সবাজারে এখনো সেটা উদ্বেগজনক। ছোট্ট একটি দেশে এই বহুল জনসংখ্যা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। তবে এই বর্ধিত জনগোষ্ঠীকে জনশক্তিতে রূপান্তরিত করার সুপরিকল্পিত উদ্যোগই পারে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মহোদয় বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার উল্লেখযোগ্য অংশ কিশোরী। আজকের কিশোরী আগামী দিনের জননী। তাই এদের সুস্বাস্থ্য, শিক্ষা ও দক্ষতার ওপর দেশের ভবিষ্যৎ সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন অনেকখানি নির্ভর করে। পাশাপাশি জনসংখ্যাকে জনসম্পদে রূপান্তর করতে পারলেই দেশের সার্বিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে।
জেলা প্রশাসক মহোদয় আরও বলেন, আগামী প্রজন্মকে সুস্থ ও সুরক্ষিত করতে হলে কিশোর- কিশোরীদের বেড়ে ওঠাকে সুস্থ ও নিরাপদ করতে হবে।
এছাড়া নগরায়ন, বন কাটা, জলবায়ুর পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাবের কারণে বৈশ্বিক উষ্ণতা বাড়ছেই। ফলে বাড়ছে প্রাকৃতিক দুযোর্গও। এসব দুর্যোগে নারী ও শিশুরা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকে। পরিবার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ও জনসংখ্যা বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে তরুণদের কাজে লাগাতে হবে। পাশাপাশি বাল্যবিবাহ বন্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়তে তোলার আহবান জানান জেলা প্রশাসক মহোদয়।
সিভিল সার্জন ডা: আবদুস সালাম বলেন, এখন যেভাবে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে সেভাবে জমি বাড়ছে না। এর কুফল এক সময়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। তাই এখন থেকেই সংশ্লিষ্ট সকল পরিবার পরিকলপনা কার্যালয়ের মাঠকর্মীদেরকে যথাযথভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করার আহবান জানান।
জেলা পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরর উপ-পরিচালক ডা: পিন্টু কান্তি ভট্টাচার্য্য বলেন, দিবসটি পালনের উদ্দেশ্য হচ্ছে, জনসংখ্যা বিষয়ক সমস্যাগুলো সকলকে জানানো এবং তা গুরুত্ব দিয়ে সমাধান করা। তাই মানুষের মধ্যে সচেতনা সৃষ্টির উদ্দেশ্য নিয়ে ১৯৮৯ সাল থেকে জাতিসংঘের উদ্যোগে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস পালিত হচ্ছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো এবারও বাংলাদেশ দিবসটি পালন করছে।
অনুষ্ঠানটি স্ঞ্চালনা করেন মাতৃ ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার (ক্লিনিক) ডা: সোমা চৌধুরী।
এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( শিক্ষা ও আইসিটি ) মোহাম্মদ মাহিদুর রহমান,সহকারি সিভিল সার্জন ডা: মহিউদ্দীন মো: আলমগীর,সহকারি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট পিএম ইমরুলকায়েস,এনজিও প্রতিনিধি,জনপ্রতিনিধি,জেলা-উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও মাঠকর্মীবৃন্দসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে পরিবার পরিকল্পনা সেবা ক্ষেত্রে অবদান রাখায় শ্রেষ্ঠ জেলা-উপজেলা, ইউনিয়ন পরিষদ এবং এনজিও-কে সর্বমোট আটটি সম্মাননা ক্রেষ্ট প্রদান করা হয়।
Posted ১:১৬ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ১২ জুলাই ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta