সেলিম উদ্দিন,ঈদগাঁও(২৬ জুলাই) :: কক্সবাজার সদর উপজেলার পোকখালী ইউনিয়নের গোমাতলীতে অমাবষ্যার জোয়ারে সমুদ্রের লোনা পানি বৃদ্ধি পেয়ে পাউবোর ৬৩নং পোল্ডারের ৬নং স্লুইচ গেইট পয়েন্টের ভাঙ্গা বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি ঢুকে ইউনিয়নের উত্তর-পশ্চিম-পূর্ব গোমাতলীর অধিকাংশ এলাকায় চিংড়ি ঘেরের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এসময় এসব এলাকার শত শত কাঁচা ঘর-বাড়িও প্লাবিত হয়েছে। ছোট-বড় প্রায় ৮টি মৎস্য ঘের ও ২০টি পুকুর তলিয়ে গিয়ে চাষীদের প্রায় কোটি টাকা লোকশান হয়েছে বলে জানা গেছে।
এমনিতে ভারী বর্ষণ সেই সাথে অমাবষ্যার জোয়ারে সাগরের লবণাক্ত পানি প্রবেশ করে লোকালয় প্লাবিত হওয়ায় ইউনিয়নের উত্তর গোমাতলীর রাজঘাট, গাইট্যাখালী, বদরখালী পাড়া,কাটাখালী,বারডইল্লা পাড়া, চরপাড়া, ছিদ্দিক বাপের পাড়া এলাকার মানুষের নেমে এসেছে সীমাহীন দূর্ভোগ।
বুধবার গোমাতলীর বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, গত রবিবার থেকে বুধবার পর্যন্ত অতি বৃষ্টির অমাবষ্যার জোয়ারে সমুদ্রের লোনা পানিতে শতশত পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে এবং শতাধিক কাঁচা ঘর-বাড়ি ভেঙ্গে গেছে। এসব ঘর-বাড়ির লোকজন বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে বলে জানিয়েছেন এসব এলাকার জনপ্রতিনিধিরা।
ইউনিয়নের উত্তর গোমাতলীর রাজঘাট, গাইট্যাখালী, বদরখালী পাড়া,কাটাখালী,বারডইল্লা পাড়া, চরপাড়া, ছিদ্দিক বাপের পাড়াসহ ৭টি গ্রামের শতশত পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এসব এলাকার কাটাখালী ঘোনা, বারডইল্লা ঘোনা,সিব্লক,এ ব্লক,ডি ব্লক,রিয়াজ্যাকাটা,৪৪ একর, টেড়ি ঘোনাসহ ছোট বড় প্রায় ৮টি মৎস্য ঘের ও ২০টি পুকুর তলিয়ে গিয়ে কোটি টাকার ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে।
গাইট্যাখালী এলাকার মৎস্য ঘের মালিক সাইফুদ্দিন জানান, চলতি মৌসুমে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা পুঁজি খাটিয়ে মৎস্য চাষ শুরু করেন। কিন্তু অতি বৃষ্টি অমাবষ্যার জোয়ারে সমুদ্রের লোনা পানিতে মৎস্য ঘের তলিয়ে গিয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
এ ব্যাপারে ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড় মেম্বার মাহমুদুল হক দুখু মিয়া জানায়, টানা বৃষ্টি ও অমাবষ্যার জোয়ারে তার এলাকা প্লাবিত হয়েছে। শতশত বসত বাড়ি পানিবন্দী রয়েছে। প্রায় ৮টি মৎস্য ঘের পানিতে তলিয়ে গেছে। এসব দূর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য তিনি উপজেলা প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান।
Posted ১০:০৫ অপরাহ্ণ | বুধবার, ২৬ জুলাই ২০১৭
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta