রবিবার ৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২২শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম

রবিবার ৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ শাখায় দালাল দের তৎপরতা বৃদ্ধি : হয়রানীতে জমির মালিকরা

বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০১৭
493 ভিউ
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ শাখায় দালাল দের তৎপরতা বৃদ্ধি : হয়রানীতে জমির মালিকরা

শাহজাহান চৌধুরী শাহীন(২৮ নভেম্বর) :: কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তার (এলও) কার্যালয় কেন্দ্রীক দালাল-প্রতারক চক্র আবারও সক্রিয় রয়েছে। তবে এবার সংখ্যা কম। জাহেদ মাষ্টার, মৌলভী রফিক, হাসানুর রহমান, মুহিবুল্লাহ ও বাদল মামা সহ অন্তত ১০ জন।

অনেক ব্যক্তির ক্ষতিপূরণের টাকা জালিয়াতির মাধ্যমে উত্তোলণ করায় লিখিত অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে এসব দালালের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগীদের দেয়া তথ্যের ভিক্তিতে দীর্ঘদিন অনুসন্ধান করে এসব দালালের বিরুদ্ধে আরো নানান কর্মকান্ডের খোঁজ পাওয়া গেছে।

প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, কক্সবাজার জেলার মহেশখালী, টেকনাফ, চকরিয়া, পেকুয়া ও কক্সবাজার সদও উপজেলা সরকারের বেশ কয়েকটি মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে। প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়ক, মাতারবাড়ি তাপ বিদ্যুৎ প্রকল্প, এনএলজি টার্মিনাল নির্মাণ, অর্থনৈতিক জোন, রেললাইন প্রকল্প, নৌ বাহিনীর সাব মেরিন স্টেশন ও বিমান বন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্প অন্যতম।

এসব মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে সরকার বিপুল পরিমাণ জমি অধিগ্রহণ করে। অধিগ্রহনকৃত জমির ক্ষতিপূরণের টাকা ক্ষতিগ্রস্তদের হস্তান্তর করতে গিয়েই সৃষ্টি হয় দালাল চক্রের ।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, গত বছর মাতাড়বাড়ি তাপ বিদ্যুৎ প্রকল্পের অধিগ্রহণকৃত জমির ক্ষতিগ্রস্তদের টাকা হস্তান্তরকে কেন্দ্র করে টেকনাফ, মাতারবাড়ি, মহেশখালী, কক্সবাজার কেন্দ্রিক ৪৫/৫০ জনের একটি সংঘবদ্ধ দালাল চক্র সৃষ্টি হয়েছিল। এই দালাল চক্রের বিরুদ্ধে প্রশাসন মামলাও দায়ের করেন।

পরে বর্তমান জেলা প্রশাসক মোঃ আলী হোসনের তৎপরতায় দালালদের তালিকা প্রকাশ ও দালালদের ধরার অভিযান চললে ওই দালাল চক্রের তৎপরতা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে।

কিছুদিন জেলা প্রশাসনের ভুমি অধিগ্রহণ শাখা দালাল মুক্ত থাকে, কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই ভুমি অধিগ্রহণ অফিসে আবারও দালাল চক্রের আনা গোনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগে সরে পড়ে দালালরা স্থানীয় কর্মকর্তা কর্মচারীদের আর্শীবাদ পুষ্টছিল বলে অভিযোগ। কিন্তু বর্তমান দালল চক্রটি প্রশাসনের উচ্চ মহলের কর্মকর্তাদের নাম ভাঙ্গাচ্ছে বলে অভিযোগ। এই দালাল চক্রের নেতৃত্ব দিচ্ছে জনৈক বাদল মামা।

তার বাড়ি ঢাকায় বলে জনশ্রতিতে রয়েছে। কথিত বাদল মামা প্রশাসনের একজন শীর্ষ কর্মকর্তার নাম ব্যবহার করে ভুমি অধিগ্রহণ শাখায় ভুমি অধিগ্রহণ শাখায় নানান তদবির করে থাকে। তাকে সর্বাত্মক ভাবে সহযোগীতা যাচ্ছে ভুমি অধিগ্রহণ শাখার একজন কাননগো। এব রাজস্ব শাখার এক কর্মচারী। যার বাড়ি টেকনাফে।

বাদল মামার নেতৃত্বে দালাল সিন্ডিকেট রয়েছে টেকনাফ শামলাপুরের মৌলভী রফিক উদ্দিন, শামলাপুর পুরানপাড়ার জাহেদুল ইসলাম মাষ্টার, বাহারছড়ার হাজফপাড়া বড় ডেইলের হাসানুর রহমান, মাতারবাড়ির রইচ উদ্দিন, মোহাম্মদ হোসেন, উখিয়া ইনানীর মুহিবুল্লাহ, মহেশখালী হোয়ানকের আমান মুন্সিসহ আরো কয়েকজন। দালাল চক্রের এসব সদস্যরা টেকনাফের বড় ডেইল, লেঙ্গুরবিল, ইনানী, শামলাপুর, বাহারছড়া সহ মেরিন ড্রাইভ রোড সংলগ্ন ক্ষতিগ্রস্ত ভুমি মালিকদের এবং মহেশখালী মাতারবাড়ি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র সংলগ্ন ক্ষতিগ্রস্ত ভুমি মালিকদের ফাইল সংগ্রহ করে নিদৃষ্ট টাকায় চুক্তি করে বাদল মামার হাতে তুলে দেয়া হয়। এধারা চলে আসছে দীর্ঘদিন ধরে।

তাদের সাথে চুক্তি না করলে ভুমি অধিগ্রহণের ফাইল রাজস্ব শাখায় সংশ্লিষ্ট কর্মচারীদে ডেক্সে দিনের পর দিন পড়ে থাকে, অথবা টাকা অনুমোদন হলেও এসব দালাল চক্র ভুঁয়া লোকজনকে জমির মালিক সাজিয়ে ভুঁয়া আপত্তি দাখিল করান। এধরনের কর্মকান্ড সৃষ্টি করে দালাল চক্র ভুমি মালিকদের বেকায়দায় ফেলে অর্থনৈতিক ক্ষতি ও ফায়দা হাসিল করে বলে ভোক্তভোগীরা অভিযোগ করেছেন।

অন্যদিকে অধিগ্রহণকৃত জমির দলিল জালিয়াতি করে ভুমির আসল মালিক সাজিয়ে ভুমি অধিগ্রহণের টাকা উত্তোলণ করে নিচ্ছে এ দালাল চক্র।

টেকনাফ জাহারপুরা এলাকার বাসিন্দা আশরাফ মিয়া অভিযোগ করেন, জাহেদুল ইসলাম মাষ্টার ও মৌলভী রফিক মিলে জালজালিয়াতির মাধ্যমে তাদের ক্ষতিপূরণের ১৪ লাখ টাকা উত্তোলণ করেছে। এব্যাপারে এদের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকের নিকট লিখিত অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে।

এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত হাবীব উল্লাহ হাবীব জানান, এমদাদ, আবুল বশর ও জাহেদ মাষ্টার সহ আরো ২/৩ জন দালাল ব্যক্তির বরিুদ্ধের জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

টেকনাফ শামলাপুরের আকতার বেগম নামের এক নারী জানান, জাহেদ মাষ্টার শুধু এলও অফিসে শুধু দালালিই করেন না, তার বিরুদ্ধে রয়েছে ভুমিদস্যুতার অভিযোগ। ভুমি বিরোধ নিয়ে আদালতে মামলাও চলমান। সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি করলেও কোনদিন স্কুল করে না জাহেদ মাষ্টার। সন্ত্রাসী দলবল নিয়ে এই নারীর বসতবাড়ি ভাংচুর ও জমি দখলের চেষ্টা চালিয়েঢ উল্টো জাহেদ মাষ্টার মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে গ্রেফতার করান তার স্বামী ফরিদুল হককে।

তিনি আরো জানান, এই জাহেদ মাষ্টার চক্রের হাতে মেরিন ড্রাইভ রোডের অধিগ্রহণের ক্ষতি পূরণের টাকা নিতে গিয়ে অনেক ভোক্তভোগী জাল জালিয়াতির শিকার হতে হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

এই দালাল চক্রের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে ভুমি অধিগ্রহণ শাখার কর্মকর্তাচারীরাও। ভুমি অধিগ্রহণ শাখার কর্মকর্তাচারীরাও।

ভূক্তভোগীরা জানান, প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত অন্তত ১০ জন দালাল ভূমি অধিগ্রহন অফিস ঘিরে রাখে। বিভিন্ন কর্মকর্তার নাম ভাঙ্গিয়ে জমি মালিকদের হয়রানি করে এরা। এব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবী জানিয়েছেন ভুক্তভোগী মহল।

493 ভিউ

Posted ১২:৪৬ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০১৭

coxbangla.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

Editor & Publisher

Chanchal Dash Gupta

Member : coxsbazar press club & coxsbazar journalist union (cbuj)
cell: 01558-310550 or 01736-202922
mail: chanchalcox@gmail.com
Office : coxsbazar press club building(1st floor),shaheed sharanee road,cox’sbazar municipalty
coxsbazar-4700
Bangladesh
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
বাংলাদেশের সকল পত্রিকা সাইট
Bangla Newspaper

ABOUT US :

coxbangla.com is a dedicated 24x7 news website which is published 2010 in coxbazar city. coxbangla is the news plus right and true information. Be informed be truthful are the only right way. Because you have the right. So coxbangla always offiers the latest news coxbazar, national and international news on current offers, politics, economic, entertainment, sports, health, science, defence & technology, space, history, lifestyle, tourism, food etc in Bengali.

design and development by : webnewsdesign.com