সাইফুল ইসলাম(২১ মে) :: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাদক রিরোধী কঠিন অবস্থান গ্রহনের মধ্যেও থেমে নেই ইয়াবা ব্যবসায়ী ও ইয়াবা সেবীদের দৌরাত্ব্য।
কক্সবাজার শহরতলীর কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনাল ও আশপাশ এলাকা, সদর উপজেলা গেইট, হাজী পাড়া, পাওয়ার হাউস, জানার ঘোনা ও লিংক-রোড মুহুরী পাড়া এলাকায় চিহ্নিত ইয়াবা চক্র আগের মতোই সক্রিয় রয়েছে।
কক্সবাজার শহরের প্রবেশদ্বার খ্যাত এলাকাটিতে প্রায় দু’শতাধিক চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ী রয়েছে।
মুদির দোকান, পানের দোকান, চায়ের দোকান ও বাসা-বাড়িতে খুলেছে ইয়াবার পাইকারী ও খুচরা বিক্রেতার হাট। দেশবিরোধী ইয়াবা ব্যবসা নিষ্কন্ঠক করতে এসব এলাকায় গডফাদার হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে দু’ডজন রাজনৈতিক কাউয়া।
এসব ইয়াবা গডফাদার সরকারী দলের বিভিন্ন অঙ্গ-সংগঠনের নাম ভাঙ্গিয়ে পুলিশ প্রশাসনের এক শ্রেণীর অসাধু কর্তাদের ম্যানেজ করে গুরত্বপূর্ণ এই এলাকায় ইয়াবার সা¤্রাজ্য গড়ে তুলেছে।
পাশাপাশি ইয়াবা ব্যবসায় গৃহবধু থেকে শুরু করে এলাকার বেশ ক’জন যুবকও সমান তালে পাল্লা দিয়ে ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
তার মধ্যে লার পাড়া ও পশ্চিম লার পাড়া এলাকায় ৬ জন, দক্ষিণ ডিককুলে ৩ জন, উপজেলা গেইট ও তার আশপাশ এলাকায় এক নারিসহ ৫ জন, হাজী পাড়া ও দক্ষিণ হাজী পাড়ায় ৬ জন, জানার ঘোনা ও কলেজ গেইট এলাকায় ৩ জন, লিংকরোড ও মুহুরী পাড়া এলাকায় ৪ জন ইয়াবা বিক্রির গডফাদার ভেন্ডার রয়েছে।
আবার এসব গডফাদারদের নেতৃত্বে রয়েছে দু’শতাধিক সশস্ত্র ক্যাডার রয়েছে। যারা ইয়াবা পাচারকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে লুট করতে সিদ্ধহস্ত।
বিগত ১মাসে উপজেলা গেইট এলাকায় ৫০ হাজার ও দক্ষিণ ডিককুল এলাকায় ৭০ হাজার ইয়াবা লুট করে এসব ইয়াবা ক্যাডাররা।
এদিকে আশ্চর্যজনক হলেও সত্য চিহ্নিত ইয়াবা সেবনের নিরাপদ আস্তানা হিসেবে গড়ে তুলেছে কক্সবাজার সদর উপজেলা কম্পাউন্ডের দুইটি পরিত্যক্ত ভবণ, ঝিলংজা খাদ্য গুদামের পরিত্যক্ত স্টাফ কোয়ার্টার, টিলার বাগান, সদর উপজেলা গেইটে দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা যাত্রীবাহী বাস, পরিবহণ গ্যারেজ, ঝিলংজা হাজী পাড়ার একটি বসতবাড়ি ও ঘেরা দেয়া সুপারী বাগান, বাসটার্মিনাল ও তার আশপাশের আবাসিক হোটেল এবং সস্তা দামের বিভিন্ন ভাড়া বাসা।
সূত্র জানায়, বিগত ১ সপ্তাহ আগে সদর থানা পুলিশ সদর উপজেরা গেইটে গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে ৫০ পিস ইয়াবাসহ এক রোহিঙ্গা যুবক ও স্থানীয় তার দু’ সহযোগীকে আটক করে।
পরক্ষণে মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যে অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া অসাধু পুলিশ কর্মকর্তা মাত্র হাজার ত্রিশেক উৎকোচ বাণিজ্যে ৩ জনকে ছেড়ে দেয়।
এঘটনায় পুলিশের ইয়াবা বিরোধী অভিযানের ব্যাপারে স্থানীয় সচেতন মহলে নেতি-বাচক ধারণার জন্ম দিয়েছে।
ঝিলংজার সচেতন মহলের দাবি, গোয়েন্দা নজরদারি বাড়িয়ে এসব এলাকার ইয়াবা গডফাদার, পাইকার- খুচরা বিক্রেতা ও সেবকারীদের চিহ্নিত করে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন কার্যকর অভিযান পরিচালনা করলে ভয়ংকর মাদক ইয়াবা নির্মূলে কিছুটা হলেও কাজ দেবে।
অন্যথায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইয়াবা বিরোধী কঠিন ঘোষনা- ঘোষানাই থেকে যাবে। সচেতন মহল বাস্তবিক অর্থে সর্বনাশা ইয়াবার বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনার কঠিন বাস্তবায়ন চান।
Posted ১:১৪ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২২ মে ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta