মঙ্গলবার ৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৪শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম

মঙ্গলবার ৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

কক্সবাজার-টেকনাফে মাদকবিরোধী অভিযান জোরদার করার নির্দেশ

সোমবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
135 ভিউ
কক্সবাজার-টেকনাফে মাদকবিরোধী অভিযান জোরদার করার নির্দেশ

কক্সবাংলা রিপোর্ট(১৭ ফেব্রুয়ারী) :: কক্সবাজারে ১০২ জন ইয়াবা পাচারকারীর আত্মসমর্পণের পর মাদকবিরোধী অভিযান আরো জোরদার করছে পুলিশ। সুযোগ দেওয়ার পরও যারা আত্মসমর্পণ করেনি, তারা রাষ্ট্রীয় সুযোগ ইচ্ছাকৃতভাবে হাতছাড়া করে নিজেদের ‘দাপট’ দেখিয়েছে বলে মনে করছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।

শনিবার টেকনাফ পাইলট হাই স্কুল মাঠে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী কড়া ভাষায় ইয়াবা পাচারকারীদের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি দেন। আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানের পর কক্সবাজারে ফিরে চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি এবং কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপারসহ পদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করেন তাঁরা। এই বৈঠকেও মাদকবিরোধী অভিযান জোরদার করার নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

কক্সবাজার জেলা পুলিশের কয়েকজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইজিপি দুজনই মাদকবিরোধী অভিযান অব্যাহত রাখা শুধু নয়, আরো জোরদার করতে নির্দেশনা দিয়েছেন। আরেক দফা আত্মসমর্পণের সুযোগ দেওয়া যাবে কি না এমন বিষয়ে আলোচনার এক ফাঁকে অভিযান জোরদারের নির্দেশনা আসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছ থেকে।

একজন দায়িত্বশীল পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, আত্মসমর্পণের সুযোগ ছিল সব পাচারকারীর জন্য একটি বড় সুযোগ। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত অনেক পাচারকারী আত্মসমর্পণ না করেও আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিল। এটা ভালো চোখে দেখেননি মন্ত্রী ও আইজিপি। তাই দ্বিতীয় দফা সুযোগ দেওয়ার তাত্ক্ষণিক কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বৈঠকে। পাশাপাশি ইয়াবা পাচারকারীদের আইনের আওতায় আনার জন্য পুলিশকে নির্দেশনা দিয়েছেন। পুলিশের কিছু কর্মকর্তার কিছু অনৈতিক আচরণের বিষয়েও ওই বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কথা বলেছেন।

জেলা পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইজিপির এমন নির্দেশনার ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে যারা প্রথম দফায় আত্মসমর্পণ করেনি তাদের। কারণ পাচারকারীদের অনেকেই পুলিশের কাছে এমন বার্তা পাঠিয়েছিল, প্রথম দফায় আত্মসমর্পণকারীদের মামলার অবস্থা দেখে তারপরই তারা আত্মসমর্পণের সিদ্ধান্ত নেবে।

জেলা পুলিশ সুপার এ বি এম মাসুদ হোসেন বলেন, ‘আত্মসমর্পণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যারা অভিযান সমাপ্ত হয়ে বলে মনে করেছে, তারা ভুল করেছে। শিগগিরই তাদের ভুল ভাঙবে। আরো বৃহৎ পরিসরে মাদকবিরোধী অভিযান চলবে। ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে মাদক নির্মূলের জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইজিপি নির্দেশনা দিয়েছেন। এই নির্দেশনা বাসস্তবায়ন করবে জেলা পুলিশ।’

আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘মনে রাখবেন ইয়াবা ব্যবসায়ীদের নিস্তার নাই, নিস্তার নাই, নিস্তার নাই। আপনারা কয়জনের হাত থেকে বাঁচবেন, বিজিবি, কোস্ট গার্ড, পুলিশ, র‌্যাব আছে। একটা না একটা বাহিনীর হাতে ধরা পড়বেন। আপনাদের (মাদকপাচারকারী) খুঁজে বের করব।’

আইজিপি বলেন, ‘আপনাদের প্রতি কঠোরতম বার্তা, আমরা আপনাদের ছাড়ব না। লুকিয়ে থেকে বাঁচতে পারবেন না।’ এর আগে রেঞ্জ ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুকও ‘রেহাই নেই’, ‘কঠোরতম আইন প্রয়োগ করব’ বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তাঁর বক্তব্যে। অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইজিপি বা রেঞ্জ ডিআইজি তিনজনের কেউই সরাসরি ‘বন্দুকযুদ্ধ’ শব্দটি অবশ্য উচ্চারণ করেননি।

ধরাছোঁয়ার বাইরে গডফাদারা
————-
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজারে ৭৩ মাদকের গডফাদারের মধ্যে ৩০ জন আত্মসমর্পণ করেছেন। এ ছাড়া এই তালিকার ছয়জন ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। তার মধ্যে দু’জন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক এবং একজন নিখোঁজ হয়েছেন। বাকিরা এখনও দেশে-বিদেশে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

এখনও তালিকার যারা আত্মসমর্পণ করেননি, তাদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক এমপি আবদুর রহমান বদি ও তার ভাই মজিবুর রহমান,হাজী সাইফুল করিম, নির্মল ধর, রোহিঙ্গা মোহাম্মদ আলম, ডাকাত আবদুল হাকিম, সাইফুল, মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, মোহাম্মদ জাফর আহমদ, মোহাম্মদ জাফর, নুরুল আলম, মোহাম্মদ শাহজান, মোহাম্মদ ইলিয়াছ, মোহাম্মদ রফিক, মোহাম্মদ আজিজ, নুর কামাল, মোহাম্মদ মুজিব, আবদুর রহমান, রাশেদ মাহামুদ আলী, মাহাবুব মোর্শেদ, এসকে আনোয়ার, আবুল হোসেন, আবদুল হামিদ, মোহাম্মদ হেলাল, মোহাম্মদ হুমায়ুন প্রমুখ।

এদিকে, শনিবার আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানেও শীর্ষ ইয়াবা কারবারিদের কয়েকজনকে প্রকাশ্যে দেখা গেছে। আত্মসমর্পণ না করলেও তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

এ তালিকায় ছিলেন টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান শাহজান মিয়া, জাফর আহমদ, হ্নীলা ইউপি চেয়ারম্যান এসকে আনোয়ার ও বাহারছড়া ইউপি চেয়ারম্যান আজিজ উদ্দিন ও ইউপি সদস্য মোহাম্মদ ইউনুছ।

তবে তাদের টেকনাফে দেখা যায়নি। এলাকাবাসী জানান, আতঙ্ক ও ভয়ে তারা গা-ঢাকা দিয়েছেন।

135 ভিউ

Posted ২:৩৬ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

coxbangla.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

Editor & Publisher

Chanchal Dash Gupta

Member : coxsbazar press club & coxsbazar journalist union (cbuj)
cell: 01558-310550 or 01736-202922
mail: chanchalcox@gmail.com
Office : coxsbazar press club building(1st floor),shaheed sharanee road,cox’sbazar municipalty
coxsbazar-4700
Bangladesh
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
বাংলাদেশের সকল পত্রিকা সাইট
Bangla Newspaper

ABOUT US :

coxbangla.com is a dedicated 24x7 news website which is published 2010 in coxbazar city. coxbangla is the news plus right and true information. Be informed be truthful are the only right way. Because you have the right. So coxbangla always offiers the latest news coxbazar, national and international news on current offers, politics, economic, entertainment, sports, health, science, defence & technology, space, history, lifestyle, tourism, food etc in Bengali.

design and development by : webnewsdesign.com