প্রেস বিজ্ঞপ্তি :: ২০২২-২০২৩ সালের কক্সবাজার চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রী’র বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুরুতে চেম্বার অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপরেটর আবদুল মালেক নাঈমের পবিত্র কোরআন তেলায়াতের মাধ্যমে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়।
৫ সেপ্টেম্বর সকাল ১০ টায় শহরের স্থানীয় হোটেল সম্মেলন কক্ষে চেম্বার পরিচালক আজমল হুদার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন চেম্বার সভাপতি এবং এফবিসিসিআই এর পরিচালক আবু মোরশেদ চৌধুরী খোকা। উপস্থিত সকল সদস্যদের উদ্দেশ্য বিগত অর্থ বছরের কার্যক্রম এবং অডিট রিপোর্ট পেশ করেন চেম্বার সচিব নাছের মাহমুদ।
স্বাগত বক্তব্যে চেম্বার সভাপতি আবু মোরশেদ চৌধুরী বলেন, বার্ষিক সাধারণ সভার পাশাপাশি আমরা আজ নুতন এক বাংলাদেশে নুতন আশা নিয়ে একটি টেকসই অর্থনীতি বিনির্মাণে সমবেত হয়েছি।
জুলাই মাসে বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার তারিখ নির্ধারণ করা হলেও দেশের সার্বিক পরিস্থিতির কারণে বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের পরামর্শ ক্রমে ৫ সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে।
দেশের মূল দেশজ উৎপাদনে ছোট, বড়, মাঝারি সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অবদান অনিস্বীকার্য। দলমত নির্বিশেষে আমরা সবাই মিলে আগামী কক্সবাজার বিনির্মানে আমরা সকল ব্যাবসায়ি এক এবং অভিন্ন। কোন ধরণের অবৈধ চাঁদা দেয়া বন্ধ থেকে শুরু করে ব্যবসা সংক্রান্ত যে কোনো সমস্যা চেম্বারের মাধ্যমে সমাধান করার জন্য উপস্থিত শতাধিক সদস্যদের প্রতি তিনি অনুরোধ করেন।
তিনি আরও বলেন আমরা ব্যবসায়ীরা একদিকে যেমন ক্রেতা অন্যদিকে ভোক্তা। তাই কোন ধরনের ভেজাল, অতিরিক্ত মুনাফা থেকে আমরা যেন নিজেদের বিরত রাখি।
এই সময় মুক্ত আলোচনায় উপস্থিত সাধারণ সদস্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মোহাম্মদ নুরুল হুদা, জয়নাল আবেদীন, রেজাউল কবির রেজা, এম রেজাউল করিম রেজা, অমিনুল ইসলাম মোহাম্মদ রাশেদ, মোহাম্মদ রিয়াদ, কাজল পাল, পিন্টু দত্ত, প্রকৌশলী মেতাহের হোসেন, খোরশেদ আলম, সেলিম কাদের রাসেল, মোহাম্মদ রশিদ, মোহাম্মদ ফারুক, আনোয়ার কামাল , হোসাইন ইসলাম বাহাদুর।
তারা বলেন, চেম্বার এর গ্রহণ যোগ্যতা এবং করনীয় সম্পর্কে বিভিন্ন মতামত এবং পরামর্শ প্রদান করেন। বিশেষ করে পরিচালনা পর্ষদ এবং সাধারণ সদস্যদের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ স্থাপন করা, কক্সবাজার ট্রেড সেন্টার স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া, ক্ষুদ্র মাঝারি ব্যবসায়ীদের জন্য স্বল্প সুদে ঋণের ব্যবস্থা করা, ট্যুরিজম শিল্পের সাথে সম্পৃক্ত কর্মচারী কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ এর আয়োজন করা, দ্রুত প্লাস্টিক বস্তার বিকল্প সৃষ্টি , পরিচালনা পর্ষদে কোন ধরনের অবৈধ আয়ের ব্যাবসায়ী যাতে না থাকে সেই দিকে নজর দেয়া, ভোক্তা অধিকারের নামে অযতা হয়রানি বন্ধ করা, রাজস্ব আদায় সহজ করা, চেম্বার এর উদ্যোগে জেলায় কিছু সামাজিক দায়বদ্ধতার কার্যক্রম গ্রহন করা, সাধারণ সদস্যের পরিচয় পত্র দেয়া সহ বিভিন্ন মতামত প্রদান করেন।
এই সময় সাধারণ পরিষদের সদস্যদের সাথে মত বিনিময়ে পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ সাবেদ উর রহমান, পরিচালক, উদয় শংকর পাল, শামশুল ইসলাম হেলালী আজিম, আবিদ আহসান সাগর, আজমল হুদা, মোহাম্মদ আবু হানিফ, এ আর এম শহিদুল ইসলাম, শহিদুল কাদের চৌধুরী, মোহাম্মদ আলী, হুমায়ুন কবির, হারুন উর রশিদ, আবু ফারহান, শেখ আশিকুজ্জমান, মুকিম খান।
শেষে শতাধিক সদস্যদের স্বতঃস্ফুর্ত অংশ, সভাপতির সমাপনী বক্তব্য এবং মধ্যাহ্নভোজ মাধ্যমে সভার সমাপ্তি হয়।
Posted ৯:৫৫ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta