কক্সবাংলা রিপোর্ট(২২ আগষ্ট) :: কক্সবাজার শহরতলীতে হঠাৎ করে বেড়ে গেছে ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ব। এর সাথে বেড়ে গেছে খুন-খারাবির ঘটনাও। গত তিনদিনে ছিনতাইকারীদের হামলায় ২ খুন সহ আহত হয়েছে পর্যটক সহ ১৩ জন। আর শহরে হঠাৎ ছিনতাইকারীদের দৌরাত্বের কারনে আইনশৃঙ্খলার অবনতিতে উদ্বিগ্ন পৌরবাসী। তবে পুলিশ বলছে, অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, শঙ্কার কিছু নেই।
অনুসন্ধানে জানা গেছে,কক্সবাজার শহরে প্রতিদিন পুলিশের অভিযানের মধ্যেও দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।চিহ্নিত ছিনতাইকারী ও টিন এজ সন্ত্রাসীরা।অভিযোগ রয়েছে,বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা এখন যে যার মতো করে টিনএজ সন্ত্রাসী লালন করেন। নেতাদের কাছে অনেক ক্ষেত্রে পুলিশও অসহায়। অপরাধের সঙ্গে জড়িত সন্ত্রাসী-ছিনতাইকারী ধরা পড়লেও জামিনে বেরিয়ে এসে আবারও একই কাজে লিপ্ত হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় ২২ আগষ্ট বুধবার কক্সবাজার শহরে দুই ছিনতাইকারীর বিবাদ মেটাতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে মো. শাহাবুদ্দিন নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন।
বুধবার রাত সাড়ে ৮টায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
কক্সবাজার সদর থানার ওসি (অপারেশন) মাঈন উদ্দিন বলেন, শহরের চিহ্নিত ছিনতাইকারী দুই সাইফুল। তাদের বিবাদ মেটাতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন শাহাবুদ্দিন। ঘাতককে ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে।
এর আগে গত ২০ আগস্ট সন্ধ্যায় কক্সবাজার পৌরসভার দক্ষিণ রুমালিয়ারছড়ার মাহামুদুল চেয়ারম্যান ঘাটার রহিমের বাড়ির সামনে সাইফুল আলম প্রকাশ সাইফুল (২০) নামের এক ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে তিনি আহত হন।
এছাড়া ২১ আগস্ট কক্সবাজার সৈকতের কবিতা চত্বর এলাকায় সৈকতে গোসল শেষে ফেরার পথে সশস্ত্র ছিনতাইকারীর চুরিকাঘাতে শেখ পলাশ (২৫), মো. আরিফ (২৫), মুমিন (২০), মো.আমিন (১৯), মো. জহিরুল (১৪) এবং নারী পযটক সহ ১৩ জন আহত হয়।এসময় নগদ টাকা, ৫ টি মোবাইল, ২ টি চেইন, কানের দোল ২ জোড়া, নগদ টাকা সহ প্রায় আড়াই লাখ টাকার মালামাল লুট করে ছিনতাইকারীরা।
এ ব্যাপারে সুশাসনের জন্য নাগরিক(সুজন) এর এক কর্মকর্তা বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির কারণেই অপরাধী চক্র কক্সবাজার শহরে খুন-ছিনতাই চালিয়ে যেতে পারছে। শহরের কোন এলাকায় কোন অপরাধী চক্র সক্রিয়, তার সব তথ্য তো তাদের নখদর্পণে থাকার কথা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাদের আরো দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে।
এ ব্যাপারে কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) ফরিদ উদ্দিন খন্দকার বলেন, খুনের ঘটনাগুলোয় জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে। অপরাধ করে কেউ পার পাচ্ছে না। সুতরাং, এ নিয়ে শঙ্কার কিছু নেই। তিনি বলেন, চুরি-ডাকাতি ও ছিনতাই ঠেকাতে আমরা বেশ কিছু পরিকল্পনা নিয়েছি। তালিকাভুক্ত যেসব অপরাধী আছে তাদেরকে গ্রেফতার করে কারাগারে বন্দি রাখা হচ্ছে।
Posted ২:৪৪ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৩ আগস্ট ২০১৮
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta