এম.আজিজ রাসেল(১৫ আগস্ট) :: কক্সবাজার জেলায় এবার স্থায়ী ও অস্থায়ীবে বসছে ৫৩টি কোরবানির পশুর হাট। এসব হাটে পশুর স্বাস্থ্য নিরিক্ষায় নিয়োজিত থাকবে ২০টি মেডিকেল টিম।
এছাড়া প্রত্যেকটি হাটে জাল টাকা সনাক্তকরণে মেশিনও বসানো হবে। হাটে ছিনতাইকারী, দালাল, মলম, অজ্ঞান পার্টিসহ সার্বিক নিরাপত্তায় পর্যাপ্ত পুলিশ ও গোয়েন্দা সদস্যরা দায়িত্ব পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সার্বক্ষণিক বাজার মনিটরিং করবে জেলা পুলিশের ৭টি মেডিকেল টিম।
গত মঙ্গলবার সকালে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে জেলা প্রশাসন আয়োজিত প্রস্তুতি সভায় এসব তথ্য জানানো হয়।
সভায় আরও জানানো হয়, এবার জেলায় কোরবানিযোগ্য গরু, মহিষ ও ছাগলের পরিমাণ ৮৪ হাজার। ২ হাজার ১৪ খামারী পরিবার এসব পশু হাটে তুলবে। এতে বাজারে কোন পশুর সংকট হবে না। নির্ভরতা কমবে আমদানি করা পশুর। মিয়ানমার থেকে পশু আমদানি বেশি না হলে খামারীরা ভাল দাম পাওয়ার আশার আলো বুনেছে।
প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর সুত্র জানায়, সদরে ২টি স্থায়ী, ৫টি অস্থায়ী পশুর হাট ও ৩টি মেডিকেল টিম বসবে। এছাড়া রামুতে ১টি স্থায়ী, ৫টি অস্থায়ী পশুর হাট ও ৪টি মেডিকেল টিম বসবে।
চকরিয়ায় ২টি স্থায়ী, ৯টি অস্থায়ী পশুর হাট ও ২টি মেডিকেল টিম বসবে। পেকুয়ায় ১টি স্থায়ী, ৩টি অস্থায়ী পশুর হাট ও ২টি মেডিকেল টিম বসবে। উখিয়ায় ৩টি স্থায়ী, ৩টি অস্থায়ী পশুর হাট ও ২টি মেডিকেল টিম বসবে।
টেকনাফে ৪টি স্থায়ী, ৩টি অস্থায়ী পশুর হাট ও ৩টি মেডিকেল টিম বসবে। মহেশখালীতে ৪টি স্থায়ী, ৫টি অস্থায়ী পশুর হাট ও ২টি মেডিকেল টিম বসবে। কুতুবদিয়ায় ২টি স্থায়ী, ৫টি অস্থায়ী পশুর হাট বসবে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সাবির্ক) মোঃ মাহিদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবিদ হাসান, সদর ইউএনও মোঃ হাবিবুল হাসান, রামুর ইউএনও মোঃ লুৎফুর রহমান, জেলা তথ্য অফিসার নাছির উদ্দিন, জেলা প্রাণী সম্পদ অফিসার ডাঃ নজরুল ইসলাম, জেলা মার্কেটিং অফিসার মোঃ শাহজাহান আলী, কাউন্সিলর আকতার হোসেন, কক্সবাজার পৌরসভা সচিব রাসেল চৌধুরী, প্রশাসনিক কর্মকর্তা খোরশেদ আলম, কক্সবাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা কাশেমী।
Posted ২:৩২ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৬ আগস্ট ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta