কক্সবাংলা রিপোর্ট(২৫ জুলাই) :: কক্সবাজার পৌরসভা নির্বাচনে ভোট জালিয়াতির আশঙ্কাই অবশেষে সত্যিই হল। অার নজিরবিহীন এ ভোট জালিয়াতির কারণে নাগরিক অধিকার বলে বিববেচিত নিজের ভোটটিই দিতে পারেননি অসংখ্য কেন্দ্রের হাজার হাজার নারী-পূরুষ ভোটার।
বুধবার সকাল আটটায় ভোট শুরু হতে না হতেই কেন্দ্র দখল করে মেয়র ও কাউন্সিলার সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে ব্যালট পেপারে সিল মেরে বাক্সভর্তি করেছে দলীয় ক্যাডাররা। ফলে কক্সবাজার পৌরসভা নির্বাচনে শুধু ধর্মীয় সংখ্যালঘুই নন,পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেননি সংখ্যাগুরু সাধারণ ভোটাররাও।
এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে শহরের কক্সবাজার সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়,পৌর প্রিপাটরী উচ্চ বিদ্যালয়,বায়তুশ শরফ,খাঁজা মঞ্জিল সহ অসংখ্য কেন্দ্রে। দুপুর ১টার মধ্যে উল্লেখিত প্রায় প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ভোট গ্রহণ অনেকটাই শেষ হয়ে যায়। এরপর থেকে কেন্দ্রগুলোতে অলস সময় কাটাতে দেখা যায় নির্বাচনী কর্মকর্তাদের।
দলীয় নেতাদের প্রভাবপুষ্ট প্রশাসনের প্রশ্রয় ও সহযোগিতায় বিনা বাধায় বেলা ১টার মধ্যেই ভোট গ্রহণ অনেকটাই শেষ হয়ে যায়। নির্বাচনী অনিয়ম ঠেকাতে কমিশন কঠোর হওয়ার ঘোষণা দিলেও এখানে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের অসহায় দেখা গেছে।
জানা যায়,বহুল প্রতিক্ষিত কক্সবাজার পৌরসভা নির্বাচনে বুধবার সকাল থেকে ভারী বৃস্টিপাতের কারনে ভোটাররা সকালে না এসে দুপুরের সময় উল্লেখিত কেন্ত্রগুলোতে ভোট দিতে আসলে অনেকে হতাশ হয়ে ফিরে যান। এসময় অনেককে নিজের ভোটটি দিতে না পারার ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এ সময় কেন্দ্রের সামনে কথা হয় কয়েকজন ভোটারের সঙ্গে। শহরের হাসপাতাল সড়কের এক তরুণ জানালেন তিনি ভেতরে গিয়ে ভোট দিতে পারেননি। তাকে বলা হয়েছে,আমরা নিজ দায়িত্বে আপনার ভোট দিয়ে দিয়েছি। পরের বার ভোট দিতে পারবেন।’
এ সময় অসংখ্য নারী-পূরুষ ভোটার ভোট দিতে পারবেন না জেনে ক্ষিপ্ত হয়ে পড়েন এবং হতাশ হয়ে ফিরে যান।
পৌর প্রিপাটরী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের কয়েকজন ভোটার নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান,যারা ভোট জালিয়াতি করে আগেভাগেই ভোট দিয়েছে মুলত সেই প্রার্থীকেই আমরা ভোট দিতাম। কিন্তু তারা আমাদের উপর বিশ্বাস এবং আমাদের আশা পর্যন্ত অপেক্ষা করল না। ভোট কেন্দ্রে গিয়ে দেখি বেলট শেষ হয়ে গেছে। এ ধরনের ঘটনাকে আমরা ধীক্কার জানাই।
Posted ৮:৩২ অপরাহ্ণ | বুধবার, ২৫ জুলাই ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta