কক্সবাংলা রিপোর্ট(২৮ জানুয়ারি) :: কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়িতে ১২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রবিবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন তিনি।
১৫০০ একর জমির ওপর অত্যাধুনিক ক্ষমতাসম্পন্ন এই্ কয়লাচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণ কাজ ২০২৪ সালে শেষ হবে। যা হবে দেশের অন্যতম বৃহৎ বিদ্যুৎকেন্দ্র।জাপানের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা জাইকার অর্থায়নে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মিত হবে।
এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন দেশের সব মানুষের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়া এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। কক্সবাজারের মহেশখালীতে মাতারবাড়ি তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের মূল নির্মাণ কাজের উদ্বোধন শেষে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। এসময় শেখ হাসিনা বলেন, এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য যাদের জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে তাদের পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী জানান, ‘২০০৯ সালে বাংলাদেশ মাত্র ৩ হাজার ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হতো। এখন ১৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। যা জাতির জন্য বড় অর্জন।’
তিনি বলেন, ‘বিদ্যুতের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটানোর জন্য বেসরকারি খাত থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করে আওয়ামী লীগ।’
নতুন উদ্যোগে বাধা ও সমালোচনা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যখনই কোনো নতুন উদ্যোগ বাংলাদেশে নেয়া হয় তখন এটি বিভিন্ন ধরনের বাধার সম্মুখীন হয়। বিভিন্ন মানুষ নানা রকম কথা ও তত্ত্ব নিয়ে হাজির হন।’
জানা যায়,বঙ্গোপসাগরের কোলে কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়িতে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। এছাড়া এই বিদ্যুৎকেন্দ্র ঘিরে গড়ে তোলা হবে আধুনিক নগরী।
প্রথম পর্যায়ে ১২শ’ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করবে রাষ্ট্রায়াত্ত্ব প্রতিষ্ঠান কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি। এখান থেকে দেশের মোট চাহিদার ১০ শতাংশ বিদ্যুৎ ২০২৩ সালের মধ্যে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হবে।
পরে এখানে আরো কয়েকটি কেন্দ্র হবে, যাতে মোট বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে ১০ হাজার মেগাওয়াট। সেই সাথে কয়লা বন্দর, ভাসমান এবং স্থায়ী এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণসহ মহেশখালীর এই দ্বীপকে আধুনিক নগরী হিসেবে গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু।
জাইকা এই প্রকল্পের সিংহভাগ অর্থ সহায়তার দিচ্ছে। আর জাপানের ৫টি কোম্পানি এ প্রকল্পে সরঞ্জামাদি সরবরাহ করবে। ২০১৫ সালে এই প্রকল্প অনুমোদন করা হলেও পরের বছর গুলশানের হলি আর্টিজানে হামলার কারণে অনেকটা থেমে যায় কাজ। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে গেল বছরের প্রথম দিকে আবারো কাজ শুরু হয়।
Posted ৬:৩৫ অপরাহ্ণ | রবিবার, ২৮ জানুয়ারি ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta